শনিবার রাজধানীতে সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমীর তাহের
জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল বলেছে, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। এ দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ১১ নভেম্বর জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেয়ার চেষ্টা না করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে দলগুলো।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার পক্ষে। জামায়াতসহ আট দল চায়, আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার পর তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে আসার আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির।
তবে জামায়াতের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আলোচনায় বসতে রাজি আছে বিএনপি। তবে অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়ে কেন তাদের আলোচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
এ প্রসেঙ্গ আট দলের নেতারা বলেন, বিএনপি তাদের আহ্বানে রাজি না হলেও বিএনপি যদি তাদের আহ্বান জানায় তাহলে তারা সাড়া দেবেন।
বৈঠকে পাঁচ দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় জনসমাবেশ সফল করা নিয়ে আলোচনা হয়।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলোÑ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন বক্তব্য দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার রাজধানীতে সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমীর তাহের
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল বলেছে, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। এ দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ১১ নভেম্বর জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেয়ার চেষ্টা না করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে দলগুলো।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার পক্ষে। জামায়াতসহ আট দল চায়, আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার পর তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে আসার আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির।
তবে জামায়াতের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আলোচনায় বসতে রাজি আছে বিএনপি। তবে অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়ে কেন তাদের আলোচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
এ প্রসেঙ্গ আট দলের নেতারা বলেন, বিএনপি তাদের আহ্বানে রাজি না হলেও বিএনপি যদি তাদের আহ্বান জানায় তাহলে তারা সাড়া দেবেন।
বৈঠকে পাঁচ দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় জনসমাবেশ সফল করা নিয়ে আলোচনা হয়।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলোÑ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন বক্তব্য দেন।