ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পিআর পদ্ধতিতে এ দেশের মানুষ পরিচিত নয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (পিআর পদ্ধতি) আমরা গ্রহণ করব না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বলছে, পিআর পদ্ধতিতেই ভোট করতে হবে। সেটা না করলে নাকি ভোট হবে না। ভাই, ভোটকে এত ভয় পাচ্ছ কেন? কারণ, তারা জানে, ভোট হলে তাঁদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দীর্ঘ নয় মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পরও, যদি ঐকমত্যের বাইরের কোনো কিছু জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন
তিনি অন্য একটি দলের বিরুদ্ধে ইসলামের অপব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে মানুষের কর্মই তার বেহেশতের পথ তৈরি করে। মানুষকে ভালোবাসা, নামাজ-রোজা পালন করা, মিথ্যা না বলা এবং সুদ না খাওয়ার মাধ্যমেই বেহেশতে যাওয়া যায়। তাদের টিকিটে ভোট দিলেই কি কেউ বেহেশতে যেতে পারবে? যারা এই ধরনের মুনাফেকি করে, তাদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"
তিনি পিআর পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেন এবং বলেন, "কিন্তু অন্য দলটি জোর দিয়ে বলছে যে পিআর পদ্ধতিতেই ভোট হতে হবে। তারা ভোটকে এতটা ভয় পাচ্ছে কারণ তারা জানে, ভোট হলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।"
আরেকটি দল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, "ওরা তো ভোটেই পাবে না। তাই তারাও পিআর পদ্ধতির পক্ষে কথা বলছে। এটি মূলত ভোট পেছানো এবং পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার চক্রান্ত। আমরা কেবল সেই সংস্কারগুলোর পক্ষেই আছি, যেগুলো নিয়ে একমত হয়েছিলাম। এর বাইরে অন্য কিছুর দায় আমরা নেব না।"
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, শিশুদের সুস্থভাবে গড়ে তোলার জন্য শারীরিক শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন। একইভাবে, শিশুদের গান শিখতে দিলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই; বরং তারা ভালো কিছু শিখতে পারবে।
নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, "দেশের সামনে সব সময় সুযোগ আসে না। এবার একটি সুযোগ এসেছে। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সঠিক সরকার গঠন করতে হবে।"
বিরোধী দলের একটি কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "তাদের নেত্রী বিদেশে গিয়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন। আমরা দেখলাম ঢাকায় কিছু গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। যারা গাড়ি পোড়ায় এবং দেশের সম্পদ নষ্ট করে, তাদের কি আমরা এ দেশে আসতে দেব? সাহস থাকলে এ দেশে এসে জনগণের সামনে রাজনীতি কর। বিদেশে বসে দেশের সর্বনাশ কর না।"
এই মতবিনিময় সভায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন স্তরের দলীয় নেতা-কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
পিআর পদ্ধতিতে এ দেশের মানুষ পরিচিত নয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (পিআর পদ্ধতি) আমরা গ্রহণ করব না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বলছে, পিআর পদ্ধতিতেই ভোট করতে হবে। সেটা না করলে নাকি ভোট হবে না। ভাই, ভোটকে এত ভয় পাচ্ছ কেন? কারণ, তারা জানে, ভোট হলে তাঁদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দীর্ঘ নয় মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পরও, যদি ঐকমত্যের বাইরের কোনো কিছু জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন
তিনি অন্য একটি দলের বিরুদ্ধে ইসলামের অপব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে মানুষের কর্মই তার বেহেশতের পথ তৈরি করে। মানুষকে ভালোবাসা, নামাজ-রোজা পালন করা, মিথ্যা না বলা এবং সুদ না খাওয়ার মাধ্যমেই বেহেশতে যাওয়া যায়। তাদের টিকিটে ভোট দিলেই কি কেউ বেহেশতে যেতে পারবে? যারা এই ধরনের মুনাফেকি করে, তাদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"
তিনি পিআর পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেন এবং বলেন, "কিন্তু অন্য দলটি জোর দিয়ে বলছে যে পিআর পদ্ধতিতেই ভোট হতে হবে। তারা ভোটকে এতটা ভয় পাচ্ছে কারণ তারা জানে, ভোট হলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।"
আরেকটি দল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, "ওরা তো ভোটেই পাবে না। তাই তারাও পিআর পদ্ধতির পক্ষে কথা বলছে। এটি মূলত ভোট পেছানো এবং পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার চক্রান্ত। আমরা কেবল সেই সংস্কারগুলোর পক্ষেই আছি, যেগুলো নিয়ে একমত হয়েছিলাম। এর বাইরে অন্য কিছুর দায় আমরা নেব না।"
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, শিশুদের সুস্থভাবে গড়ে তোলার জন্য শারীরিক শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন। একইভাবে, শিশুদের গান শিখতে দিলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই; বরং তারা ভালো কিছু শিখতে পারবে।
নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, "দেশের সামনে সব সময় সুযোগ আসে না। এবার একটি সুযোগ এসেছে। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সঠিক সরকার গঠন করতে হবে।"
বিরোধী দলের একটি কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "তাদের নেত্রী বিদেশে গিয়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন। আমরা দেখলাম ঢাকায় কিছু গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। যারা গাড়ি পোড়ায় এবং দেশের সম্পদ নষ্ট করে, তাদের কি আমরা এ দেশে আসতে দেব? সাহস থাকলে এ দেশে এসে জনগণের সামনে রাজনীতি কর। বিদেশে বসে দেশের সর্বনাশ কর না।"
এই মতবিনিময় সভায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন স্তরের দলীয় নেতা-কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।