কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ব্রাজিল হেসে খেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার রাতে দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাজিল এক তরফা খেলে এশিয়ার দেশ কোরিয়াকে একে একে টি গোল দেয়। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, নেইমার, লুকাস পাকেটা, রিশার্লিসন। প্রথমার্ধেই ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা পরিনত হয় কেবল আনুষ্ঠানিকতায়।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল খেলবে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ক্রোয়েশিয়া এদিন অপর ম্যাচে টাইব্রেকারে এশিয়ার দেশ জাপানকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করে।
নেইমারসহ পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে নামা ব্রাজিল অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাধান্য স্থাপন করে এবং ৬ মিনিটের সময় গোল করে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে রাফিনিয়া পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ক্রস করলে সেটি সবাইকে ফাকি দিয়ে চলে যায় অপর দিকে থাকা ভিনিসিয়ুসের কাছে এ উইঙ্গার বল রিসিভ করে দেখে শুনে কোনাকুনি শটে গোল করে এগিয়ে দেয় ব্রাজিলকে। এ গোলের চার মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে রিশার্লিসনকে জু উ ইয়ং ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজান। পেনাল্টি থেকে নেইমার গোল করে ১১ মিনিটেই ব্রাজিলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। বলা যায় ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের এ ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গেছে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া হাল ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ১৭ মিনিটে হুয়ায় হি চানের দূর পাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে বাচিয়ে দেন অ্যালিসন।
খেলার ২৮ মিনিটে রিশার্লিসন করেন ব্রাজিলের তৃতীয় গোল। নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝা পড়ার ফল এ গোলটি। রিশার্লিসন পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে একটু পেছনে নেইমারকে দিয়ে ফাকায় এগিয়ে গেলে সেখানেই বল দেন নেইমার এবং সেটিকে জালে পাঠাতে কোন ভুল করেননি এ স্ট্রাইকার। এবারের বিশ্বকাপে সন্দেহাতীতভাবে ব্রাজিলের এটা ছিল সেরা পারফরমেন্স।
ক্যামেরুনের কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয় থেকে যে ব্রাজিল ভাল শিক্ষা নিয়েছে এ ম্যাচই তার প্রমাণ। কারণ ব্রাজিল কোনভাবেই হারতে চাচ্ছিল না। তাছাড়া বড় ব্যবধানে জিতে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়িয়ে নিতে ছাড়েনি। ৩৬ মিনিটে ব্রাজিল গোলের হালি পূর্ণ করে। বাম দিক থেকে বল নিয়ে ভিনিসিয়ুস পেনাল্টি বক্সে ঢুকে চমৎকার লব করলে সেটিতে ভলি মেরে চতুর্থ গোলটি করেন লুকাস পাকেটা।
প্রথমার্ধেই চার গোল করায় দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ছিল বেশ রিলাক্স। ফলে এ অর্ধে খেলা তেমন আকর্ষণীয় হয়নি। কোরিয়ার খেলোয়াড়দের মাঝে গোল করার তীব্র চেষ্টা থাকলেও ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মরিয়া ভাবটি ছিল না। তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে রাফিনিয়াকে দিয়ে একটি গোল করানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু রাফিনিয়া দুইবার চেষ্টা করেও কোরিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। উল্টো ৭৬ মিনিটে কোরিয়া একটি গোল পরিশোধ করে। পেনাল্টি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নেয়া চমৎকার এক শটে গোলটি করেন পাইক। ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত থাকায় কোচ মাঠ থেকে তুলে নেন ভিনিসিয়ুস, মিলিটাও, নেইমার, অ্যালিসন ও দানিলোকে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পান তৃতীয় গোলরক্ষক ওয়েভারটন। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ সামনে রেখে কোচ কোন খেলোয়াড়কে ইনজুরির ঝুকিতে ফেলতে চাননি। তাছাড়া সুযোগ পেয়ে কিছুটা বাড়তি বিশ্রামও দিলেন এর মাধ্যমে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
ব্রাজিল হেসে খেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার রাতে দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাজিল এক তরফা খেলে এশিয়ার দেশ কোরিয়াকে একে একে টি গোল দেয়। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, নেইমার, লুকাস পাকেটা, রিশার্লিসন। প্রথমার্ধেই ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা পরিনত হয় কেবল আনুষ্ঠানিকতায়।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল খেলবে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ক্রোয়েশিয়া এদিন অপর ম্যাচে টাইব্রেকারে এশিয়ার দেশ জাপানকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করে।
নেইমারসহ পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে নামা ব্রাজিল অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাধান্য স্থাপন করে এবং ৬ মিনিটের সময় গোল করে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে রাফিনিয়া পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ক্রস করলে সেটি সবাইকে ফাকি দিয়ে চলে যায় অপর দিকে থাকা ভিনিসিয়ুসের কাছে এ উইঙ্গার বল রিসিভ করে দেখে শুনে কোনাকুনি শটে গোল করে এগিয়ে দেয় ব্রাজিলকে। এ গোলের চার মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে রিশার্লিসনকে জু উ ইয়ং ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজান। পেনাল্টি থেকে নেইমার গোল করে ১১ মিনিটেই ব্রাজিলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। বলা যায় ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের এ ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গেছে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া হাল ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ১৭ মিনিটে হুয়ায় হি চানের দূর পাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে বাচিয়ে দেন অ্যালিসন।
খেলার ২৮ মিনিটে রিশার্লিসন করেন ব্রাজিলের তৃতীয় গোল। নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝা পড়ার ফল এ গোলটি। রিশার্লিসন পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে একটু পেছনে নেইমারকে দিয়ে ফাকায় এগিয়ে গেলে সেখানেই বল দেন নেইমার এবং সেটিকে জালে পাঠাতে কোন ভুল করেননি এ স্ট্রাইকার। এবারের বিশ্বকাপে সন্দেহাতীতভাবে ব্রাজিলের এটা ছিল সেরা পারফরমেন্স।
ক্যামেরুনের কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয় থেকে যে ব্রাজিল ভাল শিক্ষা নিয়েছে এ ম্যাচই তার প্রমাণ। কারণ ব্রাজিল কোনভাবেই হারতে চাচ্ছিল না। তাছাড়া বড় ব্যবধানে জিতে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়িয়ে নিতে ছাড়েনি। ৩৬ মিনিটে ব্রাজিল গোলের হালি পূর্ণ করে। বাম দিক থেকে বল নিয়ে ভিনিসিয়ুস পেনাল্টি বক্সে ঢুকে চমৎকার লব করলে সেটিতে ভলি মেরে চতুর্থ গোলটি করেন লুকাস পাকেটা।
প্রথমার্ধেই চার গোল করায় দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ছিল বেশ রিলাক্স। ফলে এ অর্ধে খেলা তেমন আকর্ষণীয় হয়নি। কোরিয়ার খেলোয়াড়দের মাঝে গোল করার তীব্র চেষ্টা থাকলেও ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মরিয়া ভাবটি ছিল না। তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে রাফিনিয়াকে দিয়ে একটি গোল করানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু রাফিনিয়া দুইবার চেষ্টা করেও কোরিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। উল্টো ৭৬ মিনিটে কোরিয়া একটি গোল পরিশোধ করে। পেনাল্টি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নেয়া চমৎকার এক শটে গোলটি করেন পাইক। ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত থাকায় কোচ মাঠ থেকে তুলে নেন ভিনিসিয়ুস, মিলিটাও, নেইমার, অ্যালিসন ও দানিলোকে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পান তৃতীয় গোলরক্ষক ওয়েভারটন। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ সামনে রেখে কোচ কোন খেলোয়াড়কে ইনজুরির ঝুকিতে ফেলতে চাননি। তাছাড়া সুযোগ পেয়ে কিছুটা বাড়তি বিশ্রামও দিলেন এর মাধ্যমে।