কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
দারুন জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ল্যাতিন আমেরিকান দেশ ইকুয়েডর। রবিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে আল বাইত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতারকে গোলে পরাজিত করে ইকুয়েডর। ফুটবল ঐতিহ্য এবং শক্তির বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকা ইকুয়েডর ম্যাচে দাপটের সাথে খেলে জয় করায়াত্ব করে। জোড়া গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া।
ইকুয়েডরের টেকনিকের সাথে পেরে না উঠে শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলে কাতারের খেলোয়াড়রা। যে কারণে তারা কার্ডও দেখে বেশী। প্রথমার্ধেই কাতারের তিনজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন।
ইকুয়েডরের শুরুটা হতে পারতো স্বপ্নের মতো। খেলার তিন মিনিটেই কাইসেডোর মাধ্যমে তারা স্বাগতিক কাতারের জালে বল পাঠিয়ে গোলের উৎসব করে ফেলে। তবে রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দিলে প্রাথমিক ধাক্কা থেকে রক্ষা পায় কাতার। কিন্তু গোল বাতিল করার মতো কোন কারণ টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়নি। অবশ্য রেফারির এ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ইকুয়েডরকে বেশীক্ষণ গোল থেকে বঞ্চিত রাখতে পারেনি। ১৪ মিনিটে তারা গোল করে এগিয়ে যায়। গোলরক্ষক সাদ আলশিব প্রতিপক্ষের ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর এবং পেনাল্টি থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। খেলার ৩১ মিনিটের মাথায় আবারো গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ইবারার ক্রস থেকে হেডে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। খেলায় ইকুয়েডরের প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট। তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান কমানোর দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিল কাতার। গোলমুখে উড়ে আসা ক্রসে ঠিক মতো হেড করতে ব্যর্থ হন আলমোয়েজ আলী। তিনি বলে মাথায় সংযোগ ঘটাতে পারলেই ব্যবধান কমতে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য কাতার বলতে গেলে ইকুয়েডরের সাথে সমান তালে পাল্লা দিতে থাকে। অবশ্য গোলের সুযোগ সেভাবে তারা সৃষ্টি করতে পারছিল না। ইকুয়েডরের পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকেই সেগুলো রুখে দেয় ইকুয়েডরের রক্ষণভাগ। ৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুন একটি সুযোগ সৃষ্টি করে ইকুয়েডর। ইবারার দারুন একটি শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। শেষ দিকে আক্রমন পাল্টা আক্রমনে খেলা বেশ জমে ওঠে। তবে গোল করতে পারেনি কোন দলই। ফলে ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
দারুন জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ল্যাতিন আমেরিকান দেশ ইকুয়েডর। রবিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে আল বাইত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতারকে গোলে পরাজিত করে ইকুয়েডর। ফুটবল ঐতিহ্য এবং শক্তির বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকা ইকুয়েডর ম্যাচে দাপটের সাথে খেলে জয় করায়াত্ব করে। জোড়া গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া।
ইকুয়েডরের টেকনিকের সাথে পেরে না উঠে শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলে কাতারের খেলোয়াড়রা। যে কারণে তারা কার্ডও দেখে বেশী। প্রথমার্ধেই কাতারের তিনজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন।
ইকুয়েডরের শুরুটা হতে পারতো স্বপ্নের মতো। খেলার তিন মিনিটেই কাইসেডোর মাধ্যমে তারা স্বাগতিক কাতারের জালে বল পাঠিয়ে গোলের উৎসব করে ফেলে। তবে রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দিলে প্রাথমিক ধাক্কা থেকে রক্ষা পায় কাতার। কিন্তু গোল বাতিল করার মতো কোন কারণ টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়নি। অবশ্য রেফারির এ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ইকুয়েডরকে বেশীক্ষণ গোল থেকে বঞ্চিত রাখতে পারেনি। ১৪ মিনিটে তারা গোল করে এগিয়ে যায়। গোলরক্ষক সাদ আলশিব প্রতিপক্ষের ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর এবং পেনাল্টি থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। খেলার ৩১ মিনিটের মাথায় আবারো গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ইবারার ক্রস থেকে হেডে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। খেলায় ইকুয়েডরের প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট। তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান কমানোর দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিল কাতার। গোলমুখে উড়ে আসা ক্রসে ঠিক মতো হেড করতে ব্যর্থ হন আলমোয়েজ আলী। তিনি বলে মাথায় সংযোগ ঘটাতে পারলেই ব্যবধান কমতে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য কাতার বলতে গেলে ইকুয়েডরের সাথে সমান তালে পাল্লা দিতে থাকে। অবশ্য গোলের সুযোগ সেভাবে তারা সৃষ্টি করতে পারছিল না। ইকুয়েডরের পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকেই সেগুলো রুখে দেয় ইকুয়েডরের রক্ষণভাগ। ৫৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুন একটি সুযোগ সৃষ্টি করে ইকুয়েডর। ইবারার দারুন একটি শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। শেষ দিকে আক্রমন পাল্টা আক্রমনে খেলা বেশ জমে ওঠে। তবে গোল করতে পারেনি কোন দলই। ফলে ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।