ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা নয়, ঢাকা থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ কারণে নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। তবে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে এখনই পদত্যাগ করছেন না তিনি। বলেছেন, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। বিএনপি এ আসনটি ফাঁকা রাখা প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেছেন, কোন দলে যোগ দিয়ে নয়, স্বতন্ত্র নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েই তিনি এগুচ্ছেন।
রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার গ্রিন রোডে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত ধানমণ্ডি থানার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটার স্থানান্তর করার আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এ উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
কোনো দলে যোগ দেবেন কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। তারপর দেখা যাক।’
বিএনপি যেসব আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকা-১০ আসন রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে অন্য সাংবাদিক আসিফ মাহমুদের কাছে জানতে চান, এটি তার জন্যই ফাঁকা রাখা হয়েছে কিনা বা তার সঙ্গে বিএনপির কোনো আলোচনা চলছে কিনা।
জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। কোনো রাজনৈতিক দল কোনো আসন ফাঁকা রাখলো কি রাখল না, সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমি আমার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে, এককভাবেই নেব।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর ধানমন্ডি এলাকায় থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তার। সেই জায়গা থেকে এই এলাকার ভোট হচ্ছেন, যাতে ভোটটা অপচয় না হয়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করবো এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি ভোটার হওয়ার পর দুইটা নির্বাচন হয়েছে- ২০১৮ ও ২০২৪ সালে। সেসময় কেউই ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথা থেকে করবো, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঢাকা থেকে করবো, ইনশাআল্লাহ।’
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসবেন কবে- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই বলছি যে, আমি নির্বাচন করবো। কবে নাগাদ পদত্যাগ করবো, এটা আপনারা জানেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আলোচনা করে দ্রুতই আপনাদের সে বিষয়ে জানাবো।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট কবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করার জন্য সময় দিয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ফিডব্যাক (মতামত) পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে বলা যাবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকারের তিনটা কাজ ছিল- সংস্কার, বিচার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর। আপনারা দেখছেন তিনটা কাজই সমানভাবে এগিয়ে চলছে। বিচারের বিষয়ে এ মাসের মধ্যেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে আমরা জানি। সংস্কারের কার্যক্রমও চলমান আছে প্রায় শেষের দিকে। এখন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এ বিষয়গুলো ডিফাইন (সংজ্ঞায়িত) হয়ে গেলেই আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। নির্বাচনের বিষয়ে সরকার খুব স্পষ্টভাবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলেছে এবং বারবার বলছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার সব অংশীজনদের প্রস্তুত করছে এবং সবার সহযোগিতাও চাইছে।’
যেসব দল আঙুল বাঁকা করে ঘি খেতে চায়, তাদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কিনা- এক সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আহ্বানে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যেহেতু সরকারের অংশ আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা নয়, ঢাকা থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ কারণে নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। তবে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে এখনই পদত্যাগ করছেন না তিনি। বলেছেন, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। বিএনপি এ আসনটি ফাঁকা রাখা প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেছেন, কোন দলে যোগ দিয়ে নয়, স্বতন্ত্র নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েই তিনি এগুচ্ছেন।
রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার গ্রিন রোডে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত ধানমণ্ডি থানার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটার স্থানান্তর করার আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এ উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
কোনো দলে যোগ দেবেন কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। তারপর দেখা যাক।’
বিএনপি যেসব আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকা-১০ আসন রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে অন্য সাংবাদিক আসিফ মাহমুদের কাছে জানতে চান, এটি তার জন্যই ফাঁকা রাখা হয়েছে কিনা বা তার সঙ্গে বিএনপির কোনো আলোচনা চলছে কিনা।
জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। কোনো রাজনৈতিক দল কোনো আসন ফাঁকা রাখলো কি রাখল না, সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আমি আমার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে, এককভাবেই নেব।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর ধানমন্ডি এলাকায় থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তার। সেই জায়গা থেকে এই এলাকার ভোট হচ্ছেন, যাতে ভোটটা অপচয় না হয়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করবো এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি ভোটার হওয়ার পর দুইটা নির্বাচন হয়েছে- ২০১৮ ও ২০২৪ সালে। সেসময় কেউই ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথা থেকে করবো, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঢাকা থেকে করবো, ইনশাআল্লাহ।’
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসবেন কবে- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই বলছি যে, আমি নির্বাচন করবো। কবে নাগাদ পদত্যাগ করবো, এটা আপনারা জানেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আলোচনা করে দ্রুতই আপনাদের সে বিষয়ে জানাবো।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট কবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করার জন্য সময় দিয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ফিডব্যাক (মতামত) পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে বলা যাবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকারের তিনটা কাজ ছিল- সংস্কার, বিচার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর। আপনারা দেখছেন তিনটা কাজই সমানভাবে এগিয়ে চলছে। বিচারের বিষয়ে এ মাসের মধ্যেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে আমরা জানি। সংস্কারের কার্যক্রমও চলমান আছে প্রায় শেষের দিকে। এখন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এ বিষয়গুলো ডিফাইন (সংজ্ঞায়িত) হয়ে গেলেই আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। নির্বাচনের বিষয়ে সরকার খুব স্পষ্টভাবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলেছে এবং বারবার বলছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার সব অংশীজনদের প্রস্তুত করছে এবং সবার সহযোগিতাও চাইছে।’
যেসব দল আঙুল বাঁকা করে ঘি খেতে চায়, তাদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কিনা- এক সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আহ্বানে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যেহেতু সরকারের অংশ আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।’