# ‘বকেয়া বেতন হাতে না পেলে’ মহাসড়ক ছাড়বেন না শ্রমিকরা
# সরকারের পক্ষ থেকে পাওনা ৬ কোটি টাকা ব্যবস্থার আশ্বাস
আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মহাসড়কে অবরোধ তুলে নেবেন না পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছাড়বেন না।
আজ সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের বকেয়া বেতন পরিষদের আশ্বাস পেয়ে টানা ৫৩ ঘণ্টা পর মহা সড়ক অবরোধের পর আজ দুপুর ২টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এতে ২টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ‘বেতন না দিয়ে শুধু আশ্বাস’ দেয়ায় ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন পোশাক শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান সংবাদকে বলেন, ‘অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বেলা পর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা ৩টা ১৫মিনিটের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। মালিক পক্ষ বারবার সময় দিয়ে কথা রাখেনি। এখন তারা আশ্বাস মানছে না।’
গাজীপুর মহানগরের মালেকের বাড়ি মোগরখাল এলাকায় অবস্থিত টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ভোগড়া এলাকায় ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে টানা তিনদিনের সড়ক অবরোধ ৫৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার হওয়ার ৪০মিনিট পর ফের বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-ময়মনসিয় মহা সড়ক।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯ থেকে শুরু হওয়া অবরোধ গত সোমবার দুপুর ২টার পরে প্রত্যাহার হয়। এরপরই যান চলাচল শুরু হয়েছিল।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের মহা সড়কে অবস্থানরত শ্রমিকদের এক অডিও বার্তা দিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের পাওনার ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। বাদবাকি পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ পক্ষের বৈঠক হবে। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে কারখানা শ্রমিকদের ৫ সদস্যের একটি টিম মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করতে যাবেন। সেখানেই আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া পাওনাদি মেটানোর বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজেপি সদস্য ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে এমন অডিও বার্তা দেয়ার পর শ্রমিকদের মহাসড় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপরই অবরোধস্থলের দুদিকে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা যানবাহন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ নাজির আহমেদ খান সংবাদকে বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ৩১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এখানে কারখানার সামনে অবস্থানরত শ্রমিকরা জানান তারা ঢাকা থেকে সমাধান নিয়ে কারখানায় ফেরার পর তারা মহা সড়ক থেকে সরে যাবে এমনটাই আমাদের জানিয়েছেন। বিকেল চারটা বিশ মিনিটে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক শ্রমিকরা পুনরায় অবরোধ করে রাখে। এই মুহূর্তে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
# ‘বকেয়া বেতন হাতে না পেলে’ মহাসড়ক ছাড়বেন না শ্রমিকরা
# সরকারের পক্ষ থেকে পাওনা ৬ কোটি টাকা ব্যবস্থার আশ্বাস
আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মহাসড়কে অবরোধ তুলে নেবেন না পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছাড়বেন না।
আজ সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের বকেয়া বেতন পরিষদের আশ্বাস পেয়ে টানা ৫৩ ঘণ্টা পর মহা সড়ক অবরোধের পর আজ দুপুর ২টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এতে ২টা ৪৫ মিনিটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ‘বেতন না দিয়ে শুধু আশ্বাস’ দেয়ায় ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন পোশাক শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান সংবাদকে বলেন, ‘অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বেলা পর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা ৩টা ১৫মিনিটের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। মালিক পক্ষ বারবার সময় দিয়ে কথা রাখেনি। এখন তারা আশ্বাস মানছে না।’
গাজীপুর মহানগরের মালেকের বাড়ি মোগরখাল এলাকায় অবস্থিত টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ভোগড়া এলাকায় ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে টানা তিনদিনের সড়ক অবরোধ ৫৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার হওয়ার ৪০মিনিট পর ফের বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-ময়মনসিয় মহা সড়ক।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯ থেকে শুরু হওয়া অবরোধ গত সোমবার দুপুর ২টার পরে প্রত্যাহার হয়। এরপরই যান চলাচল শুরু হয়েছিল।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের মহা সড়কে অবস্থানরত শ্রমিকদের এক অডিও বার্তা দিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের পাওনার ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। বাদবাকি পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ পক্ষের বৈঠক হবে। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে কারখানা শ্রমিকদের ৫ সদস্যের একটি টিম মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করতে যাবেন। সেখানেই আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া পাওনাদি মেটানোর বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজেপি সদস্য ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে এমন অডিও বার্তা দেয়ার পর শ্রমিকদের মহাসড় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপরই অবরোধস্থলের দুদিকে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা যানবাহন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ নাজির আহমেদ খান সংবাদকে বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ৩১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এখানে কারখানার সামনে অবস্থানরত শ্রমিকরা জানান তারা ঢাকা থেকে সমাধান নিয়ে কারখানায় ফেরার পর তারা মহা সড়ক থেকে সরে যাবে এমনটাই আমাদের জানিয়েছেন। বিকেল চারটা বিশ মিনিটে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক শ্রমিকরা পুনরায় অবরোধ করে রাখে। এই মুহূর্তে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।