কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ক্রোয়েশিয়া টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জাপানকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়া ও জাপানের মধ্যেকার খেলা নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা হয় টাইব্রেকারে। সেখানে জাপানের মারা চারটি পেনাল্টির মধ্যে তিনটিই বাচিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়ার একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি মারেন জাপানের মিনামিনো, কিন্তু তার শটটি বাম দিকে ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার প্রথম শটটি মারেন ভøাচিচ এবং গোল করেন। জাপানের দ্বিতীয় শটটি মারেন মিতোমা এবং সেটিও বাচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। জাপানের হয়ে তৃতীয় শটটি মারেন আসানো এবং তিনি গোল করেন। কিন্তু ইয়োশিদার করা চতুর্থ শটটি বাচিয়ে দেন লিভাকোভিচ।
অপর দিকে ক্রোয়েশিয়ার লিভায়ার তৃতীয় শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। চতুর্থ শট থেকে প্যাসালিক গেল করলে ক্রোয়েশিয়া ৩-১ গোলে জিতে উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া খেলবে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে জয়ী দলের সাথে।
প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়েছে জাপান। শেষ দিকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়েও যায়। জাপানের খেলায় দারুন গতি ছিল। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া প্রথমার্ধে কৌশলী ফুটবল খেললেও তাদের খেলায় গতি ছিল না। গোলমুখে আক্রমনভাগের খেলোয়াড়রা ছিলেন ব্যর্থ। যে কারণে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও তারা বেশ কয়েকবার গোল করতে পারেনি।
প্রথমার্ধের খেলার নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে ক্রোয়েশিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় জাপান। শর্ট কর্নারের জায়গা থেকে দোয়ান চমৎকার একটি ক্রস করেন। সেটিকে ইয়োশিদা গোলমুখে দিলে মায়েদে বা পায়ের শটে গোল করে জাপানীদের আনন্দের সুযোগ করে দেন।
অবশ্য ইনজুরি টাইমে অল্পের জন্য গোল খাওয়া থেকে বেচে যায় জাপান। লুকা মদ্রিচের কর্নার কিক থেকে জাপানের গোলমুখে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকে কোন রকমে রক্ষা পায় এশিয়ার দলটি।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সেটি পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটে তারা সফলতার মুখ দেখে। ডান দিক থেকে লভরেনের ক্রসে হেড দিয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন ইভান পেরিসিচ। গোলের পর তারা ম্যাচ জেতার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে, কিন্তু জাপানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তা এবং তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারণে কোন গোল করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। জাপানও চেষ্টা করেছিল গোল করে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারাও। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের মাঝে ক্লান্তি ছাপ দেখা গেলেও জাপানের উদ্যোম ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা প্রথমার্ধের মতো গোল করে আবার ম্যাচে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। জাপানের খেলায় গতি ছিল আগের মতোই। ক্রোয়েশিয়া অবশ্য অতিরিক্ত সময়ের ৭ মিনিটের সময় লুকা মদ্রিচ এবং কোভাচিচকে তুলে নিয়ে মাঠে নামায় ভøাসিচ এবং মায়েরকে। অভ্ঞি এ দুই খেলোয়াড়কে তুলে নেয়াটা ঝুকিপূর্ণ হলেও কোচ তাই করেন খেলায় নিজেদের গতি ধরে রাখতে। অপর দিকে জাপানে খেলোয়াড়দের দেখা যায় সময় নষ্ট করতে। তাদের খেলার ধরন দেখে মনে হয়েছে তারা টাইব্রেকারেই খেলার নিষ্পত্তি চাচ্ছে। তবে খেলার ১০৪ মিনিটের মাথায় জাপানের মিতোমা নিজেদের পেনাল্টি বক্সের কাছ থেকে বল নিয়ে একা চলে যান ক্রোয়েশিয়ার পেনাল্টি বক্সের শীর্ষে এবং দারুন শট মারেন পোস্টে। তার শটটি অবশ্য রুখে দিতে সক্ষম হন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। কোন দলই গোল করতে না পারায় খেলা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
ক্রোয়েশিয়া টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জাপানকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়া ও জাপানের মধ্যেকার খেলা নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা হয় টাইব্রেকারে। সেখানে জাপানের মারা চারটি পেনাল্টির মধ্যে তিনটিই বাচিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়ার একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি মারেন জাপানের মিনামিনো, কিন্তু তার শটটি বাম দিকে ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার প্রথম শটটি মারেন ভøাচিচ এবং গোল করেন। জাপানের দ্বিতীয় শটটি মারেন মিতোমা এবং সেটিও বাচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। জাপানের হয়ে তৃতীয় শটটি মারেন আসানো এবং তিনি গোল করেন। কিন্তু ইয়োশিদার করা চতুর্থ শটটি বাচিয়ে দেন লিভাকোভিচ।
অপর দিকে ক্রোয়েশিয়ার লিভায়ার তৃতীয় শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। চতুর্থ শট থেকে প্যাসালিক গেল করলে ক্রোয়েশিয়া ৩-১ গোলে জিতে উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া খেলবে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে জয়ী দলের সাথে।
প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়েছে জাপান। শেষ দিকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়েও যায়। জাপানের খেলায় দারুন গতি ছিল। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া প্রথমার্ধে কৌশলী ফুটবল খেললেও তাদের খেলায় গতি ছিল না। গোলমুখে আক্রমনভাগের খেলোয়াড়রা ছিলেন ব্যর্থ। যে কারণে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও তারা বেশ কয়েকবার গোল করতে পারেনি।
প্রথমার্ধের খেলার নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে ক্রোয়েশিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় জাপান। শর্ট কর্নারের জায়গা থেকে দোয়ান চমৎকার একটি ক্রস করেন। সেটিকে ইয়োশিদা গোলমুখে দিলে মায়েদে বা পায়ের শটে গোল করে জাপানীদের আনন্দের সুযোগ করে দেন।
অবশ্য ইনজুরি টাইমে অল্পের জন্য গোল খাওয়া থেকে বেচে যায় জাপান। লুকা মদ্রিচের কর্নার কিক থেকে জাপানের গোলমুখে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকে কোন রকমে রক্ষা পায় এশিয়ার দলটি।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সেটি পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটে তারা সফলতার মুখ দেখে। ডান দিক থেকে লভরেনের ক্রসে হেড দিয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন ইভান পেরিসিচ। গোলের পর তারা ম্যাচ জেতার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে, কিন্তু জাপানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তা এবং তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারণে কোন গোল করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। জাপানও চেষ্টা করেছিল গোল করে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারাও। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের মাঝে ক্লান্তি ছাপ দেখা গেলেও জাপানের উদ্যোম ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা প্রথমার্ধের মতো গোল করে আবার ম্যাচে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। জাপানের খেলায় গতি ছিল আগের মতোই। ক্রোয়েশিয়া অবশ্য অতিরিক্ত সময়ের ৭ মিনিটের সময় লুকা মদ্রিচ এবং কোভাচিচকে তুলে নিয়ে মাঠে নামায় ভøাসিচ এবং মায়েরকে। অভ্ঞি এ দুই খেলোয়াড়কে তুলে নেয়াটা ঝুকিপূর্ণ হলেও কোচ তাই করেন খেলায় নিজেদের গতি ধরে রাখতে। অপর দিকে জাপানে খেলোয়াড়দের দেখা যায় সময় নষ্ট করতে। তাদের খেলার ধরন দেখে মনে হয়েছে তারা টাইব্রেকারেই খেলার নিষ্পত্তি চাচ্ছে। তবে খেলার ১০৪ মিনিটের মাথায় জাপানের মিতোমা নিজেদের পেনাল্টি বক্সের কাছ থেকে বল নিয়ে একা চলে যান ক্রোয়েশিয়ার পেনাল্টি বক্সের শীর্ষে এবং দারুন শট মারেন পোস্টে। তার শটটি অবশ্য রুখে দিতে সক্ষম হন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। কোন দলই গোল করতে না পারায় খেলা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।