ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয়কক্ষে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর দল ও মিত্ররা সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বোলসোনারো যদি হারেন তারপরও কংগ্রেস জয়ের মধ্য দিয়ে তার রক্ষণশীল রাজনীতির ভিত কতোটা দৃঢ় তা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৫১৩ সদস্যের কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে তার ডানপন্থি লিবারেল পার্টি (পিএল) ৯৯ আসনে জয় পেয়েছে, এখানে তাদের আগের আসন ছিল ৭৭টি। পিএল ও বোলসোনারোর ডানপন্থি মিত্র দলগুলো মিলে এখন এ কক্ষের অর্ধেক আসন নিয়ন্ত্রণ করবে।
তবে রোববারের ভোটের সবচাইতে বড় চমক ছিল সিনেটের ফলাফলে, এখানে বোলসোনারোর দল ২৭ আসনের মধ্যে ১৩টি জিতে নিয়েছে আর দ্বিতীয় পর্বের রানঅফ ভোটে দলটির আরও দুটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পিএলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
সোমবার ভোররাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টে বোলসোনারো লিখেছেন, “সবাইকে ও সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে আমরা এবার ২০১৮ সালের চেয়েও ২০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছি। আমরা কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ ও সিনেটে জয় পেয়েছি, এটিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম আমরা।”
নির্বাচন পূর্ব জনমত জরিপে পিছিয়ে ছিলেন এমন প্রার্থীদেরও সিনেটের আসনে জয় পেতে সহায়তা করেছেন বোলসোনারো। এসব প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রীরাও আছেন।
আইনপরিষদের পাশাপাশি গভর্নর নির্বাচনেও ডানপন্থিদের প্রতি জোরালো সমর্থন দেখা গেছে, বিশেষ করে ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে। এ অঞ্চলে অবস্থিত ব্রাজিলের বৃহত্তম রাজ্য সাউ পাউলোতে বোলসোনারোর দলের গভর্নর প্রার্থী এগিয়ে আছেন। এসব মিলিয়ে এ নির্বাচনে বোলসোনারো বড় বিজয়ীতে পরিণত হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তার বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুয়িজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভাকেও প্রথম রাউন্ডেই সরাসরি জিততে দেননি, ভোটকে রানঅফে বা দ্বিতীয় পর্বে নিয়ে গেছেন। ৩০ অক্টোবরের রানঅফ ভোটেই চূড়ান্ত হবে কে হচ্ছেন ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে লুলার ওয়ার্কার্স পার্টিও আরও ১০টি বেশি আসনে জয় পেয়েছে। এতে ৬৮ জন সদস্য নিয়ে নিম্ন কক্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লুলা জিতলেও রক্ষণশীলদের নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে বিভিন্ন আইন পাশ করতে তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০২২
ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয়কক্ষে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর দল ও মিত্ররা সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বোলসোনারো যদি হারেন তারপরও কংগ্রেস জয়ের মধ্য দিয়ে তার রক্ষণশীল রাজনীতির ভিত কতোটা দৃঢ় তা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৫১৩ সদস্যের কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে তার ডানপন্থি লিবারেল পার্টি (পিএল) ৯৯ আসনে জয় পেয়েছে, এখানে তাদের আগের আসন ছিল ৭৭টি। পিএল ও বোলসোনারোর ডানপন্থি মিত্র দলগুলো মিলে এখন এ কক্ষের অর্ধেক আসন নিয়ন্ত্রণ করবে।
তবে রোববারের ভোটের সবচাইতে বড় চমক ছিল সিনেটের ফলাফলে, এখানে বোলসোনারোর দল ২৭ আসনের মধ্যে ১৩টি জিতে নিয়েছে আর দ্বিতীয় পর্বের রানঅফ ভোটে দলটির আরও দুটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পিএলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
সোমবার ভোররাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টে বোলসোনারো লিখেছেন, “সবাইকে ও সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে আমরা এবার ২০১৮ সালের চেয়েও ২০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছি। আমরা কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ ও সিনেটে জয় পেয়েছি, এটিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম আমরা।”
নির্বাচন পূর্ব জনমত জরিপে পিছিয়ে ছিলেন এমন প্রার্থীদেরও সিনেটের আসনে জয় পেতে সহায়তা করেছেন বোলসোনারো। এসব প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রীরাও আছেন।
আইনপরিষদের পাশাপাশি গভর্নর নির্বাচনেও ডানপন্থিদের প্রতি জোরালো সমর্থন দেখা গেছে, বিশেষ করে ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে। এ অঞ্চলে অবস্থিত ব্রাজিলের বৃহত্তম রাজ্য সাউ পাউলোতে বোলসোনারোর দলের গভর্নর প্রার্থী এগিয়ে আছেন। এসব মিলিয়ে এ নির্বাচনে বোলসোনারো বড় বিজয়ীতে পরিণত হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তার বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুয়িজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভাকেও প্রথম রাউন্ডেই সরাসরি জিততে দেননি, ভোটকে রানঅফে বা দ্বিতীয় পর্বে নিয়ে গেছেন। ৩০ অক্টোবরের রানঅফ ভোটেই চূড়ান্ত হবে কে হচ্ছেন ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে লুলার ওয়ার্কার্স পার্টিও আরও ১০টি বেশি আসনে জয় পেয়েছে। এতে ৬৮ জন সদস্য নিয়ে নিম্ন কক্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লুলা জিতলেও রক্ষণশীলদের নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে বিভিন্ন আইন পাশ করতে তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।