ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ও জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাদের কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্যারিস্টার এম সরওয়ার। এর ফলে গুম ও রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা ঘটনায় মামলায় এই ১৫ সেনা কর্মকতার হয়ে আর আইনি লড়াই করবেন না এ আইনজীবী। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে ‘পেশাগত নীতি’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এম সরওয়ার।
রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এদিন নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরওয়ার। পরে তা গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ফলে ওকালতনামা থেকে তার নাম প্রত্যাহার হয়েছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করা এই ১৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন তাদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন। এই মামলার মূল অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন। ১৫ কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সারেন্ডার করেছেন বলেও তখন দাবি করেন তিনি। তারা এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন ১৫ সেনা কর্মকর্তাও পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়া এই আইনজীবী।
অভিযুক্ত অফিসারদের নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন তখন বলেছিলেন ‘তারা কোর্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী। যারা সত্যিকারের অপরাধ সংঘটন করেছেন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, জেনারেল তারিক সিদ্দিকী, জেনারেল মুজিব পালিয়ে গেছেন।’ রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ এর সাক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে, তা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।”
২২ অক্টোবর শুনানি শেষে এই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরওয়ার। এর পরদিনই তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। গুমের দুই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রামপুরায় ২৮ হত্যা মামলার শুনানি হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ও জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাদের কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্যারিস্টার এম সরওয়ার। এর ফলে গুম ও রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা ঘটনায় মামলায় এই ১৫ সেনা কর্মকতার হয়ে আর আইনি লড়াই করবেন না এ আইনজীবী। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে ‘পেশাগত নীতি’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এম সরওয়ার।
রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এদিন নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরওয়ার। পরে তা গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ফলে ওকালতনামা থেকে তার নাম প্রত্যাহার হয়েছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করা এই ১৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন তাদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন। এই মামলার মূল অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন। ১৫ কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সারেন্ডার করেছেন বলেও তখন দাবি করেন তিনি। তারা এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন ১৫ সেনা কর্মকর্তাও পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়া এই আইনজীবী।
অভিযুক্ত অফিসারদের নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন তখন বলেছিলেন ‘তারা কোর্টের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী। যারা সত্যিকারের অপরাধ সংঘটন করেছেন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, জেনারেল তারিক সিদ্দিকী, জেনারেল মুজিব পালিয়ে গেছেন।’ রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ এর সাক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে, তা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।”
২২ অক্টোবর শুনানি শেষে এই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরওয়ার। এর পরদিনই তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। গুমের দুই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রামপুরায় ২৮ হত্যা মামলার শুনানি হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।