প্রায় অর্ধ শতকেরও বেশী সময় ধরে বড় কোন শিরোপা জয় করতে না পারা ইংলিশরা। এবার এই শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামছে। গত দুটি বড় আসরে খুব কাছাকাছি গিয়েও শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংলিশরা।
স্বাগতিক কাতারকে নিয়ে মাঠের বাইরের সমালোচনায় ইংলিশদেরও বেশ সড়ব ভূমিকা ছিল। শেষ পর্যন্ত সব কিছুকে পিছনে ফেলে গ্যারেথ সাউথগেটের দল ফুটবলে মনোযোগী হবার সুযোগ পেয়েছে। এখন সময় এসেছে মাঠে নিজেদের প্রমানের। বিশ্বকাপে নিজেদের এগিয়ে নেবার জন্য চাপও রয়েছে ইংল্যান্ড দলের ওপর। গ্রুপ-বি’র প্রথম ম্যাচ থেকেই তাই সেরাটা দিতে চায় তারা। ইরান, ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে সুস্পষ্ট ফেবারিট হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
ছয় বছর আগে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাউথগেট। দিনের পর দিনে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় ইংলিশ ফুটবলের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তখনই সাউথগেট এসে দলকে নতুন করে গড়ে তোলেন। অপেক্ষাকৃত তরুণদের উপর ভরসা করেই এগিয়ে যেতে থাকেন সাউথগেট।
২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আইসল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায়ের লজ্জাজনক স্মৃতি এখনও অনেকে ভুলতে পারেনি। এই বিদায়ে তৎকালীন কোচ রয় হজসনের বিদায়ও তরান্বিত হয়। হজসনের উত্তরসূরী হিসেবে স্যাম অলড্রিচ এসে মাত্র ৬৭ দিন টিকে ছিলেন। তার অধীনে ইংল্যান্ড মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল। গণমাধ্যমে দল নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় বরখাস্ত হতে হয়েছিল অলড্রিচকে।
এরপরই সাউথগেট অধ্যায়ের শুরু। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা ছিল বিস্ময়কার। এরপর থেকেই কার্যত সাউথগেটের ওপর আস্থা বাড়তে থাকে ইংলিশ সমর্থকদেল। এরপর গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে নিয়ে গিয়ে ৫৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপার সবচেয়ে কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সাউথগেট। যদিও ইতালির কাছে হেরে শিরোপা হাতে তোলা হয়নি। ১৯৬৬ সালে ববি মুরের হাতে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা উঠেছিল। আর তারপর থেকে অধরাই থেকে গেছে বড় কোন শিরোপা।
চার বছর আগে ক্রোয়েশিয়ার কাছে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছিল। আর ওয়েম্বলিতে ইউরোর ফাইনালে লুক শ ম্যাচের শুরুতে গোল করলেও শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে আজ্জুরিদের কাছে পরাজিত হতে হয় স্বাগতিকদের। দুটি ম্যাচে ইংল্যান্ডই প্রতিপক্ষের তুলনায় এগিয়ে ছিল। কিন্তু দুটি ম্যাচেই রক্ষনাত্মক গেম-প্ল্যানের কারণে নিজেদের খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ইংলিশরা। আর তাতেই সমালোচনার মুখে পড়েন সাউথগেট।
কিন্তু এবার সব কিছু ভুলে আর চাপে পড়তে চাননা সাউথগেট। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে মাঠ ছাড়াটা ইংল্যান্ডের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কিন্তু পরের ম্যাচেই আবার জিততে না পারার ইতিহাসও তাদের রয়েছে। বিপরীতে ইরান অবশ্য ভারমুক্ত হয়েই মাঠে নামবে। কারণ তারা জানে এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই।
উরুর অস্ত্রোপচার শেষে ইংল্যান্ড দলের রাইট-ব্যাক কাইল ওয়াকার ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছেন সোমবারের ম্যাচটি তার জন্য কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের শুরুতে ইনজুরির শঙ্কায় জেমস ম্যাডিসন অনুশীলন করেননি। যদিও কাতারের প্রথম ম্যাচে খেলার আশা অবশ্য শুরু থেকেই করেননি এই তারকা। ওয়াকারের অনুপস্থিতিতে কিয়েরান ট্রিপিয়ার রাউট-ব্যাকে খেলবেন। ইউরো ২০২০’এ রাইস ও কালভিন ফিলিপস মধ্যমাঠে দারুন জুটি গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু কাঁধের ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা ফিলিপসের স্থানে হয়তোবা সোমবারের ম্যাচের জন্য জুড বেলিংহাম কিছুটা হলেও এগিয়ে আছেন।
এদিকে ইরানের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ওমিষ এব্রাহিমি উরুর ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন যা পুরো দলের জন্য অনেক বড় একটি ধাক্কা। বায়ার লেভারকুজেনের স্ট্রাইকার সারদার আজমুন নিজেকে ফিট প্রমান করে বিশ্বকাপে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন। যদিও ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ পের্তোর সেন্টার-ফরোয়ার্ড মেহদি টারেমিকে নিয়ে দারুন আশাবাদী।
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
প্রায় অর্ধ শতকেরও বেশী সময় ধরে বড় কোন শিরোপা জয় করতে না পারা ইংলিশরা। এবার এই শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামছে। গত দুটি বড় আসরে খুব কাছাকাছি গিয়েও শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংলিশরা।
স্বাগতিক কাতারকে নিয়ে মাঠের বাইরের সমালোচনায় ইংলিশদেরও বেশ সড়ব ভূমিকা ছিল। শেষ পর্যন্ত সব কিছুকে পিছনে ফেলে গ্যারেথ সাউথগেটের দল ফুটবলে মনোযোগী হবার সুযোগ পেয়েছে। এখন সময় এসেছে মাঠে নিজেদের প্রমানের। বিশ্বকাপে নিজেদের এগিয়ে নেবার জন্য চাপও রয়েছে ইংল্যান্ড দলের ওপর। গ্রুপ-বি’র প্রথম ম্যাচ থেকেই তাই সেরাটা দিতে চায় তারা। ইরান, ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে সুস্পষ্ট ফেবারিট হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
ছয় বছর আগে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাউথগেট। দিনের পর দিনে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় ইংলিশ ফুটবলের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তখনই সাউথগেট এসে দলকে নতুন করে গড়ে তোলেন। অপেক্ষাকৃত তরুণদের উপর ভরসা করেই এগিয়ে যেতে থাকেন সাউথগেট।
২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আইসল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায়ের লজ্জাজনক স্মৃতি এখনও অনেকে ভুলতে পারেনি। এই বিদায়ে তৎকালীন কোচ রয় হজসনের বিদায়ও তরান্বিত হয়। হজসনের উত্তরসূরী হিসেবে স্যাম অলড্রিচ এসে মাত্র ৬৭ দিন টিকে ছিলেন। তার অধীনে ইংল্যান্ড মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল। গণমাধ্যমে দল নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় বরখাস্ত হতে হয়েছিল অলড্রিচকে।
এরপরই সাউথগেট অধ্যায়ের শুরু। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা ছিল বিস্ময়কার। এরপর থেকেই কার্যত সাউথগেটের ওপর আস্থা বাড়তে থাকে ইংলিশ সমর্থকদেল। এরপর গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে নিয়ে গিয়ে ৫৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপার সবচেয়ে কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সাউথগেট। যদিও ইতালির কাছে হেরে শিরোপা হাতে তোলা হয়নি। ১৯৬৬ সালে ববি মুরের হাতে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা উঠেছিল। আর তারপর থেকে অধরাই থেকে গেছে বড় কোন শিরোপা।
চার বছর আগে ক্রোয়েশিয়ার কাছে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছিল। আর ওয়েম্বলিতে ইউরোর ফাইনালে লুক শ ম্যাচের শুরুতে গোল করলেও শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে আজ্জুরিদের কাছে পরাজিত হতে হয় স্বাগতিকদের। দুটি ম্যাচে ইংল্যান্ডই প্রতিপক্ষের তুলনায় এগিয়ে ছিল। কিন্তু দুটি ম্যাচেই রক্ষনাত্মক গেম-প্ল্যানের কারণে নিজেদের খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ইংলিশরা। আর তাতেই সমালোচনার মুখে পড়েন সাউথগেট।
কিন্তু এবার সব কিছু ভুলে আর চাপে পড়তে চাননা সাউথগেট। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে মাঠ ছাড়াটা ইংল্যান্ডের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কিন্তু পরের ম্যাচেই আবার জিততে না পারার ইতিহাসও তাদের রয়েছে। বিপরীতে ইরান অবশ্য ভারমুক্ত হয়েই মাঠে নামবে। কারণ তারা জানে এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই।
উরুর অস্ত্রোপচার শেষে ইংল্যান্ড দলের রাইট-ব্যাক কাইল ওয়াকার ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছেন সোমবারের ম্যাচটি তার জন্য কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের শুরুতে ইনজুরির শঙ্কায় জেমস ম্যাডিসন অনুশীলন করেননি। যদিও কাতারের প্রথম ম্যাচে খেলার আশা অবশ্য শুরু থেকেই করেননি এই তারকা। ওয়াকারের অনুপস্থিতিতে কিয়েরান ট্রিপিয়ার রাউট-ব্যাকে খেলবেন। ইউরো ২০২০’এ রাইস ও কালভিন ফিলিপস মধ্যমাঠে দারুন জুটি গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু কাঁধের ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা ফিলিপসের স্থানে হয়তোবা সোমবারের ম্যাচের জন্য জুড বেলিংহাম কিছুটা হলেও এগিয়ে আছেন।
এদিকে ইরানের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ওমিষ এব্রাহিমি উরুর ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন যা পুরো দলের জন্য অনেক বড় একটি ধাক্কা। বায়ার লেভারকুজেনের স্ট্রাইকার সারদার আজমুন নিজেকে ফিট প্রমান করে বিশ্বকাপে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন। যদিও ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ পের্তোর সেন্টার-ফরোয়ার্ড মেহদি টারেমিকে নিয়ে দারুন আশাবাদী।