কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
আর্জেন্টিনা তাদের স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয়ের পথে ক্রোয়েশিয়ার বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দেয়। লিওনেল মেসি একটি এবং আলভারেজ দুটি গোল করেন বিজয়ী দলের পক্ষে। আর্জেন্টিনার উজ্জীবিত ফুটবলে সাথে পেরে ওঠেনি গতবারের ফাইনালিস্টরা। তাদেরকে এবার সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় করে দেয় ল্যাতিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে অপর সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের সাথে। বুধবার অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স এবং মরক্কো।
ক্রোয়েশিয়া আগের ম্যাচগুলোতে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এ ম্যাচে তারা প্রেসিং ফুটবল খেলার কৌশল নেয়। শুরুর দিকে তারা আর্জেন্টিনার উপর চাপও সৃষ্টি করে। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তার ফলে গোলের সুস্পষ্ট কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। অপর দিকে আগের ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা খেলেছিল দাপুটে ফুটবল। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অন্তত প্রথম ২৫ মিনিট তা পারেনি। এ সময় পর্যন্ত বল দখল থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথম শট নিতে সক্ষম হয়। মাঝ মাঠে ক্রোয়েশিয়ার দাপট থাকলেও তারাও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। মাঝ মাঠে প্রাধান্য ছিল ক্রোয়েশিয়ারই। তবে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ফাকায় বল পেয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে যান আলভারেজ। গোলরক্ষক তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা এবং পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩৩ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এ গোলের মাধ্যমে মেসি বিশ্বকাপে তার দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশী গোলের বাতিস্তুতার রেকর্ড স্পর্শ করেন। চলতি বিশ্বকাপে তিনি করে ফেলেন ৫ম গোল। ৩৯ মিনিটে আলভারেজ কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আর্জেন্টিনা হয়ে ওঠে অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়ে যায়। তাদের খেলোয়াড়দের মানসিক চাপে ভুগতে দেখা যায় যা প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত ছিল না। মূলত ডিফেন্সের দুটি ভুলেই গোল খেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। কর্নার কিক থেকে আরেকবার দারুন হেড করেছিলেন অ্যালেক্সি ম্যাক অ্যালিস্টার, কিন্তু সেটি বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একটি দল প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলে ধরেই নেয়া হয় তারা ম্যাচ জিতে গেছে। এ ক্ষেত্রে তাদের কৌশল হয় নিজেদের দুর্গ আগে রক্ষা করা। আর্জেন্টিনাও দ্বিতীয়ার্ধে সে কাজটিই করেছে। তাদের কৌশলই ছিল কোনভাবেই গোল খাওয়া যাবে না। আর কোন গোল করতে না পারলেও সমস্যা নেই। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া গোল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে। এ কারণে প্রথমার্ধের মতো কাউন্টার অ্যাটাকে তাদের গোল খাওয়ার ঝুকিও বেড়ে যায়। এমনই এক ঘটনা থেকে ৫৭ মিনিটে তৃতীয় গোল খেতে বসেছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে গোলরক্ষক বাচিয়ে দেন মেসির শট। তবে ৬৯ মিনিটে তিনি আর রুখতে পারেননি। মেসির চমৎকার কাট ব্যাক থেকে আলভারেজ করেন দলের তৃতীয় গোল। এ গোলের পর আর আর্জেন্টিার জয় নিয়ে কোন সশংয় ছিল না। শেষ বিশ মিনিট হয়ে যায় কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। যা শেষ করে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন মেসিরা এবং অপেক্ষা শুরু করেন ফাইনালের।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
আর্জেন্টিনা তাদের স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয়ের পথে ক্রোয়েশিয়ার বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দেয়। লিওনেল মেসি একটি এবং আলভারেজ দুটি গোল করেন বিজয়ী দলের পক্ষে। আর্জেন্টিনার উজ্জীবিত ফুটবলে সাথে পেরে ওঠেনি গতবারের ফাইনালিস্টরা। তাদেরকে এবার সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় করে দেয় ল্যাতিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে অপর সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের সাথে। বুধবার অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স এবং মরক্কো।
ক্রোয়েশিয়া আগের ম্যাচগুলোতে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এ ম্যাচে তারা প্রেসিং ফুটবল খেলার কৌশল নেয়। শুরুর দিকে তারা আর্জেন্টিনার উপর চাপও সৃষ্টি করে। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তার ফলে গোলের সুস্পষ্ট কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। অপর দিকে আগের ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা খেলেছিল দাপুটে ফুটবল। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অন্তত প্রথম ২৫ মিনিট তা পারেনি। এ সময় পর্যন্ত বল দখল থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথম শট নিতে সক্ষম হয়। মাঝ মাঠে ক্রোয়েশিয়ার দাপট থাকলেও তারাও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। মাঝ মাঠে প্রাধান্য ছিল ক্রোয়েশিয়ারই। তবে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ফাকায় বল পেয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে যান আলভারেজ। গোলরক্ষক তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা এবং পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩৩ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এ গোলের মাধ্যমে মেসি বিশ্বকাপে তার দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশী গোলের বাতিস্তুতার রেকর্ড স্পর্শ করেন। চলতি বিশ্বকাপে তিনি করে ফেলেন ৫ম গোল। ৩৯ মিনিটে আলভারেজ কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আর্জেন্টিনা হয়ে ওঠে অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়ে যায়। তাদের খেলোয়াড়দের মানসিক চাপে ভুগতে দেখা যায় যা প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত ছিল না। মূলত ডিফেন্সের দুটি ভুলেই গোল খেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। কর্নার কিক থেকে আরেকবার দারুন হেড করেছিলেন অ্যালেক্সি ম্যাক অ্যালিস্টার, কিন্তু সেটি বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একটি দল প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলে ধরেই নেয়া হয় তারা ম্যাচ জিতে গেছে। এ ক্ষেত্রে তাদের কৌশল হয় নিজেদের দুর্গ আগে রক্ষা করা। আর্জেন্টিনাও দ্বিতীয়ার্ধে সে কাজটিই করেছে। তাদের কৌশলই ছিল কোনভাবেই গোল খাওয়া যাবে না। আর কোন গোল করতে না পারলেও সমস্যা নেই। অপর দিকে ক্রোয়েশিয়া গোল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে। এ কারণে প্রথমার্ধের মতো কাউন্টার অ্যাটাকে তাদের গোল খাওয়ার ঝুকিও বেড়ে যায়। এমনই এক ঘটনা থেকে ৫৭ মিনিটে তৃতীয় গোল খেতে বসেছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে গোলরক্ষক বাচিয়ে দেন মেসির শট। তবে ৬৯ মিনিটে তিনি আর রুখতে পারেননি। মেসির চমৎকার কাট ব্যাক থেকে আলভারেজ করেন দলের তৃতীয় গোল। এ গোলের পর আর আর্জেন্টিার জয় নিয়ে কোন সশংয় ছিল না। শেষ বিশ মিনিট হয়ে যায় কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। যা শেষ করে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন মেসিরা এবং অপেক্ষা শুরু করেন ফাইনালের।