আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করলে, সেই কাগজ হাতে পাওয়ার পরই দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত এলে তবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “গণমাধ্যমের তথ্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। প্রজ্ঞাপনটা আসতে দেন। ডেফিনিটলি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরাও এটা নিয়ে কনসার্ন। বাট, উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।”
তিনি আরও বলেন, “যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। অপেক্ষা করেন। আমরা ওই বিষয়ে এখনও গেজেট পাইনি। সরকারের গেজেট আমাদের কাছে এলে তখন বসে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেব। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।”
উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলে সেই দলের নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তাদের দাবি, দলের বর্তমান কার্যক্রম ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলন দমন এবং সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি পরিষ্কার করে জানান, নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো সরকারি গেজেট বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাতে পায়নি, তাই প্রক্রিয়াগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষণে এসেছে কার্টার সেন্টার। তারা নির্বাচন ইস্যুতে সব বিষয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা জেনেছেন, এই কমিশনের উপর সব পক্ষের মোটামুটি আস্থা রয়েছে—তারা সেটা জেনে খুশি হয়েছেন।”
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, মাইকেল বালদাসারো, সাইরাহ জাহেদি, ড্যানিয়েল রিচার্ডস এবং কাজী শহীদুল ইসলাম।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করলে, সেই কাগজ হাতে পাওয়ার পরই দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত এলে তবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “গণমাধ্যমের তথ্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। প্রজ্ঞাপনটা আসতে দেন। ডেফিনিটলি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরাও এটা নিয়ে কনসার্ন। বাট, উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।”
তিনি আরও বলেন, “যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। অপেক্ষা করেন। আমরা ওই বিষয়ে এখনও গেজেট পাইনি। সরকারের গেজেট আমাদের কাছে এলে তখন বসে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেব। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।”
উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলে সেই দলের নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তাদের দাবি, দলের বর্তমান কার্যক্রম ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলন দমন এবং সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি পরিষ্কার করে জানান, নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো সরকারি গেজেট বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাতে পায়নি, তাই প্রক্রিয়াগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষণে এসেছে কার্টার সেন্টার। তারা নির্বাচন ইস্যুতে সব বিষয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা জেনেছেন, এই কমিশনের উপর সব পক্ষের মোটামুটি আস্থা রয়েছে—তারা সেটা জেনে খুশি হয়েছেন।”
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, মাইকেল বালদাসারো, সাইরাহ জাহেদি, ড্যানিয়েল রিচার্ডস এবং কাজী শহীদুল ইসলাম।