গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বাড়িঘরে ফিরেছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। উত্তরাঞ্চলে ঘরে ফেরার পর তারা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মরদেহ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৪টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে। নতুন এসব মরদেহ পাওয়া যাওয়ায় দখলদার দেশটির আগ্রাসনে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৮০৬ জনে। আর আহত হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজা এখন ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ৯২ শতাংশ আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। লাখো মানুষ এখন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, তাঁবু বা অপ্রতুল উপকরণে তৈরি ঘরে বসবাস করছেন। গাজার উদ্ধার সংস্থা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল জানান, শনিবার পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ গাজা সিটিতে ফিরে এসেছেন। এ অবস্থায় গাজাবাসীর জন্য তাঁবু ও অস্থায়ী বসবাসের ঘরে (কারাভ্যান) প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসনের অধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক বালাকৃষ্ণন রাজগোপাল।
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে গতকাল রোববার কিছু সহায়তাবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসে ক্ষুধার্ত মানুষ সহায়তার ট্রাকগুলো ঘিরে ফেলেন এবং কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদ আল-মুজাইন বলেন, সহায়তা নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, গাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনার প্রতি আস্থা রাখছে না। সবাই ভয় পাচ্ছে, যুদ্ধ আবার শুরু হবে। তাই মানুষ সহায়তা পেলে বাড়িতে মজুত রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গত তিন বছরে ইসরায়েলের সঙ্গে ছয়টি আরব দেশ নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে। এর মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। ফাঁস হওয়া মার্কিন নথির বরাত দিয়ে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ আরব রাষ্ট্রগুলো গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের নিন্দা করলেও, নীরবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে। এই দেশগুলো হলো– বাহরাইন, মিসর, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাহরাইন, মিসর, জর্ডান ও কাতারে একাধিক পরিকল্পনা সভায় অংশ নেন। সেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। নথিতে কুয়েত ও ওমানকে সহযোগিতার জন্য সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বাড়িঘরে ফিরেছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। উত্তরাঞ্চলে ঘরে ফেরার পর তারা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মরদেহ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৪টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে। নতুন এসব মরদেহ পাওয়া যাওয়ায় দখলদার দেশটির আগ্রাসনে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৮০৬ জনে। আর আহত হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজা এখন ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ৯২ শতাংশ আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। লাখো মানুষ এখন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, তাঁবু বা অপ্রতুল উপকরণে তৈরি ঘরে বসবাস করছেন। গাজার উদ্ধার সংস্থা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল জানান, শনিবার পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ গাজা সিটিতে ফিরে এসেছেন। এ অবস্থায় গাজাবাসীর জন্য তাঁবু ও অস্থায়ী বসবাসের ঘরে (কারাভ্যান) প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসনের অধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক বালাকৃষ্ণন রাজগোপাল।
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে গতকাল রোববার কিছু সহায়তাবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসে ক্ষুধার্ত মানুষ সহায়তার ট্রাকগুলো ঘিরে ফেলেন এবং কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদ আল-মুজাইন বলেন, সহায়তা নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, গাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনার প্রতি আস্থা রাখছে না। সবাই ভয় পাচ্ছে, যুদ্ধ আবার শুরু হবে। তাই মানুষ সহায়তা পেলে বাড়িতে মজুত রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গত তিন বছরে ইসরায়েলের সঙ্গে ছয়টি আরব দেশ নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে। এর মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। ফাঁস হওয়া মার্কিন নথির বরাত দিয়ে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ আরব রাষ্ট্রগুলো গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের নিন্দা করলেও, নীরবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে। এই দেশগুলো হলো– বাহরাইন, মিসর, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাহরাইন, মিসর, জর্ডান ও কাতারে একাধিক পরিকল্পনা সভায় অংশ নেন। সেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। নথিতে কুয়েত ও ওমানকে সহযোগিতার জন্য সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।