কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে মাঠে খেলতে নেমে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল খেলবে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর বিপক্ষে। মরক্কো একই দিন টাইব্রেকারে সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
কোচের সাথে খারাপ আচরণ করায় এ ম্যাচে তাকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেন তার বদলে মাঠে নামান গনসালো রোমোসকে। রামোস সুযোগ পেয়ে তা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন করেছেন হ্যাটট্রিক। পর্তুগাল ও সহজ জয় দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম রোনালদো দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে বড় কোন টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলতে নামব পর্তুগাল।
পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড একে অপরকে বেশ ভালোভাবেই জানে। চলতি বছর এ নিয়ে তারা তিনবার মুখোমুখি হলো । আগের দুইবার তারা মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগে। সেই দুইবারের লড়াইয়ে একবার জিতেছিল সুইসরা আরেকবার পর্তুগিজরা।
সর্বশেষ মোকাবেলায় পর্তুগাল জিতেছিল ৪-০ গোলে এবং রোনালদো করেছিলেন জোড়া গোল। এ ম্যাচে সেই রোনালদো ছিলেন অতিরিক্ত তালিকায়।
রামোস গোল করেন ১৭ মিনিটের মাথায়। জোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে তিনি করেন প্রথম গোলটি। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে রোনালদো এখনও কোন গোল করতে পারেননি। রামোস প্রথম ম্যাচেই করে ফেলেন তিনটি। দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিফেন্ডার পেপে। ব্রুনো ফের্নান্দেজের কর্নার থেকে দারুন হেডে করেন তিনি গোলটি। ৩৯ বছর ৯ মাস বসয়ী পেপে এর মাধ্যমে নক আউটে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
বিরতির পর পর্তুগাল আরো বেশী আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। ৫১ মিনিটে দিয়োগো ডালোর নিচু ক্রস থেকে রামোস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ৬৭ মিনিটে তিনি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। চলতি বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। এর মাঝখানে সুইজারল্যান্ড এবং পর্তুগাল
অবশ্য একটি করে গোল করেছিল। ৫৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকেঞ্জি করেন গোলটি। তার তিন মিনিট আগে পর্তুগালের রাফায়েল গুয়েরেরো গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেছিলেন।
কোচ শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান রোনালদোকে। তিনি একবার বল জালেও পাঠিয়েছিলেন, তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। খেলার ইনজুরি টাইমে রাফায়েল লিয়াও করেন ছয় নম্বর গোলটি। রোনালদো কোন গোল করতে না পারলেও মাঠে যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ ভালই করেছেন। সাইড বেঞ্চে বসে থাকার সময়ও দলের গোলের আনন্দে যোগ দিয়েছেন।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে মাঠে খেলতে নেমে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল খেলবে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর বিপক্ষে। মরক্কো একই দিন টাইব্রেকারে সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
কোচের সাথে খারাপ আচরণ করায় এ ম্যাচে তাকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেন তার বদলে মাঠে নামান গনসালো রোমোসকে। রামোস সুযোগ পেয়ে তা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন করেছেন হ্যাটট্রিক। পর্তুগাল ও সহজ জয় দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম রোনালদো দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে বড় কোন টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলতে নামব পর্তুগাল।
পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড একে অপরকে বেশ ভালোভাবেই জানে। চলতি বছর এ নিয়ে তারা তিনবার মুখোমুখি হলো । আগের দুইবার তারা মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগে। সেই দুইবারের লড়াইয়ে একবার জিতেছিল সুইসরা আরেকবার পর্তুগিজরা।
সর্বশেষ মোকাবেলায় পর্তুগাল জিতেছিল ৪-০ গোলে এবং রোনালদো করেছিলেন জোড়া গোল। এ ম্যাচে সেই রোনালদো ছিলেন অতিরিক্ত তালিকায়।
রামোস গোল করেন ১৭ মিনিটের মাথায়। জোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে তিনি করেন প্রথম গোলটি। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে রোনালদো এখনও কোন গোল করতে পারেননি। রামোস প্রথম ম্যাচেই করে ফেলেন তিনটি। দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিফেন্ডার পেপে। ব্রুনো ফের্নান্দেজের কর্নার থেকে দারুন হেডে করেন তিনি গোলটি। ৩৯ বছর ৯ মাস বসয়ী পেপে এর মাধ্যমে নক আউটে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
বিরতির পর পর্তুগাল আরো বেশী আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। ৫১ মিনিটে দিয়োগো ডালোর নিচু ক্রস থেকে রামোস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ৬৭ মিনিটে তিনি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। চলতি বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। এর মাঝখানে সুইজারল্যান্ড এবং পর্তুগাল
অবশ্য একটি করে গোল করেছিল। ৫৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকেঞ্জি করেন গোলটি। তার তিন মিনিট আগে পর্তুগালের রাফায়েল গুয়েরেরো গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেছিলেন।
কোচ শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান রোনালদোকে। তিনি একবার বল জালেও পাঠিয়েছিলেন, তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। খেলার ইনজুরি টাইমে রাফায়েল লিয়াও করেন ছয় নম্বর গোলটি। রোনালদো কোন গোল করতে না পারলেও মাঠে যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ ভালই করেছেন। সাইড বেঞ্চে বসে থাকার সময়ও দলের গোলের আনন্দে যোগ দিয়েছেন।