বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত রায়ে বলেছে, বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি আসনই বহাল থাকবে।
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
এর আগে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়। রিটটি দায়ের করে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতি। রিটে বিবাদী করা হয় বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে।
গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার নামে বাগেরহাটের চার আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়া হয়, গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়।
ইসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাগেরহাটে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। তারা হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে এবং কমিশনের শুনানিতেও অংশ নিয়ে চার আসন বহাল রাখার দাবি জানায়। তবে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করলে বাগেরহাটে চার আসনের পরিবর্তে তিনটি আসন করা হয়। নতুন গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১: (সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা)। ফলে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন বিলুপ্ত হয়ে যায়, যা স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে সেই ঐতিহাসিক চার আসনই পুনরায় বহাল থাকল। আদালত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে একতরফাভাবে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
হাইকোর্টের এ রায়ে বাগেরহাটে রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা বলেন, ‘জনগণের রায়ের জয় হয়েছে, আদালত গণমানুষের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত রায়ে বলেছে, বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি আসনই বহাল থাকবে।
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
এর আগে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়। রিটটি দায়ের করে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতি। রিটে বিবাদী করা হয় বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে।
গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার নামে বাগেরহাটের চার আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়া হয়, গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়।
ইসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাগেরহাটে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। তারা হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে এবং কমিশনের শুনানিতেও অংশ নিয়ে চার আসন বহাল রাখার দাবি জানায়। তবে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করলে বাগেরহাটে চার আসনের পরিবর্তে তিনটি আসন করা হয়। নতুন গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১: (সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা)। ফলে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন বিলুপ্ত হয়ে যায়, যা স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে সেই ঐতিহাসিক চার আসনই পুনরায় বহাল থাকল। আদালত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে একতরফাভাবে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
হাইকোর্টের এ রায়ে বাগেরহাটে রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা বলেন, ‘জনগণের রায়ের জয় হয়েছে, আদালত গণমানুষের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’