ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দেশটির গভীর অংশীদারত্ব তাদের বন্ধুত্বকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। চীনের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা প্রমাণ করেছে, তারা রাশিয়ার পরাজয় দেখতে চায় না। ইউক্রেনের যুদ্ধ জিইয়ে রেখে চীন-রাশিয়া পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করে তুলতে চায়।
চীন নানাভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করছে। ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য রাশিয়াকে স্যাটেলাইট ডেটাও সরবরাহ করেছে দেশটি। গত মে মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছিলেন, চীন কার্যকরভাবে ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা মস্কোর জন্য সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহ লাইন খোলা রেখেছে। তার অভিযোগ ছিল, চীন এখন রাশিয়ার জন্য উন্মুক্ত। রাশিয়ার ভূখণ্ডেসামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনেও চীনা প্রকৌশলীরা জড়িত।
ইউক্রেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ওলেহ আলেকজান্দ্রভের মতে, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের স্যাটেলাইট তথ্য হাতিয়ে নিতে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চ স্তরের সহযোগিতা রয়েছে। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম মিলিটার্নির মতে, গত ৫ অক্টোবর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বিশাল বহর নামায় ইউক্রেনে। হামলার সময় ইয়াওগান-৩৩ সিরিজের অন্তত তিনটি চীনা গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পশ্চিম ইউক্রেনের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গেছে।
প্রায় ২০টি রাশিয়ান সামরিক কারখানায় সরাসরি মেশিন টুলস, বিশেষ রাসায়নিক, বারুদ এবং অন্যান্য উপাদান সরবরাহ করছে চীন। এ বছরের প্রথম দিকে রাশিয়া যেসব ড্রোন ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যুদ্ধে ব্যবহার করেছে, তার প্রায় ৮০ শতাংশই চীনের উৎপাদিত। গত সেপ্টেম্বর মাসে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, চীনা ড্রোন বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানি আইইএমজেডে সহায়তা দিয়ে আসছে। এই কোম্পানি কামিকাজে ড্রোন তৈরি করে থাকে। তাদের সহায়তা দিচ্ছে চীন। চীনের সহায়তায় নতুন মডেলের ড্রোন তৈরি করছে মস্কো।
একটি ফাঁস হওয়া রাশিয়ান নথি থেকে জানা যায়, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে চীনা তৈরি হামলা ও নজরদারি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। চীন রাশিয়াকে এমন কিছু সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ দিচ্ছে, যা এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে রাশিয়ান বিমানবাহিনী সক্ষমতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে। ইউক্রেন-কেন্দ্রিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম গ্রিন ফ্ল্যাগ ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ডেবোরা ফেয়ারল্যাম্বের মতে, ইউক্রেনে প্রতিদিন চীনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হচ্ছে। রাশিয়া এবং চীন স্পষ্টতই প্রযুক্তি ভাগাভাগি করছে।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দেশটির গভীর অংশীদারত্ব তাদের বন্ধুত্বকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। চীনের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা প্রমাণ করেছে, তারা রাশিয়ার পরাজয় দেখতে চায় না। ইউক্রেনের যুদ্ধ জিইয়ে রেখে চীন-রাশিয়া পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করে তুলতে চায়।
চীন নানাভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করছে। ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য রাশিয়াকে স্যাটেলাইট ডেটাও সরবরাহ করেছে দেশটি। গত মে মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছিলেন, চীন কার্যকরভাবে ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা মস্কোর জন্য সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহ লাইন খোলা রেখেছে। তার অভিযোগ ছিল, চীন এখন রাশিয়ার জন্য উন্মুক্ত। রাশিয়ার ভূখণ্ডেসামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনেও চীনা প্রকৌশলীরা জড়িত।
ইউক্রেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ওলেহ আলেকজান্দ্রভের মতে, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের স্যাটেলাইট তথ্য হাতিয়ে নিতে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চ স্তরের সহযোগিতা রয়েছে। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম মিলিটার্নির মতে, গত ৫ অক্টোবর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বিশাল বহর নামায় ইউক্রেনে। হামলার সময় ইয়াওগান-৩৩ সিরিজের অন্তত তিনটি চীনা গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পশ্চিম ইউক্রেনের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গেছে।
প্রায় ২০টি রাশিয়ান সামরিক কারখানায় সরাসরি মেশিন টুলস, বিশেষ রাসায়নিক, বারুদ এবং অন্যান্য উপাদান সরবরাহ করছে চীন। এ বছরের প্রথম দিকে রাশিয়া যেসব ড্রোন ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যুদ্ধে ব্যবহার করেছে, তার প্রায় ৮০ শতাংশই চীনের উৎপাদিত। গত সেপ্টেম্বর মাসে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, চীনা ড্রোন বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানি আইইএমজেডে সহায়তা দিয়ে আসছে। এই কোম্পানি কামিকাজে ড্রোন তৈরি করে থাকে। তাদের সহায়তা দিচ্ছে চীন। চীনের সহায়তায় নতুন মডেলের ড্রোন তৈরি করছে মস্কো।
একটি ফাঁস হওয়া রাশিয়ান নথি থেকে জানা যায়, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে চীনা তৈরি হামলা ও নজরদারি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। চীন রাশিয়াকে এমন কিছু সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ দিচ্ছে, যা এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে রাশিয়ান বিমানবাহিনী সক্ষমতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে। ইউক্রেন-কেন্দ্রিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম গ্রিন ফ্ল্যাগ ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ডেবোরা ফেয়ারল্যাম্বের মতে, ইউক্রেনে প্রতিদিন চীনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হচ্ছে। রাশিয়া এবং চীন স্পষ্টতই প্রযুক্তি ভাগাভাগি করছে।