নিবন্ধন না পেয়ে অনশনে থাকা আমজনতার দল-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমানকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, “আমজনতার দল যদি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে কমিশন সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আইনগত দিক থেকে আমরা যা বলার ছিল, তা চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এখন তারা চাইলে আপিল করতে পারেন, ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আপিল, সংশোধন, পরিবর্ধন বা সময় বাড়ানো—এসব বিষয় প্রচলিত নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কমিশন বিষয়টি নিশ্চয়ই বিবেচনায় নেবে। অনশন ভেঙে আইনসম্মত সমাধানের পথে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।”
সচিব জানান, আমজনতার দল যদি আপিল করে, তবে তা ইসি সচিব বরাবরই জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন না মেলায় দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি দেড় দিন অতিক্রম করেছেন অনশনে। বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নির্বাচন ভবনের সামনে এসে তারেক রহমানের অনশনে সংহতি জানান। ইশরাক, যিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল তাকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও ‘আইনি জটিলতায়’ তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। বর্তমানে তিনি ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী।
সংহতি জানাতে এসে সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, “আমি আজ এসেছি একজন সাধারণ ভোটার, নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে। তারেক রহমানের মতো তরুণ ও কর্মঠ নেতৃত্বকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা বৈষম্যমূলক। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া উচিত।”
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তিনটি নতুন দল—জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ—কে নিবন্ধন দিয়েছে। এ বিষয়ে আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
মোট ১৪৩টি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল, যার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ১২১টি বাদ পড়ে। মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষে ২২ দলের মধ্যে তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে আমজনতার দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে দলীয় সভাপতির বরাবর চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবুও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান নিবন্ধনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
নিবন্ধন না পেয়ে অনশনে থাকা আমজনতার দল-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমানকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, “আমজনতার দল যদি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে কমিশন সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আইনগত দিক থেকে আমরা যা বলার ছিল, তা চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এখন তারা চাইলে আপিল করতে পারেন, ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আপিল, সংশোধন, পরিবর্ধন বা সময় বাড়ানো—এসব বিষয় প্রচলিত নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কমিশন বিষয়টি নিশ্চয়ই বিবেচনায় নেবে। অনশন ভেঙে আইনসম্মত সমাধানের পথে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।”
সচিব জানান, আমজনতার দল যদি আপিল করে, তবে তা ইসি সচিব বরাবরই জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন না মেলায় দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি দেড় দিন অতিক্রম করেছেন অনশনে। বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নির্বাচন ভবনের সামনে এসে তারেক রহমানের অনশনে সংহতি জানান। ইশরাক, যিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল তাকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও ‘আইনি জটিলতায়’ তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। বর্তমানে তিনি ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী।
সংহতি জানাতে এসে সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, “আমি আজ এসেছি একজন সাধারণ ভোটার, নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে। তারেক রহমানের মতো তরুণ ও কর্মঠ নেতৃত্বকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা বৈষম্যমূলক। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া উচিত।”
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তিনটি নতুন দল—জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ—কে নিবন্ধন দিয়েছে। এ বিষয়ে আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
মোট ১৪৩টি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল, যার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ১২১টি বাদ পড়ে। মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষে ২২ দলের মধ্যে তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে আমজনতার দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে দলীয় সভাপতির বরাবর চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবুও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান নিবন্ধনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।