ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, কোনো ধরনের মবের ঘটনা ‘প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’ কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে কেউ যেন আইন ‘নিজের হাতে তুলে না নেয়’ সেই অনুরোধও রেখেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার আছে এবং আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি, যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করতেছি না।’ তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির বিস্তারিত নাম পরিচয় জানাননি ডিএমপি কমিশনার।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী গতরাতে হানিফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। হানিফ স্বেচ্ছাসেবক দলের উত্তরা পশ্চিম থানার নেতা।’ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও মহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির মামলার আসামি হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরই কথিত জনতা গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। আটকের সময় তারা নূরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে সাবেক সিইসিকে অপদস্থ করা হয়। ওই সময় কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভও করেন। এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তার গেঞ্জির কলার ধরে রেখে বক্তব্য দিতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এ সময় ওই ব্যক্তির পাশে পুলিশের পোশাক পরা একজনকে দেখা যায়।
পরে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই মামলায় সাবেক সিইসিকে চার দিনের রিমান্ডেও পাঠিয়েছে আদালত। নূরুল হুদাকে হেনস্তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ‘দায়ীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে বিবৃতি এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও।
এদিন ‘মব’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বললেন, ‘মবের’
ঘটনায় ইতিপূর্বে ছিনতাই-ডাকাতির মত অনেক মামলা নেয়া হয়েছে। ‘আমার অফিসাররা এক দুটি ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারণে আমি তাদের সাসপেন্ড করছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিছি। তবে তিন, চারমাস, দুইমাস আগে মব জাস্টিস যে পরিমাণ ছিল, এখন আর অতটা নাই।’
কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ এসব ঘটনার ক্ষেত্রে ‘বার্তা দিতে’ সক্ষম হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যে এ ধরনের কাজ, রাতে কারও বাড়িতে আসামি আছে বলে তার বাড়িতে হানা দেয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা। এ ধরনের ঘটনা আমরা মোটেই গ্রহণ করতেছি না। এর বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কারণে রিসেন্টলি এ ঘটনাও অনেক কমে গেছে।’ ‘আমি সেটাও অনেক করতেছি, কেউ যেন কোনো অপরাধীকে ধরার জন্য না যায়। আপনারা আমাদের খবর দেন, আমরা যাব, আমরা ধরব। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার রাখি না। এটা পুলিশের দায়িত্ব, পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’
এ ধরনের ঘটনা জানানোর পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমার যেসব অফিসার ব্যবস্থা নিবে না, আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব। কিন্তু কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন।’
রাস্তাকে দাবি আদায়ের জায়গা বানাবেন না
এ সময় আন্দোলনের জন্য সড়ক বেছে ‘না নিতে’ অনুরোধ রেখেছেন সাজ্জাত আলী। ‘সবাইকে অনুরোধ করছি, প্লিজ আপনারা রাস্তাকে বেছে নেবেন না। রাস্তায় কোনো ব্লক দিবেন না। মানুষকে দুর্ভোগ দিবেন না।’ ‘অনেক অনুরোধ করতেছি, কিন্তু গত সাত মাস যাবৎ আমি ডিএমপি কমিশনার, এত রিক্যুয়েস্ট সত্ত্বেও সাড়া আমি পাই নাই, পাচ্ছি না। তবে আমি হতাশ হতে চাই না। আমি ঢাকাবাসীর কাছে, সবার কাছে এই অনুরোধ রাখতে চাই। আপনারা রাস্তাকে দাবি আদায়ের স্থল বানাবেন না।’
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘আলোচনার টেবিলে’ বসে সমস্যা সমাধান করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে টেবিলে বসুন, তাদের অফিসে যান। টেবিলে বসে সমস্যা সমাধান করুন। রাস্তা সমস্যা বা দাবি আদায়ের কোনো স্থল হতে পারে না।’ সাজ্জাত আলীর কথায়, ‘দাবি আদায়ের জন্য সড়ক বন্ধ করে রাখলেও ‘পটপরিবর্তনের’ আগের পুলিশের মতো বর্তমান পুলিশ আচরণ করতে ‘চায় না’।
তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা হইছে এই ঘটনা আমরা চাই না। আমি কোনো বিদেশি পুলিশ না, ব্রিটিশ পুলিশ না বা অন্য দেশের পুলিশ না। আমার দেশের মানুষের উপরে কোনো লাঠিচার্জ বা কোনো ধরনের শক্ত ব্যবস্থা নিতে আমি চাই না, কোনোভাবেই নিতে চাই না।’
অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি নিজে বৈঠক করেছেন জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ফরমালি আমি সব পলিটিক্যাল পার্টির নেতৃবৃন্দকে, তাদের প্রতিনিধিদের আমার অফিসে দাওয়াত দিব। তাদেরও রিক্যুয়েস্ট করব তারা যেন রাস্তায় প্রোগ্রাম না দেয়।’ ট্রাফিক ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সবার ‘সহযোগিতা’ চেয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কেউ কোনো দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য রাস্তায় আসবেন না, প্লিজ রাস্তায় আসবেন না।’
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, কোনো ধরনের মবের ঘটনা ‘প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’ কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে কেউ যেন আইন ‘নিজের হাতে তুলে না নেয়’ সেই অনুরোধও রেখেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার আছে এবং আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি, যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করতেছি না।’ তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির বিস্তারিত নাম পরিচয় জানাননি ডিএমপি কমিশনার।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী গতরাতে হানিফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। হানিফ স্বেচ্ছাসেবক দলের উত্তরা পশ্চিম থানার নেতা।’ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও মহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির মামলার আসামি হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরই কথিত জনতা গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। আটকের সময় তারা নূরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে সাবেক সিইসিকে অপদস্থ করা হয়। ওই সময় কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভও করেন। এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তার গেঞ্জির কলার ধরে রেখে বক্তব্য দিতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এ সময় ওই ব্যক্তির পাশে পুলিশের পোশাক পরা একজনকে দেখা যায়।
পরে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই মামলায় সাবেক সিইসিকে চার দিনের রিমান্ডেও পাঠিয়েছে আদালত। নূরুল হুদাকে হেনস্তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ‘দায়ীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে বিবৃতি এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও।
এদিন ‘মব’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বললেন, ‘মবের’
ঘটনায় ইতিপূর্বে ছিনতাই-ডাকাতির মত অনেক মামলা নেয়া হয়েছে। ‘আমার অফিসাররা এক দুটি ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারণে আমি তাদের সাসপেন্ড করছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিছি। তবে তিন, চারমাস, দুইমাস আগে মব জাস্টিস যে পরিমাণ ছিল, এখন আর অতটা নাই।’
কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ এসব ঘটনার ক্ষেত্রে ‘বার্তা দিতে’ সক্ষম হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যে এ ধরনের কাজ, রাতে কারও বাড়িতে আসামি আছে বলে তার বাড়িতে হানা দেয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা। এ ধরনের ঘটনা আমরা মোটেই গ্রহণ করতেছি না। এর বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কারণে রিসেন্টলি এ ঘটনাও অনেক কমে গেছে।’ ‘আমি সেটাও অনেক করতেছি, কেউ যেন কোনো অপরাধীকে ধরার জন্য না যায়। আপনারা আমাদের খবর দেন, আমরা যাব, আমরা ধরব। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার রাখি না। এটা পুলিশের দায়িত্ব, পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’
এ ধরনের ঘটনা জানানোর পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমার যেসব অফিসার ব্যবস্থা নিবে না, আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব। কিন্তু কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন।’
রাস্তাকে দাবি আদায়ের জায়গা বানাবেন না
এ সময় আন্দোলনের জন্য সড়ক বেছে ‘না নিতে’ অনুরোধ রেখেছেন সাজ্জাত আলী। ‘সবাইকে অনুরোধ করছি, প্লিজ আপনারা রাস্তাকে বেছে নেবেন না। রাস্তায় কোনো ব্লক দিবেন না। মানুষকে দুর্ভোগ দিবেন না।’ ‘অনেক অনুরোধ করতেছি, কিন্তু গত সাত মাস যাবৎ আমি ডিএমপি কমিশনার, এত রিক্যুয়েস্ট সত্ত্বেও সাড়া আমি পাই নাই, পাচ্ছি না। তবে আমি হতাশ হতে চাই না। আমি ঢাকাবাসীর কাছে, সবার কাছে এই অনুরোধ রাখতে চাই। আপনারা রাস্তাকে দাবি আদায়ের স্থল বানাবেন না।’
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘আলোচনার টেবিলে’ বসে সমস্যা সমাধান করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে টেবিলে বসুন, তাদের অফিসে যান। টেবিলে বসে সমস্যা সমাধান করুন। রাস্তা সমস্যা বা দাবি আদায়ের কোনো স্থল হতে পারে না।’ সাজ্জাত আলীর কথায়, ‘দাবি আদায়ের জন্য সড়ক বন্ধ করে রাখলেও ‘পটপরিবর্তনের’ আগের পুলিশের মতো বর্তমান পুলিশ আচরণ করতে ‘চায় না’।
তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা হইছে এই ঘটনা আমরা চাই না। আমি কোনো বিদেশি পুলিশ না, ব্রিটিশ পুলিশ না বা অন্য দেশের পুলিশ না। আমার দেশের মানুষের উপরে কোনো লাঠিচার্জ বা কোনো ধরনের শক্ত ব্যবস্থা নিতে আমি চাই না, কোনোভাবেই নিতে চাই না।’
অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি নিজে বৈঠক করেছেন জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ফরমালি আমি সব পলিটিক্যাল পার্টির নেতৃবৃন্দকে, তাদের প্রতিনিধিদের আমার অফিসে দাওয়াত দিব। তাদেরও রিক্যুয়েস্ট করব তারা যেন রাস্তায় প্রোগ্রাম না দেয়।’ ট্রাফিক ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সবার ‘সহযোগিতা’ চেয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কেউ কোনো দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য রাস্তায় আসবেন না, প্লিজ রাস্তায় আসবেন না।’