ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনার পরও উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি আসেনি। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বৈঠক শেষে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেন, বৈঠকটি গঠনমূলক হলেও অনেক অংশ রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার আলোচনায় যোগ দেন। মার্কিন দলটি মস্কো ছাড়ার পর এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বৈঠকের আগে পুতিন বলেন, কিয়েভ ও ইউরোপের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো মার্কিন সমর্থিত খসড়া শান্তি পরিকল্পনার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। যদি ইউরোপ যুদ্ধে যেতে চায়, রাশিয়া প্রস্তুত। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া শান্তি পরিকল্পনায় সংশোধনের জন্য চাপ দিচ্ছে। হোয়াইট হাউজ দ্রুত সমঝোতা চাইলেও ক্রেমলিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা এই পরিকল্পনায় আগ্রহী।
নভেম্বরে ফাঁস হওয়া এই পরিকল্পনাটি রাশিয়ার অনুকূলে যাচ্ছে বলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মস্কো বৈঠকের পরে প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিনের জ্যেষ্ঠ সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, ক্রেমলিন “কিছু বিষয়ে একমত, কিন্তু কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। এখনও কোনও সমঝোতা তৈরি হয়নি। সামনে অনেক কাজ বাকি।
মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মূল মতবিরোধের মধ্যে রয়েছে—রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের এলাকাগুলো ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন এবং ইউরোপের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়েও রাশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থান স্পষ্টভাবে ভিন্ন। আলোচনার আগে পুতিন ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করেন, যারা ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইউরোপ মনে করছে তারা রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া “ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইছিল না—কিন্তু ইউরোপ যদি যুদ্ধ শুরু করে, আমরা এখনই প্রস্তুত।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে বৈঠকের ব্রিফিং আশা করছেন, যদিও উইটকফ ও কুশনার কিয়েভ বা অন্য কোনও ইউরোপীয় শহরে গিয়ে আলোচনার পর্ব এগিয়ে নেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। বৈঠকের আগে জেলেনস্কি বলেন, এখন যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি। যদিও প্রস্তাবের কিছু অংশ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনার পরও উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি আসেনি। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বৈঠক শেষে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেন, বৈঠকটি গঠনমূলক হলেও অনেক অংশ রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার আলোচনায় যোগ দেন। মার্কিন দলটি মস্কো ছাড়ার পর এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বৈঠকের আগে পুতিন বলেন, কিয়েভ ও ইউরোপের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো মার্কিন সমর্থিত খসড়া শান্তি পরিকল্পনার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। যদি ইউরোপ যুদ্ধে যেতে চায়, রাশিয়া প্রস্তুত। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া শান্তি পরিকল্পনায় সংশোধনের জন্য চাপ দিচ্ছে। হোয়াইট হাউজ দ্রুত সমঝোতা চাইলেও ক্রেমলিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা এই পরিকল্পনায় আগ্রহী।
নভেম্বরে ফাঁস হওয়া এই পরিকল্পনাটি রাশিয়ার অনুকূলে যাচ্ছে বলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মস্কো বৈঠকের পরে প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিনের জ্যেষ্ঠ সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, ক্রেমলিন “কিছু বিষয়ে একমত, কিন্তু কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। এখনও কোনও সমঝোতা তৈরি হয়নি। সামনে অনেক কাজ বাকি।
মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মূল মতবিরোধের মধ্যে রয়েছে—রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের এলাকাগুলো ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন এবং ইউরোপের দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়েও রাশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থান স্পষ্টভাবে ভিন্ন। আলোচনার আগে পুতিন ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করেন, যারা ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইউরোপ মনে করছে তারা রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া “ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইছিল না—কিন্তু ইউরোপ যদি যুদ্ধ শুরু করে, আমরা এখনই প্রস্তুত।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে বৈঠকের ব্রিফিং আশা করছেন, যদিও উইটকফ ও কুশনার কিয়েভ বা অন্য কোনও ইউরোপীয় শহরে গিয়ে আলোচনার পর্ব এগিয়ে নেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। বৈঠকের আগে জেলেনস্কি বলেন, এখন যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি। যদিও প্রস্তাবের কিছু অংশ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।