নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিদেশি চাপে আছে। তাই সম্প্রতি বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো ঝামেলা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের চাপ, বিভিন্ন চাপ যে তোমরা বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দাও না। এখন তারা দেখাচ্ছে যে বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছি। সমাবেশের চারদিকে পুলিশ আছে, কিন্তু ঝামেলা করছে না। কারণ, তারা দেখাচ্ছে, আমরা তো গণতান্ত্রিক দল, আমরা কোনো ঝামেলা করি না। এগুলো প্রতারণা। এই প্রতারণা তাদের চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে সরকার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু এখন রিজার্ভ কমছে। সরকার ঋণ চেয়ে বেড়াচ্ছে। বিশ্বে জ্বালানির দাম কম, কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে। সরকার তাহলে সমন্বয় কীভাবে করছে।

অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ভোলায় বিনা কারণে ২ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে সরকার বিএনপির ৬০০ এর বেশি নেতা কর্মীকে গুম করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

ইভিএমকে জালিয়াতির মেশিন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই ইভিএম চেয়েছে। এই মেশিন তারা চেতনায় ধারণ করে। কারণ ইভিএম মেশিন ছাড়া তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ভোট দেবেন ধানের শীষে, ভোট চলে যাবে নৌকায়। এ কারণেই তারা ইভিমএম মেশিন চায়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তারা আবারও নতুন করে পাঁয়তারা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ রাজপথ দখল করলে যে সুনামি সৃষ্টি হবে, সেই সুনামিতে এই ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিবাদী সরকার ভেসে চলে যাবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) কমিটির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।