ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দুর্নীতির মামলায় যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রায় ৯ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং তার ও কোম্পানির প্রায় ২৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ধানমন্ডিতে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা ভবন, গুলশানের চারুত হোমস লিমিটেডে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ হাজার একটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরে ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৫ টাকার মূল্যের ১৯৫ দশমিক ২১ শতাংশ জমি, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ৯৯ দশমিক ২৩৯১ একর জমি জব্দের আদেশ দেয়া হয়েছে। এসব সম্পদের মূল্য ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া ৪৫ ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে থাকা ৬১ লাখ ২ হাজার ৭৬১ টাকা এবং ৬২টি কোম্পানির ২২ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ, যৌথ ও কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৪৫টি হিসাবে ৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ টাকা জমা এবং ৫৪ কোটি ২৭ হাজার ৭৭ হাজার উত্তোলনের তথ্য মিলেছে। অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট দুদক তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে। মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার। এর আগে গত ৬ নভেম্বর কাজী নাবিলের ভাই জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
দুর্নীতির মামলায় যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রায় ৯ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং তার ও কোম্পানির প্রায় ২৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ধানমন্ডিতে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা ভবন, গুলশানের চারুত হোমস লিমিটেডে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ হাজার একটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরে ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৫ টাকার মূল্যের ১৯৫ দশমিক ২১ শতাংশ জমি, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ৯৯ দশমিক ২৩৯১ একর জমি জব্দের আদেশ দেয়া হয়েছে। এসব সম্পদের মূল্য ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া ৪৫ ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে থাকা ৬১ লাখ ২ হাজার ৭৬১ টাকা এবং ৬২টি কোম্পানির ২২ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ, যৌথ ও কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৪৫টি হিসাবে ৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ টাকা জমা এবং ৫৪ কোটি ২৭ হাজার ৭৭ হাজার উত্তোলনের তথ্য মিলেছে। অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট দুদক তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে। মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার। এর আগে গত ৬ নভেম্বর কাজী নাবিলের ভাই জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।