সব থেকে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব ব্রাজিলের। তাদের হলুদ জার্সি নিয়ে বিশ্বজোড়া আবেগ। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত ব্রাজিল ফুটবল খেলত সাদা জার্সি পরে।
১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। তার ঠিক কয়েক বছর আগে জার্সির রঙ সাদা থেকে বদলে হলুদ করা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের নেপথ্যে তেমন কোন গুরুতর কারণ ছিল না। আগের সাদা জার্সি অনুজ্জ্বল হওয়ায় রঙ পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়েছিল।
আগে সাদা জার্সি এবং নীল শর্টস পরে খেলত ব্রাজিল। সেই সময় ১৯৫০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল তারা। সেই হারের ধাক্কা সামলাতে দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনার কথা ভেবেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে জার্সির রঙ পরিবর্তনের কথাও ভাবা হয়েছিল।
জার্সির নতুন রঙ এবং নকশা তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ মিনাস গেরাইসের জার্নাল ‘ফুলিয়া’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের জার্সিতে প্রাণশক্তি যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফুটবলকর্তারা। প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘কোরিয়ো দ্য মানহা’। বলে দেয়া হয়েছিল, ব্রাজিলের জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত হলুদ, সবুজ, নীল এবং সাদা ছাড়া অন্য কোন রঙ ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় দলের জার্সিতে।
প্রতিযোগিতার শেষে বেছে নেয়া হয়েছিল ক্যানারি হলুদ রঙের একটি জার্সি। সেই জার্সি পরেই ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। তারপর থেকে এই রঙের জার্সি গায়েই খেলতে দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল দলকে। ব্রাজিলীয়রা মনে করেন, ক্যানারি হলুদ রঙের জার্সি বদলে দিয়েছে ফুটবল দলের ভাগ্য। এই জার্সি গায়েই এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে শুরু হয় এই জয়যাত্রা।
প্রতিযোগিতায় জয়ী জার্সিটি ছিল শুধুই ক্যানারি হলুদ রঙের। পরে তাতে সামান্য সবুজ রঙ যোগ করা হয়েছে নকশা হিসেবে। যদি সবুজ রঙের কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা জার্সির সৌন্দর্য হিসেবে এক বা দু’জায়গায় সবুজ রঙ ব্যবহার করে থাকে। জার্সির এই রঙের জন্য প্রিয় দলকে ব্রাজিল সমর্থকরা ডাকেন ক্যানারি নামেও।
বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
সব থেকে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব ব্রাজিলের। তাদের হলুদ জার্সি নিয়ে বিশ্বজোড়া আবেগ। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত ব্রাজিল ফুটবল খেলত সাদা জার্সি পরে।
১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। তার ঠিক কয়েক বছর আগে জার্সির রঙ সাদা থেকে বদলে হলুদ করা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের নেপথ্যে তেমন কোন গুরুতর কারণ ছিল না। আগের সাদা জার্সি অনুজ্জ্বল হওয়ায় রঙ পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়েছিল।
আগে সাদা জার্সি এবং নীল শর্টস পরে খেলত ব্রাজিল। সেই সময় ১৯৫০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল তারা। সেই হারের ধাক্কা সামলাতে দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনার কথা ভেবেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে জার্সির রঙ পরিবর্তনের কথাও ভাবা হয়েছিল।
জার্সির নতুন রঙ এবং নকশা তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ মিনাস গেরাইসের জার্নাল ‘ফুলিয়া’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের জার্সিতে প্রাণশক্তি যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফুটবলকর্তারা। প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘কোরিয়ো দ্য মানহা’। বলে দেয়া হয়েছিল, ব্রাজিলের জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত হলুদ, সবুজ, নীল এবং সাদা ছাড়া অন্য কোন রঙ ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় দলের জার্সিতে।
প্রতিযোগিতার শেষে বেছে নেয়া হয়েছিল ক্যানারি হলুদ রঙের একটি জার্সি। সেই জার্সি পরেই ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। তারপর থেকে এই রঙের জার্সি গায়েই খেলতে দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল দলকে। ব্রাজিলীয়রা মনে করেন, ক্যানারি হলুদ রঙের জার্সি বদলে দিয়েছে ফুটবল দলের ভাগ্য। এই জার্সি গায়েই এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে শুরু হয় এই জয়যাত্রা।
প্রতিযোগিতায় জয়ী জার্সিটি ছিল শুধুই ক্যানারি হলুদ রঙের। পরে তাতে সামান্য সবুজ রঙ যোগ করা হয়েছে নকশা হিসেবে। যদি সবুজ রঙের কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা জার্সির সৌন্দর্য হিসেবে এক বা দু’জায়গায় সবুজ রঙ ব্যবহার করে থাকে। জার্সির এই রঙের জন্য প্রিয় দলকে ব্রাজিল সমর্থকরা ডাকেন ক্যানারি নামেও।