সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন সিলেটের আলোকচিত্র সাংবাদিক মোহিদ হোসেন।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। এদিন আরও পাঁচজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন।
মোহিদ জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সিলেটের মধুবন পয়েন্টে বিএনপির গায়েবানা জানাজা শেষে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ অতর্কিতে গুলি চালায়। তখন তিনি ও সহকর্মী সাংবাদিক আবু তোরাব দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পুলিশ লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু তোরাব মাটিতে বসে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়। ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়ার পর সেদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
সাক্ষ্যে মোহিদ পুলিশের এডিসি সাদিক কাউসার দস্তগীর, কোতোয়ালী থানার এসি মিজানুর রহমান ও ওসি মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন। তিনি ট্রাইব্যুনালে দুটি ভিডিও জমা দেন, যার একটি প্রদর্শিত হয়। তাতে দেখা যায়, পুলিশ মিছিলে গুলি চালাচ্ছে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আবু তোরাবকে তিনি নিজেই রিকশায় হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ হাসানাৎ আল মতিনও সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, ১৯ জুলাই হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শামসুল ইসলামকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি বুলেট অপসারণ করা হয়। তবে আইসিইউতে তিনি মারা যান।
সকালে সিলেটের আরেক সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটনও একই ঘটনার সাক্ষ্য দেন।
কৌঁসুলি মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ এখন শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন সিলেটের আলোকচিত্র সাংবাদিক মোহিদ হোসেন।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। এদিন আরও পাঁচজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন।
মোহিদ জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সিলেটের মধুবন পয়েন্টে বিএনপির গায়েবানা জানাজা শেষে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ অতর্কিতে গুলি চালায়। তখন তিনি ও সহকর্মী সাংবাদিক আবু তোরাব দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পুলিশ লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু তোরাব মাটিতে বসে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়। ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়ার পর সেদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
সাক্ষ্যে মোহিদ পুলিশের এডিসি সাদিক কাউসার দস্তগীর, কোতোয়ালী থানার এসি মিজানুর রহমান ও ওসি মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন। তিনি ট্রাইব্যুনালে দুটি ভিডিও জমা দেন, যার একটি প্রদর্শিত হয়। তাতে দেখা যায়, পুলিশ মিছিলে গুলি চালাচ্ছে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আবু তোরাবকে তিনি নিজেই রিকশায় হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ হাসানাৎ আল মতিনও সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, ১৯ জুলাই হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শামসুল ইসলামকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি বুলেট অপসারণ করা হয়। তবে আইসিইউতে তিনি মারা যান।
সকালে সিলেটের আরেক সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটনও একই ঘটনার সাক্ষ্য দেন।
কৌঁসুলি মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ এখন শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।