কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
এশিয়ার দেশ ইরান ২-০ গোলে ওয়েলসকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাজে ভাবে পরাজিত হওয়া ইরান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওয়েলসের বিপক্ষে দারুন খেলে জয় ছিনিয়ে নেয়। প্রথম ম্যাচে আমেরিকার সাথে ১-১ গোলে ড্র করা ওয়েলসের এ পরাজয়ে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। কারণ তাদের আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে ইংল্যান্ডের সাথে। গ্রুপে ইংল্যান্ড সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। তাদের বিপক্ষে জিততে না পারলে কোন আশাই থাকবে না ওয়েলসের। অপর দিকে ইরান খেলবে আমেরিকার বিপক্ষে। এ ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে তাতে আমেরিকাকে হারানো অসম্ভব নয়।
ইরানের জন্য ওয়েলসের বিপক্ষের ম্যাচটি ছিল টিকে থাকার ম্যাচ। তাই শুরু থেকেই জয়ের জন্য চেষ্টা করতে থাকে ইরান। খেলায় তাদের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও গোল করা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে উভয় দলই। কিন্তু কেউই গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইরান চেপে ধরে ওয়েলসকে। ৫১ মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার পোস্ট তাদের সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়। আজমাউন বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট নিলে সেটি পোস্টে লেগে ফেরত যায়, ফিরতি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ঘোলিজাদেহ বাকানো শট মারেন, কিন্তু এবার অপর দিকে পোস্টে লেগে সেটি প্রতিহত হয়। আবার ফিরতি বল পান আজমাউন এবং তিনি হেড করলে সেটি বাচিয়ে দেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। এর পর থেকে ম্যাচে ইরানের প্রাধান্য স্থাপিত হয়। তারা সুযোগও তৈরী করতে থাকে, কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় গোল পায়নি। ৭৩ মিনিটে সাইদ এজাতোলাহির শট হাত লাগিয়ে বাইরে বের করে দেন হেনেসি।
ওয়েলস মাঝে মাঝে চেষ্টা করেছে আক্রমণে গিয়ে গোল আদায় করতে। কিন্তু ইরানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ওয়েলস তেমন সুবিধা করতে পারেনি। খেলার ৮৫ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে গিয়ে তারেমিকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। যদিও প্রথমে রেফারি দেখিয়েছিলেন হলুদ কার্ড। পরে ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেখান লাল কার্ড। শেষ কয়েক মিনিট ইরান চাপ বজায় রাখে এবং ইনজুরি টাইমের শেষ সময়ে গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। ওয়েলস শেষ দিকে ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে থাকায় ইরানের আক্রমনগুলো পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাই ইরান দূর পাল্লার শটে গোলের চেষ্টা চালিয়ে সাফল্য পায়। রুজবেহ চেশমি পেনাল্টি বক্সের বাইরে বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নেয়া শটে গোল করে ইরানকে এনে দেন বহুল কাঙ্খিত গোল। ওয়েলস বাকি সময়ে গোল করতে গিয়ে আরেকটি গোল খেয়ে বসে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইরানের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামিন রেজাইয়ান। স্মরনীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইরান।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
এশিয়ার দেশ ইরান ২-০ গোলে ওয়েলসকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাজে ভাবে পরাজিত হওয়া ইরান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওয়েলসের বিপক্ষে দারুন খেলে জয় ছিনিয়ে নেয়। প্রথম ম্যাচে আমেরিকার সাথে ১-১ গোলে ড্র করা ওয়েলসের এ পরাজয়ে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। কারণ তাদের আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে ইংল্যান্ডের সাথে। গ্রুপে ইংল্যান্ড সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। তাদের বিপক্ষে জিততে না পারলে কোন আশাই থাকবে না ওয়েলসের। অপর দিকে ইরান খেলবে আমেরিকার বিপক্ষে। এ ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে তাতে আমেরিকাকে হারানো অসম্ভব নয়।
ইরানের জন্য ওয়েলসের বিপক্ষের ম্যাচটি ছিল টিকে থাকার ম্যাচ। তাই শুরু থেকেই জয়ের জন্য চেষ্টা করতে থাকে ইরান। খেলায় তাদের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও গোল করা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে উভয় দলই। কিন্তু কেউই গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইরান চেপে ধরে ওয়েলসকে। ৫১ মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার পোস্ট তাদের সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়। আজমাউন বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট নিলে সেটি পোস্টে লেগে ফেরত যায়, ফিরতি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ঘোলিজাদেহ বাকানো শট মারেন, কিন্তু এবার অপর দিকে পোস্টে লেগে সেটি প্রতিহত হয়। আবার ফিরতি বল পান আজমাউন এবং তিনি হেড করলে সেটি বাচিয়ে দেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। এর পর থেকে ম্যাচে ইরানের প্রাধান্য স্থাপিত হয়। তারা সুযোগও তৈরী করতে থাকে, কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় গোল পায়নি। ৭৩ মিনিটে সাইদ এজাতোলাহির শট হাত লাগিয়ে বাইরে বের করে দেন হেনেসি।
ওয়েলস মাঝে মাঝে চেষ্টা করেছে আক্রমণে গিয়ে গোল আদায় করতে। কিন্তু ইরানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ওয়েলস তেমন সুবিধা করতে পারেনি। খেলার ৮৫ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে গিয়ে তারেমিকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। যদিও প্রথমে রেফারি দেখিয়েছিলেন হলুদ কার্ড। পরে ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেখান লাল কার্ড। শেষ কয়েক মিনিট ইরান চাপ বজায় রাখে এবং ইনজুরি টাইমের শেষ সময়ে গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। ওয়েলস শেষ দিকে ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে থাকায় ইরানের আক্রমনগুলো পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তাই ইরান দূর পাল্লার শটে গোলের চেষ্টা চালিয়ে সাফল্য পায়। রুজবেহ চেশমি পেনাল্টি বক্সের বাইরে বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নেয়া শটে গোল করে ইরানকে এনে দেন বহুল কাঙ্খিত গোল। ওয়েলস বাকি সময়ে গোল করতে গিয়ে আরেকটি গোল খেয়ে বসে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইরানের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামিন রেজাইয়ান। স্মরনীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইরান।