বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে আইনজীবীরা যে আবেদন জানিয়েছেন সেই বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তিকৃত হয়, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোনো স্কোপ (সুযোগ) নেই; তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।
তিনি বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোনো আদালতের কোনো নজির আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চেয়ে আইনমনন্ত্রী তখন জানিয়েছেন, স্মারকলিপিটি অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
পরবর্তীতে গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, আইনের কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে কোনো উপায় আছে কি না সে বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে আসতে একটু সময় নেওয়া হয়েছে।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবরার হত্যার প্রকৃত ও ন্যায় বিচার করা হয়েছে।
এ রায়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচার হয়েছে। প্রসিকিউশন টিম ও বিচার বিভাগের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিজ্ঞ আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না। রাজনীতি করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা ডেথ রেফারেন্স, এর নথিপত্রকে বলে পেপার বুক। আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেবো। যেন পেপার বুক তৈরির জন্য হাইকোর্টে কোনো বিলম্ব না হয়।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা— আইনের শাসন দেশে বিরাজ করছে। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।
আনিসুল হক বলেন, এই মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে তিন জন শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটির রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পদত্যাগকারী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার কর্মকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। শুধু সংসদ সদস্যই নয়, কোনো বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারে না।
বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে আইনজীবীরা যে আবেদন জানিয়েছেন সেই বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তিকৃত হয়, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোনো স্কোপ (সুযোগ) নেই; তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।
তিনি বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোনো আদালতের কোনো নজির আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চেয়ে আইনমনন্ত্রী তখন জানিয়েছেন, স্মারকলিপিটি অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
পরবর্তীতে গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, আইনের কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে কোনো উপায় আছে কি না সে বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে আসতে একটু সময় নেওয়া হয়েছে।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবরার হত্যার প্রকৃত ও ন্যায় বিচার করা হয়েছে।
এ রায়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচার হয়েছে। প্রসিকিউশন টিম ও বিচার বিভাগের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিজ্ঞ আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না। রাজনীতি করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা ডেথ রেফারেন্স, এর নথিপত্রকে বলে পেপার বুক। আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেবো। যেন পেপার বুক তৈরির জন্য হাইকোর্টে কোনো বিলম্ব না হয়।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা— আইনের শাসন দেশে বিরাজ করছে। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।
আনিসুল হক বলেন, এই মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে তিন জন শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটির রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পদত্যাগকারী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার কর্মকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। শুধু সংসদ সদস্যই নয়, কোনো বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারে না।