সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে সৌদি বিমান বাহিনীর ফ্লাইটে জেদ্দায় ফিরেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি। এদেরকে কাল সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে এ দলই সবার আগে সশস্ত্র সংঘাতে বিশৃঙ্খল সুদান থেকে ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পোর্ট সুদান এলাকা থেকে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জেদ্দায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে পোর্ট সুদান এলাকা থেকে প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় সুদান ছাড়তে পারা প্রবাসীদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদের রাতেই বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে বলেও দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুদানের দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে খার্তুম থেকে গত ২ মে রাতে পোর্ট সুদান পৌঁছান ৬৮২ বাংলাদেশি, সেখানে তাদেরকে একটি মাদ্রাসায় অস্থায়ীভাবে রেখে ফেরানোর কার্যক্রম চলছে।
শুরুতে পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে জেদ্দায় ফেরানোর কথা ছিল বাংলাদেশিদের। শেষ পর্যন্ত সৌদি বিমান বাহিনীর ফ্লাইটে তিন দফায় ফিরলেন একাংশ।
সুদানে থাকা প্রবাসীরা জানিয়েছেন, গত চার দিনে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।
খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ বলেন, “শনিবার রাতে ৪০০ জনকে জাহাজে ফেরানোর কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাহাজ ছাড়েনি।
“এরপর আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানাই নারী-শিশু ও অসুস্থ লোকদেরকে নিয়ে আমরা কী করব, কীভাবে খাবারসহ অন্য কিছুর ব্যবস্থা হবে। পরে তারা ১৩৫ জনের টিকেট দিয়েছে।”
প্রথম ফ্লাইটে ৪৫, দ্বিতীয়টিতে ২৪ এবং তৃতীয়টিতে ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় গিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভালো দিক হচ্ছে, আমরা ঝুঁকির মধ্যে যারা আছেন তাদেরকে আগে পাঠাতে চেয়েছিলাম, তারা ফিরে গেছেন।”
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, দুপুরে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের একটি অংশ রোববার রাত একটার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
উড়োজাহাজের ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার আনুমানিক সময় সকাল সাড়ে ১০টা।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সুদান থেকে প্রথম দফায় নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
“এ সকল বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
রোববার, ০৭ মে ২০২৩
সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে সৌদি বিমান বাহিনীর ফ্লাইটে জেদ্দায় ফিরেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি। এদেরকে কাল সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে এ দলই সবার আগে সশস্ত্র সংঘাতে বিশৃঙ্খল সুদান থেকে ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পোর্ট সুদান এলাকা থেকে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জেদ্দায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে পোর্ট সুদান এলাকা থেকে প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় সুদান ছাড়তে পারা প্রবাসীদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদের রাতেই বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে বলেও দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুদানের দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে খার্তুম থেকে গত ২ মে রাতে পোর্ট সুদান পৌঁছান ৬৮২ বাংলাদেশি, সেখানে তাদেরকে একটি মাদ্রাসায় অস্থায়ীভাবে রেখে ফেরানোর কার্যক্রম চলছে।
শুরুতে পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে জেদ্দায় ফেরানোর কথা ছিল বাংলাদেশিদের। শেষ পর্যন্ত সৌদি বিমান বাহিনীর ফ্লাইটে তিন দফায় ফিরলেন একাংশ।
সুদানে থাকা প্রবাসীরা জানিয়েছেন, গত চার দিনে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।
খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ বলেন, “শনিবার রাতে ৪০০ জনকে জাহাজে ফেরানোর কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাহাজ ছাড়েনি।
“এরপর আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানাই নারী-শিশু ও অসুস্থ লোকদেরকে নিয়ে আমরা কী করব, কীভাবে খাবারসহ অন্য কিছুর ব্যবস্থা হবে। পরে তারা ১৩৫ জনের টিকেট দিয়েছে।”
প্রথম ফ্লাইটে ৪৫, দ্বিতীয়টিতে ২৪ এবং তৃতীয়টিতে ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় গিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভালো দিক হচ্ছে, আমরা ঝুঁকির মধ্যে যারা আছেন তাদেরকে আগে পাঠাতে চেয়েছিলাম, তারা ফিরে গেছেন।”
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, দুপুরে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের একটি অংশ রোববার রাত একটার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
উড়োজাহাজের ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার আনুমানিক সময় সকাল সাড়ে ১০টা।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সুদান থেকে প্রথম দফায় নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
“এ সকল বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”