বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদনটি ভুয়া বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা, মোঃ রাজিবুল ইসলাম।
এদিকে নিহত আবু সাইদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের কপি সংবাদের কাছে এসেছে। সেখানে পরিস্কার উল্লেখ করা হয়েছে আবু সাইদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির কারনে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সুরত হাল ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে।
বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হবার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরত হাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে রংপুরের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আহাম্মেদ সাদাতের উপস্থিতিতে রংপুর মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী সাবেক কর্মকর্তা এস আই তরিকুল ইসলাম যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন সেখানে বলা হয়েছে নিহত আবু সাইদের বুকে ও পেটে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন যা রাবার বুলেট বা শর্টগানের গুলির। এ ছাড়াও তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ ও ডান চোখে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। দুই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা, মোঃ রাজিবুল ইসলাম তার ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন
আবু সাইদের মৃত্যুর কারন ডিউ টু শোক এন্ড হেমারেজ। এ্যাস রেজাল্ট শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির হুইচ ওয়াজ এন্টি মর্টেম এন্ড হুমিসাইডাল ইন নেচার। তিনি আবু সাইদের শরীরে অসংখ্য বুলেট ইনজুরি থাকার কারনে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা, রাজিবুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন আবু সাইদের মাথায় আঘাতের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কথা তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ময়না তদন্ত রিপোর্টটি পুরোপুরি ভুয়া ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে চিকিৎসকদের একটি ওয়েব সাইটে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা, রাজিবুল ইসলাম দাবি করেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদন বুলেট ইনজুরির কারনে মৃত্যুর কারন উল্লেখ না করার জন্য তার উপর প্রচন্ড চাপ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কারা চাপ সৃষ্টি করেছিলো তা উল্লেখ না করলেও তিনি বলেছেন ৩০ জুলাই আবু সাইদের মৃত্যুর সত্যিকার কারনটি উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি দিয়েছেন । আদালতে তিনি বিস্তারিত বলবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে আবু সাইদ হত্যা মামলার বাদী তার বড় ভাই রমজান আলীর আইনজিবী রোকন উদ্দিন এ্যাডভোকেট জানিয়েছেন সুরত হাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কপি তাদের কাছে আছে। সুরত হাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে রংপুরের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আহাম্মেদ সাদাতের উপস্থিতিতে রংপুর মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী সাবেক কর্মকর্তা এস আই তরিকুল ইসলাম যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন সেখানে বলা হয়েছে নিহত আবু সাইদের বুকে ও পেটে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন যা রাবার বুলেট বা শর্টগানের গুলির। এ ছাড়াও তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ ও ডান চোখে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। দুই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া লক্ষ্য করা গেছে। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক তাদের দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন সাইদের মৃত্যুর কারন ডিউ টু শোক এন্ড হেমারেজ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজিবী রোকন উদ্দিন এ্যাডভোকেট আরো জানিয়েছেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে পরিস্কার বলা আছে নিহত আবু সাইদের মাথার পেছনে আঘাত ছিলো শরীরে অসংখ্য প্লিড দ্বারা (বুলেট দ্বারা) আঘাত প্রাপ্ত ফলে তার শরীরে অসংখ্য গুলির কারনে সে মারা গেছে। ফলে তার মৃত্যুর কারন নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদনটি ভুয়া বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা, মোঃ রাজিবুল ইসলাম।
এদিকে নিহত আবু সাইদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের কপি সংবাদের কাছে এসেছে। সেখানে পরিস্কার উল্লেখ করা হয়েছে আবু সাইদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির কারনে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সুরত হাল ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে।
বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হবার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরত হাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে রংপুরের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আহাম্মেদ সাদাতের উপস্থিতিতে রংপুর মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী সাবেক কর্মকর্তা এস আই তরিকুল ইসলাম যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন সেখানে বলা হয়েছে নিহত আবু সাইদের বুকে ও পেটে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন যা রাবার বুলেট বা শর্টগানের গুলির। এ ছাড়াও তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ ও ডান চোখে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। দুই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা, মোঃ রাজিবুল ইসলাম তার ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন
আবু সাইদের মৃত্যুর কারন ডিউ টু শোক এন্ড হেমারেজ। এ্যাস রেজাল্ট শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির হুইচ ওয়াজ এন্টি মর্টেম এন্ড হুমিসাইডাল ইন নেচার। তিনি আবু সাইদের শরীরে অসংখ্য বুলেট ইনজুরি থাকার কারনে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা, রাজিবুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন আবু সাইদের মাথায় আঘাতের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কথা তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ময়না তদন্ত রিপোর্টটি পুরোপুরি ভুয়া ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে চিকিৎসকদের একটি ওয়েব সাইটে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা, রাজিবুল ইসলাম দাবি করেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদন বুলেট ইনজুরির কারনে মৃত্যুর কারন উল্লেখ না করার জন্য তার উপর প্রচন্ড চাপ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কারা চাপ সৃষ্টি করেছিলো তা উল্লেখ না করলেও তিনি বলেছেন ৩০ জুলাই আবু সাইদের মৃত্যুর সত্যিকার কারনটি উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি দিয়েছেন । আদালতে তিনি বিস্তারিত বলবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে আবু সাইদ হত্যা মামলার বাদী তার বড় ভাই রমজান আলীর আইনজিবী রোকন উদ্দিন এ্যাডভোকেট জানিয়েছেন সুরত হাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কপি তাদের কাছে আছে। সুরত হাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে রংপুরের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আহাম্মেদ সাদাতের উপস্থিতিতে রংপুর মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী সাবেক কর্মকর্তা এস আই তরিকুল ইসলাম যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন সেখানে বলা হয়েছে নিহত আবু সাইদের বুকে ও পেটে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন যা রাবার বুলেট বা শর্টগানের গুলির। এ ছাড়াও তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ ও ডান চোখে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। দুই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া লক্ষ্য করা গেছে। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক তাদের দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন সাইদের মৃত্যুর কারন ডিউ টু শোক এন্ড হেমারেজ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুলেট ইনজুরির কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজিবী রোকন উদ্দিন এ্যাডভোকেট আরো জানিয়েছেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে পরিস্কার বলা আছে নিহত আবু সাইদের মাথার পেছনে আঘাত ছিলো শরীরে অসংখ্য প্লিড দ্বারা (বুলেট দ্বারা) আঘাত প্রাপ্ত ফলে তার শরীরে অসংখ্য গুলির কারনে সে মারা গেছে। ফলে তার মৃত্যুর কারন নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।