কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় দিয়েই ফ্রান্স তাদের বিশ্বকাপ ট্রফি ধরে রাখার অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনের তৃতীয় ম্যাচে ফ্রান্স প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও দারুন ভাবে ঘুরে দাড়িয়ে ম্যাচ জিতেছে বড় ব্যবধানেই। এ ম্যাচে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদ করেন দুই গোল। এর মাধ্যমে তিনি দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশী গোল করার থিয়েরি অঁিরর রেকর্ড স্পর্শ করলেন।
জিরুদ বিরতির আগে ও পরে তার গোল দুটি করেন। এখন দেশের হয়ে তার গোল সংখ্যা ৫১টি। তার গোল দুটির মাঝ খানে একটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং আড্রিয়ান র্যাবিয়ট সবার আগে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ক্রেইগ গুডউইন প্রথমে গোল করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন দল ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ব্রাজিলের পর ফ্রান্সই প্রথম গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে হল। ২০১০ সালে ইটালি, ২০১৪ সালে স্পেন এবং ২০১৮ সালে জার্মানি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমে তাদের প্রথম ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হলো দিনের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে সৌদি আরবের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ফ্রান্সও গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতি থেকে তারা ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। যা তাদের পরের ম্যাচগুলোতে ভাল করতে সাহায্য করবে। আর এ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথটা অনেকটাই সহজ করে নিয়েছে তারা।
ইনজুরি আক্রান্ত ফ্রান্স দলে নতুন করে আহত হয়েছেন ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ। প্রথমার্ধে তিনি আঘাত পান। বিশ্বকাপে সম্ভবত তিনি আর খেলতে পারবেন না। গ্রুপের অপর ম্যাচে তিউনিসিয়া এবং ডেনমার্ক গোলশূন্য ড্র করায় ফ্রান্স সুবিধাজন জায়গায় পৌছে গেছে এক ম্যাচ জিতেই। তারা শনিবার পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ডেনমার্কের।
জোড়া গোলদাতা জিরুদ বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে দ্রুত নিজেদের সামলে নেই। আমরা আরো বেশী গোলে জিততে পারতাম। নিজেদের মধ্যে সবঝোতা দ্রুতই করতে পেরেছি। এভাবে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ান কোন গ্রাহাম আর্নল্ড স্বীকার করেন যে ফ্রান্সের মতো দলের সাথে খেলার মতো এনার্জি খেলোয়াড়দের শেষ পর্যন্ত ছিল না। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া দল দারুন লড়াই করলেও ধীরে ধীরে তাদের খেলায় ক্লান্তির ছাপ দেখা যায় এবং ম্যাচে একক নিয়ন্ত্রন নেয় ফ্রান্স।
অস্ট্রেলিয়া গুডউইনের গোলে এগিয়ে যায় নয় মিনিটের মাথায়। ম্যাথু লিকির ক্রস থেকে গোলটি করেন গুডউইন। এ সময় ফরাসী ডিফেন্ডার লুকাস হাটুর ইনজুরির কারণে ঠিকমতো বাধা দিতে পারেননি গুডউইনকে। লুকাসের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় তার ভাই থিও হার্নান্দেজকে। এর পর বেশ কিছু সময় ধরে ফ্রান্স দল তেমন কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। অস্ট্রেলিয়াই দাপটের সাথে খেলছিল। তবে ২৭ মিনিটে র্যাবিয়টের গোল পরিস্থিতি বদলে দেয়। হার্নান্দেজেরে ক্রস থেকে হেডে সমতা ফেরান র্যাবিয়ট। বাম দিকে খেলা শুরু করা এমবাপ্পে চলে যান মাঝ মাঠে এবং আক্রমণভাগে অনেক বেশী কার্যকারীতা দেখা যায়। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে র্যাবিয়ট ব্যাকহিল করে দেন জিরুদকে এবং তিনি ট্যাপ করে দলকে এগিয়ে দেন। এর পরও অস্ট্রেলিয়া প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। যদিও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি।
এমবাপ্পে ৬৮মিনিটে করেন দলের তৃতীয় গোল। এর তিন মিনিট পর জিরুদ নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন। শেষ দিকে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন থিও হার্নান্দেজ এবং ইব্রাহিমা কোনাটে। তার পরেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। কারণ আগেরবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমে ২০০২ সালে হেরেছিল সেনেগালের কাছে এবং বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় দিয়েই ফ্রান্স তাদের বিশ্বকাপ ট্রফি ধরে রাখার অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনের তৃতীয় ম্যাচে ফ্রান্স প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও দারুন ভাবে ঘুরে দাড়িয়ে ম্যাচ জিতেছে বড় ব্যবধানেই। এ ম্যাচে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদ করেন দুই গোল। এর মাধ্যমে তিনি দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশী গোল করার থিয়েরি অঁিরর রেকর্ড স্পর্শ করলেন।
জিরুদ বিরতির আগে ও পরে তার গোল দুটি করেন। এখন দেশের হয়ে তার গোল সংখ্যা ৫১টি। তার গোল দুটির মাঝ খানে একটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং আড্রিয়ান র্যাবিয়ট সবার আগে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ক্রেইগ গুডউইন প্রথমে গোল করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন দল ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ব্রাজিলের পর ফ্রান্সই প্রথম গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে হল। ২০১০ সালে ইটালি, ২০১৪ সালে স্পেন এবং ২০১৮ সালে জার্মানি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমে তাদের প্রথম ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হলো দিনের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে সৌদি আরবের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ফ্রান্সও গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতি থেকে তারা ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। যা তাদের পরের ম্যাচগুলোতে ভাল করতে সাহায্য করবে। আর এ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথটা অনেকটাই সহজ করে নিয়েছে তারা।
ইনজুরি আক্রান্ত ফ্রান্স দলে নতুন করে আহত হয়েছেন ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ। প্রথমার্ধে তিনি আঘাত পান। বিশ্বকাপে সম্ভবত তিনি আর খেলতে পারবেন না। গ্রুপের অপর ম্যাচে তিউনিসিয়া এবং ডেনমার্ক গোলশূন্য ড্র করায় ফ্রান্স সুবিধাজন জায়গায় পৌছে গেছে এক ম্যাচ জিতেই। তারা শনিবার পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ডেনমার্কের।
জোড়া গোলদাতা জিরুদ বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে দ্রুত নিজেদের সামলে নেই। আমরা আরো বেশী গোলে জিততে পারতাম। নিজেদের মধ্যে সবঝোতা দ্রুতই করতে পেরেছি। এভাবে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ান কোন গ্রাহাম আর্নল্ড স্বীকার করেন যে ফ্রান্সের মতো দলের সাথে খেলার মতো এনার্জি খেলোয়াড়দের শেষ পর্যন্ত ছিল না। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া দল দারুন লড়াই করলেও ধীরে ধীরে তাদের খেলায় ক্লান্তির ছাপ দেখা যায় এবং ম্যাচে একক নিয়ন্ত্রন নেয় ফ্রান্স।
অস্ট্রেলিয়া গুডউইনের গোলে এগিয়ে যায় নয় মিনিটের মাথায়। ম্যাথু লিকির ক্রস থেকে গোলটি করেন গুডউইন। এ সময় ফরাসী ডিফেন্ডার লুকাস হাটুর ইনজুরির কারণে ঠিকমতো বাধা দিতে পারেননি গুডউইনকে। লুকাসের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় তার ভাই থিও হার্নান্দেজকে। এর পর বেশ কিছু সময় ধরে ফ্রান্স দল তেমন কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। অস্ট্রেলিয়াই দাপটের সাথে খেলছিল। তবে ২৭ মিনিটে র্যাবিয়টের গোল পরিস্থিতি বদলে দেয়। হার্নান্দেজেরে ক্রস থেকে হেডে সমতা ফেরান র্যাবিয়ট। বাম দিকে খেলা শুরু করা এমবাপ্পে চলে যান মাঝ মাঠে এবং আক্রমণভাগে অনেক বেশী কার্যকারীতা দেখা যায়। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে র্যাবিয়ট ব্যাকহিল করে দেন জিরুদকে এবং তিনি ট্যাপ করে দলকে এগিয়ে দেন। এর পরও অস্ট্রেলিয়া প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। যদিও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি।
এমবাপ্পে ৬৮মিনিটে করেন দলের তৃতীয় গোল। এর তিন মিনিট পর জিরুদ নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন। শেষ দিকে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন থিও হার্নান্দেজ এবং ইব্রাহিমা কোনাটে। তার পরেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। কারণ আগেরবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমে ২০০২ সালে হেরেছিল সেনেগালের কাছে এবং বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।