ডসাতটি বাল্যন ডি অর। অলিম্পিকে সোনার পদক। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়। ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা হওয়ার ট্রফি... সব পেয়েছেন মেসি। শুধুই অধরা ছিল বিশ্বকাপ।
গত ১৬ বছর ধরে ফুটবল দুনিয়াকে কার্যত শাসন করেছেন মেসি এবং পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। প্রায় সব টওফিই তাদের ঝুলিতে রয়েছে। বাদ থেকে গিয়েছে শুধু বিশ্বকাপ। এ বছর কোয়ার্টার ফাইনালের গ-ি পেরোতে পারেননি রোনালদোরা।
মেসির যাত্রার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বার বার ভেঙে গিয়েছে। মাঠ ছাড়তে হয়েছে কান্নায়। হোসে পেকারম্যানের আর্জেন্টিনার হয়ে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে পরিবর্ত হয়ে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। প্রথম ম্যাচে গোলও করেছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
২০১০ সালের বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন মেসি। সে বার আর্জেন্টিনার দায়িত্বে ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসিই ছিলেন তার দলের প্রধান ফুটবলার। কিন্তু সেই কোয়ার্টার ফাইনালেও জার্মানি-কাঁটায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে কেন্দ্রে রেখে দল তৈরি করেছিলেন কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়া। সে বার গ্রুপ পর্যায়ে চারটি গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল মেসিদের। বহু প্রতীক্ষিত ট্রফির কাছে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছিল তাকে। ২০১৮ সালেও ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। কোন রকমে গ্রুপ পর্ব টপকানোর পরে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের সামনে পড়েছিলেন তারা। এমবাপ্পে ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। সে অর্থে গত বারের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারের বদলা নেয়ার সুযোগ আছে এবারের ফাইনালে। দেশের হয়ে ট্রফি না পাওয়ার যন্ত্রণা শুরু থেকেই তাড়া করেছে মেসিকে। তা সে বিশ্বকাপই হোক বা কোপা আমেরিকা। তিন বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ২০০৭ সালে প্রথমবার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন মেসি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৩ গোলে হেরেছিলেন নীল-সাদারা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও ফাইনালে ওঠে মেসির দল। দু’বারই প্রতিপক্ষ ছিল চিলি। দু’বারই পেনাল্টিতে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
২০১৪ সালে স্বপ্নের দরজায় পৌঁছেও বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেনি মেসি। সাত বছর পর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় জয়ই মেসির প্রথম স্বপ্নপূরণ। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান আর্জেন্টিনারও। ঘটনাচক্রে, ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরা করতে পারলেও কখনও কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিআর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির দ্বিতীয় ট্রফি জয় চলতি বছরের ফিনালিসিমায়। রক্ষণের দর্প চূর্ণ করে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ম্যাচের নায়ক হন মেসি।
২০০৮ সালে নাইজিরিয়াকে হারিয়ে অলিম্পিক্সও জিতেছিলেন মেসিরা। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ৮টি ফাইনাল খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন এবং ৪টিতে হেরেছেন।
দেশের হয়ে ট্রফি-ভাগ্য ততটা জোরদার না হলেও ক্লাব ফুটবলের হয়ে ফাইনালে মেসির ‘রেকর্ড’ আসমান ছুঁই ছুঁই।
রোববার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ডসাতটি বাল্যন ডি অর। অলিম্পিকে সোনার পদক। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়। ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা হওয়ার ট্রফি... সব পেয়েছেন মেসি। শুধুই অধরা ছিল বিশ্বকাপ।
গত ১৬ বছর ধরে ফুটবল দুনিয়াকে কার্যত শাসন করেছেন মেসি এবং পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। প্রায় সব টওফিই তাদের ঝুলিতে রয়েছে। বাদ থেকে গিয়েছে শুধু বিশ্বকাপ। এ বছর কোয়ার্টার ফাইনালের গ-ি পেরোতে পারেননি রোনালদোরা।
মেসির যাত্রার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বার বার ভেঙে গিয়েছে। মাঠ ছাড়তে হয়েছে কান্নায়। হোসে পেকারম্যানের আর্জেন্টিনার হয়ে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে পরিবর্ত হয়ে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। প্রথম ম্যাচে গোলও করেছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
২০১০ সালের বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন মেসি। সে বার আর্জেন্টিনার দায়িত্বে ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসিই ছিলেন তার দলের প্রধান ফুটবলার। কিন্তু সেই কোয়ার্টার ফাইনালেও জার্মানি-কাঁটায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে কেন্দ্রে রেখে দল তৈরি করেছিলেন কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়া। সে বার গ্রুপ পর্যায়ে চারটি গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল মেসিদের। বহু প্রতীক্ষিত ট্রফির কাছে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছিল তাকে। ২০১৮ সালেও ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। কোন রকমে গ্রুপ পর্ব টপকানোর পরে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের সামনে পড়েছিলেন তারা। এমবাপ্পে ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। সে অর্থে গত বারের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারের বদলা নেয়ার সুযোগ আছে এবারের ফাইনালে। দেশের হয়ে ট্রফি না পাওয়ার যন্ত্রণা শুরু থেকেই তাড়া করেছে মেসিকে। তা সে বিশ্বকাপই হোক বা কোপা আমেরিকা। তিন বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ২০০৭ সালে প্রথমবার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন মেসি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৩ গোলে হেরেছিলেন নীল-সাদারা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও ফাইনালে ওঠে মেসির দল। দু’বারই প্রতিপক্ষ ছিল চিলি। দু’বারই পেনাল্টিতে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
২০১৪ সালে স্বপ্নের দরজায় পৌঁছেও বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেনি মেসি। সাত বছর পর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় জয়ই মেসির প্রথম স্বপ্নপূরণ। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান আর্জেন্টিনারও। ঘটনাচক্রে, ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরা করতে পারলেও কখনও কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিআর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির দ্বিতীয় ট্রফি জয় চলতি বছরের ফিনালিসিমায়। রক্ষণের দর্প চূর্ণ করে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ম্যাচের নায়ক হন মেসি।
২০০৮ সালে নাইজিরিয়াকে হারিয়ে অলিম্পিক্সও জিতেছিলেন মেসিরা। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ৮টি ফাইনাল খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন এবং ৪টিতে হেরেছেন।
দেশের হয়ে ট্রফি-ভাগ্য ততটা জোরদার না হলেও ক্লাব ফুটবলের হয়ে ফাইনালে মেসির ‘রেকর্ড’ আসমান ছুঁই ছুঁই।