ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে লড়ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক আবেগঘন বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এটাই হতে পারে জীবনের শেষ নির্বাচন। তিনি বলেন ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না!’
মির্জা ফখরুল সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল সোমবার ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় তার নাম ঘোষণার পর মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) নিজের ফেইসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন!’
৭৭ বছর বয়সী এ প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, কারাজীবন এবং আন্দোলনের পথপরিক্রমায় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, গভীর মানবিক বন্ধনেরও। পোস্টে তিনি দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘দলের সব কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু, করতেন ছাত্র ইউনিয়ন। এরপর মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপ। তারপর যোগদেন বিএনপিতে। ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিব নির্বাচিত হন মির্জা ফখরুল।
তিনি স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘পরিবার তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অনেক দুঃসময় পেরিয়েছে। ১৯৮৭ সালে আবার রাজনীতিতে ফিরি। আমার মেয়ে দুটো তখন খুব ছোট। স্ত্রীও তরুণী। বুঝতে পারেনি কী অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছি।’
এক আবেগঘন অংশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বড় মেয়ের অপারেশনের
সময় ঢাকার পথে গাড়িতে রাত কাটানোর সেই দিনগুলো, যা রাজনীতির ত্যাগের সঙ্গে জড়িত তার পরিবারেরই গল্প।’
যারা মনোনয়ন পাননি, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ সম্মান ও দায়িত্ব দেবে।’ কর্মীদের উদ্দেশ্যে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমার জন্য এবং দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকবো।’
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নেয়ার!’
রাজনীতির দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া এ নেতার বক্তব্য শুধু নির্বাচনী ঘোষণা নয় বরং রাজনৈতিক সংগ্রাম, পারিবারিক ত্যাগ এবং দলীয় ঐক্যের বার্তা বহন করে। তার ফেইসবুক পোস্টটি ইতোমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে লড়ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক আবেগঘন বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এটাই হতে পারে জীবনের শেষ নির্বাচন। তিনি বলেন ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না!’
মির্জা ফখরুল সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল সোমবার ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় তার নাম ঘোষণার পর মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) নিজের ফেইসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন!’
৭৭ বছর বয়সী এ প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, কারাজীবন এবং আন্দোলনের পথপরিক্রমায় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, গভীর মানবিক বন্ধনেরও। পোস্টে তিনি দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘দলের সব কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু, করতেন ছাত্র ইউনিয়ন। এরপর মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপ। তারপর যোগদেন বিএনপিতে। ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিব নির্বাচিত হন মির্জা ফখরুল।
তিনি স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘পরিবার তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অনেক দুঃসময় পেরিয়েছে। ১৯৮৭ সালে আবার রাজনীতিতে ফিরি। আমার মেয়ে দুটো তখন খুব ছোট। স্ত্রীও তরুণী। বুঝতে পারেনি কী অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছি।’
এক আবেগঘন অংশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বড় মেয়ের অপারেশনের
সময় ঢাকার পথে গাড়িতে রাত কাটানোর সেই দিনগুলো, যা রাজনীতির ত্যাগের সঙ্গে জড়িত তার পরিবারেরই গল্প।’
যারা মনোনয়ন পাননি, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ সম্মান ও দায়িত্ব দেবে।’ কর্মীদের উদ্দেশ্যে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমার জন্য এবং দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকবো।’
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নেয়ার!’
রাজনীতির দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া এ নেতার বক্তব্য শুধু নির্বাচনী ঘোষণা নয় বরং রাজনৈতিক সংগ্রাম, পারিবারিক ত্যাগ এবং দলীয় ঐক্যের বার্তা বহন করে। তার ফেইসবুক পোস্টটি ইতোমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।