কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ইংল্যান্ড অনেক কষ্টে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরাজয় এড়িয়েছে। শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ড গোলশূন্য ড্র করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। এ ম্যাচ ড্র করায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা এখনও নিশ্চিত হয়নি। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে এ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র বেশীর ভাগ সময় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে। পর পর দুই ম্যাচ ড্র করা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এখনো টিকে আছে নক আউট পর্বে খেলার আশা।
হ্যারি ম্যাগুইরের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে রক্ষণভাগ খুব বেশী ভাল করতে পারেনি। বলা যায় ভাগ্যের জোরে পরাজয় এড়িয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে ওয়েস্টন ম্যাককেনি একবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এবং ক্রিস্টিয়ান পলিসিচের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির ঠিক আগে ম্যাসন মাউন্টের একটি প্রচেষ্টা দারুনভাবে রুখে দেন আমেরিকার গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার। ইরানের বিপক্ষে দারুন খেলা ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগ এ ম্যাচে ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। আমেরিকার বিপক্ষে জিততে না পারায় পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করার জন্য এখন ওয়েলসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিততে হবে ইংল্যান্ডকে। অবশ্য ইরান আমেরিকা ম্যাচে যদি ইরান জিতে যায় বা ড্র করে তাহলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে।
এ ম্যাচে খেলা দেখে ইংল্যান্ডকে চেনা যায়নি। তাদের চিনতে হয়েছে জার্সি দেখে। তাদের এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের কারণে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের একাংশ খেলোয়াড়দের বিদ্রুপ করে স্লোগান দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড মাত্র একবার সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। অধিনায়ক হ্যারি কেইনের হেড বাইরে গেলে স্বস্তি ফিরে যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে। অবশ্য এ মুহূর্তটা ছাড়া বাকি সময়ে কোন ভীতি ছড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। ক্লাবের হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভাল করতে না পারা ম্যাগুইরের উপরই আস্থা রাখেন কোচ সাউদগেট। মূলত বড় টুর্নামেন্টে ভাল করার অতীত রেকর্ডের কারণেই তিনি দলে জায়গা পান। দলের অন্যদের মতো তিনিও এ ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে সঠিক সময়ে তিনি ভালই করেছেন। ইংল্যান্ড দলে তিনিই ছিলেন সেরা খেলোয়াড়।
তবে এ ম্যাচ বুুুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপ জিততে হলে ইংল্যান্ডের খেলায় অনেক উন্নতি ঘটাতে হবে। ম্যাচে দারুন খেলেছেন চেলসির খেলোয়াড় পলিসিচ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি চেলসির নিয়মিত একাদশে জায়গা পান না। তার পরেও তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তিনি সামনে থেকে দিয়েছেন দলের আক্রমণে নেতৃত্ব। এমনকি চিয়ারলিডারদের মতো করে সমর্থকদের উজ্জীবিত রাখতেও ভুমিকা ছিল তার। তার দুর্ভাগ্য যে গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে পরাস্ত করার পরও তার শট বারে লেগে প্রতিহত হয়।
বিশ্বকাপে আমেরিকার সাথে ইংল্যান্ডের রেকর্ড খুব ভাল না। ১৯৫০ সালে তারা আমেরিকার কাছে হেরেছিল এবং ২০১০ সালেও ড্র করেছিল। এ ম্যাচে শেষ বাশি বাজার পর ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফিরে। এক পয়েন্ট পেয়েই সবাইকে খুশি থাকতে দেখা গেছে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
ইংল্যান্ড অনেক কষ্টে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরাজয় এড়িয়েছে। শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ড গোলশূন্য ড্র করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। এ ম্যাচ ড্র করায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা এখনও নিশ্চিত হয়নি। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে এ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র বেশীর ভাগ সময় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে। পর পর দুই ম্যাচ ড্র করা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এখনো টিকে আছে নক আউট পর্বে খেলার আশা।
হ্যারি ম্যাগুইরের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে রক্ষণভাগ খুব বেশী ভাল করতে পারেনি। বলা যায় ভাগ্যের জোরে পরাজয় এড়িয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে ওয়েস্টন ম্যাককেনি একবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এবং ক্রিস্টিয়ান পলিসিচের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির ঠিক আগে ম্যাসন মাউন্টের একটি প্রচেষ্টা দারুনভাবে রুখে দেন আমেরিকার গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার। ইরানের বিপক্ষে দারুন খেলা ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগ এ ম্যাচে ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। আমেরিকার বিপক্ষে জিততে না পারায় পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করার জন্য এখন ওয়েলসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিততে হবে ইংল্যান্ডকে। অবশ্য ইরান আমেরিকা ম্যাচে যদি ইরান জিতে যায় বা ড্র করে তাহলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে।
এ ম্যাচে খেলা দেখে ইংল্যান্ডকে চেনা যায়নি। তাদের চিনতে হয়েছে জার্সি দেখে। তাদের এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের কারণে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের একাংশ খেলোয়াড়দের বিদ্রুপ করে স্লোগান দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড মাত্র একবার সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। অধিনায়ক হ্যারি কেইনের হেড বাইরে গেলে স্বস্তি ফিরে যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে। অবশ্য এ মুহূর্তটা ছাড়া বাকি সময়ে কোন ভীতি ছড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। ক্লাবের হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভাল করতে না পারা ম্যাগুইরের উপরই আস্থা রাখেন কোচ সাউদগেট। মূলত বড় টুর্নামেন্টে ভাল করার অতীত রেকর্ডের কারণেই তিনি দলে জায়গা পান। দলের অন্যদের মতো তিনিও এ ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে সঠিক সময়ে তিনি ভালই করেছেন। ইংল্যান্ড দলে তিনিই ছিলেন সেরা খেলোয়াড়।
তবে এ ম্যাচ বুুুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপ জিততে হলে ইংল্যান্ডের খেলায় অনেক উন্নতি ঘটাতে হবে। ম্যাচে দারুন খেলেছেন চেলসির খেলোয়াড় পলিসিচ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি চেলসির নিয়মিত একাদশে জায়গা পান না। তার পরেও তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তিনি সামনে থেকে দিয়েছেন দলের আক্রমণে নেতৃত্ব। এমনকি চিয়ারলিডারদের মতো করে সমর্থকদের উজ্জীবিত রাখতেও ভুমিকা ছিল তার। তার দুর্ভাগ্য যে গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে পরাস্ত করার পরও তার শট বারে লেগে প্রতিহত হয়।
বিশ্বকাপে আমেরিকার সাথে ইংল্যান্ডের রেকর্ড খুব ভাল না। ১৯৫০ সালে তারা আমেরিকার কাছে হেরেছিল এবং ২০১০ সালেও ড্র করেছিল। এ ম্যাচে শেষ বাশি বাজার পর ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফিরে। এক পয়েন্ট পেয়েই সবাইকে খুশি থাকতে দেখা গেছে।