কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
লিওনেল মেসি আরো একবার তার জাদু দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। মেসি শনিবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি গোল করে বিশ্বকাপে দিয়েগো ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলেছেন এবং দলকে এনে দিয়েছেন ২-১ গোলের কাঙ্খিত জয়। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মেসি এই প্রথম গোল করলেন।
মেসি ঠান্ডা মাথায় গোল করে ৩৫ মিনিটে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির এটা ছিল ৯৪তম গোল। মেসি এ ম্যাচে দূরন্ত ফুটবল খেলেছেন। আর্জেন্টিনার প্রতিটি আক্রমনে কোন না কোনভাবে মেসি জড়িত ছিলেন। জুলিয়ান আলভারেজ ৫৮ মিনিটের সময়ে করেন দ্বিতীয় গোল। এ জয় আর্জেন্টিনাকে শেষ আটে নিয়ে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে।
র্যাংকিং এবং অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া সহজেই হার মেনে নেয়নি। খেলার ১৩ মিনিট বাকি থাকতে তারা একটি গোল শোধ করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে। ক্রেইগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনার জালে জড়ায়। গোলটি আত্মঘাতি হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। শেষ দিকে মেসি দুটি সুযোগ নষ্ট করেন। অপর দিকে ইনজুরি টাইমে অস্ট্রেলিয়ার গারাং কুলের শট গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দেন। শেষ দিকে আর্জেন্টিনার শিবির বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেসি তা স্বীকারও করেছেন।
মেসি বলেন, ‘তাদের গোলের পর ম্যাচটি বেশ জটিল হয়ে গিয়েছিল। আসলে বিশ্বকাপে কোন ম্যাচই সহজ হয় না। এখন আমাদের সত্যিকার কঠিন প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে হবে। তারা খুবই ভাল খেলছে। তাদের দলে আছেন খুব ভাল খেলোয়াড় এবং তাদের কোচ খুবই কোশলী। ম্যাচটি খুবই কঠিন হবে। আসলে বিশ্বকাপে নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো ক্রমশ কঠিনই হয়ে থাকে।’
আর্জেন্টিনা ম্যাচের শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তারাও গোল করতে ব্যর্থ হয়।
আর্জেন্টিনার প্রথম গোলের আক্রমনটি শুরু করেন মেসি এবং ফিনিশিংও করেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে বল পান ম্যাক অ্যালিস্টার। তিন সেটি দেন নিকোলাস ওটামেন্ডিকে, অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সেটি আবার মেসিকে ফিরিয়ে দিলে তিনি চমৎকার প্লেসিং শটে গোলটি করেন।
আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় সৌভাগ্যবশত। অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার রায়ান ব্যাক পাস দিয়ে গিয়ে চাপের মুখে ভুল করে বসেন। আলভারেজ বল কেড়ে নিয়ে করেন দ্বিতীয় গোলটি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি অস্ট্রেলিয়া। ৭৭ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করার পর তারা আক্রমনের ধার আরো বাড়ায়। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় নির্ধারিত সময়ের খেলাতেই হার মানতে হয় তাদের।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
লিওনেল মেসি আরো একবার তার জাদু দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। মেসি শনিবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি গোল করে বিশ্বকাপে দিয়েগো ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলেছেন এবং দলকে এনে দিয়েছেন ২-১ গোলের কাঙ্খিত জয়। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মেসি এই প্রথম গোল করলেন।
মেসি ঠান্ডা মাথায় গোল করে ৩৫ মিনিটে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির এটা ছিল ৯৪তম গোল। মেসি এ ম্যাচে দূরন্ত ফুটবল খেলেছেন। আর্জেন্টিনার প্রতিটি আক্রমনে কোন না কোনভাবে মেসি জড়িত ছিলেন। জুলিয়ান আলভারেজ ৫৮ মিনিটের সময়ে করেন দ্বিতীয় গোল। এ জয় আর্জেন্টিনাকে শেষ আটে নিয়ে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে।
র্যাংকিং এবং অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া সহজেই হার মেনে নেয়নি। খেলার ১৩ মিনিট বাকি থাকতে তারা একটি গোল শোধ করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে। ক্রেইগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনার জালে জড়ায়। গোলটি আত্মঘাতি হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। শেষ দিকে মেসি দুটি সুযোগ নষ্ট করেন। অপর দিকে ইনজুরি টাইমে অস্ট্রেলিয়ার গারাং কুলের শট গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দেন। শেষ দিকে আর্জেন্টিনার শিবির বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেসি তা স্বীকারও করেছেন।
মেসি বলেন, ‘তাদের গোলের পর ম্যাচটি বেশ জটিল হয়ে গিয়েছিল। আসলে বিশ্বকাপে কোন ম্যাচই সহজ হয় না। এখন আমাদের সত্যিকার কঠিন প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে হবে। তারা খুবই ভাল খেলছে। তাদের দলে আছেন খুব ভাল খেলোয়াড় এবং তাদের কোচ খুবই কোশলী। ম্যাচটি খুবই কঠিন হবে। আসলে বিশ্বকাপে নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো ক্রমশ কঠিনই হয়ে থাকে।’
আর্জেন্টিনা ম্যাচের শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তারাও গোল করতে ব্যর্থ হয়।
আর্জেন্টিনার প্রথম গোলের আক্রমনটি শুরু করেন মেসি এবং ফিনিশিংও করেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে বল পান ম্যাক অ্যালিস্টার। তিন সেটি দেন নিকোলাস ওটামেন্ডিকে, অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সেটি আবার মেসিকে ফিরিয়ে দিলে তিনি চমৎকার প্লেসিং শটে গোলটি করেন।
আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় সৌভাগ্যবশত। অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার রায়ান ব্যাক পাস দিয়ে গিয়ে চাপের মুখে ভুল করে বসেন। আলভারেজ বল কেড়ে নিয়ে করেন দ্বিতীয় গোলটি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি অস্ট্রেলিয়া। ৭৭ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করার পর তারা আক্রমনের ধার আরো বাড়ায়। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় নির্ধারিত সময়ের খেলাতেই হার মানতে হয় তাদের।