আগে শুধু দিনের আলোয় এডিস মশা কামড়ালেও এখন কৃত্রিম আলোর তীব্রতা বাড়ার কারণে রাতেও কামড়াচ্ছে।
এত দিন শুধু পরিষ্কার পানিতে জন্মায় বলা হলেও এখন দূষিত নর্দমার পানিতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম হচ্ছে এই মশা।
গবেষণা বলছে, ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার আচরণ ও প্রজনন ধারা পরিবর্তন হয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার এই গবেষণা করেন।
এই গবেষণার আশঙ্কা, ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার আরও বাড়বে।
২০২৪ সালের ডেঙ্গুর প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইউএইচসি ফোরাম ও ব্র্যাক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই গবেষণা ফলাফল তুলে ধরেন তিনি।
কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। এর মধ্যে ২২ প্রজাতির মশা রোগ ছড়ায়। তবে কিউলেক্স মশা ও এডিস মশার রোগ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি।‘
তার গবেষণা বলছে, আগে শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকলেও এখন তা গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।
২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৫৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিগত বছর (২০২৩ সাল) দেশে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল, এ বছর মারা যান ১৭০৫ জন।
এডিস মশার আচরণ ও প্রজনন ধারা ‘পরিবর্তন’ হওয়ায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন কীটতত্ত্ববিদ বাশার তার গবেষণনায়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে-রোগটি কারও হওয়ার আগেই যাতে প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম বলেন, ‘ডেঙ্গু সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটা স্তরের সবাইকে সংযুক্ত করতে হবে।’
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
আগে শুধু দিনের আলোয় এডিস মশা কামড়ালেও এখন কৃত্রিম আলোর তীব্রতা বাড়ার কারণে রাতেও কামড়াচ্ছে।
এত দিন শুধু পরিষ্কার পানিতে জন্মায় বলা হলেও এখন দূষিত নর্দমার পানিতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম হচ্ছে এই মশা।
গবেষণা বলছে, ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার আচরণ ও প্রজনন ধারা পরিবর্তন হয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার এই গবেষণা করেন।
এই গবেষণার আশঙ্কা, ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার আরও বাড়বে।
২০২৪ সালের ডেঙ্গুর প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইউএইচসি ফোরাম ও ব্র্যাক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই গবেষণা ফলাফল তুলে ধরেন তিনি।
কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। এর মধ্যে ২২ প্রজাতির মশা রোগ ছড়ায়। তবে কিউলেক্স মশা ও এডিস মশার রোগ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি।‘
তার গবেষণা বলছে, আগে শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকলেও এখন তা গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।
২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৫৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিগত বছর (২০২৩ সাল) দেশে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল, এ বছর মারা যান ১৭০৫ জন।
এডিস মশার আচরণ ও প্রজনন ধারা ‘পরিবর্তন’ হওয়ায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন কীটতত্ত্ববিদ বাশার তার গবেষণনায়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে-রোগটি কারও হওয়ার আগেই যাতে প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম বলেন, ‘ডেঙ্গু সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটা স্তরের সবাইকে সংযুক্ত করতে হবে।’