বিশ্বজয়ের স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে ‘সান্ত¡না পুরস্কার’ তৃতীয় স্থান নিয়ে হাসিমুখে বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়লেন লুকা মদ্রিচ। গতকাল শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে মরক্কোর অ্যাটলাস সিংহর গর্জন থামিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়া। হাকিমি, জিয়াচদের ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল ক্রোয়েশিয়া। এর আগে বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে একবার, ১৯৯৮ সালে।
বিশ্বকাপের খেতাবি লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পর তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে দু’দলই নেমেছিল অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে। সম্ভবত সে কারণেই নিজেদের সেরা আক্রমণাত্মক খেলাটা খেলতে ভয় পায়নি। ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোর সেই মন খোলা ফুটবল মন ভালো করে দিল ফুটবলপ্রেমীদের। উপভোগ্য ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া জিতে গেলেও প্রশংসার দাবি রাখে মরক্কো। বিশ্বকাপের আর পাঁচটা বড় ম্যাচে যেমন দু’দল শুরুতে একে অন্যের খেলা বুঝে নিতে চায়, এদিন কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। রেফারি শুরুর বাঁশি বাজানোর পরই একেবারে আক্রমণাতœক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে দু’দল। গোলের দরজা খুলে যায় ম্যাচের একেবারে শুরুতেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই জসকো গাভার্দিয়লের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। যদিও সেই লিড স্থায়ী হয় মাত্র মিনিট দু’য়েকের জন্য। তারপরই মরক্কোর আচরাফ দারি অনবদ্য হেডারে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে দেন। ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় গোলটি আসে ওরসিচের পা থেকে। ৪২ মিনিটে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও টানটান খেলা হয়। কিন্তু আর কোন গোল আসেনি। ৩৭ বছরের রোনালদোর খেলা নিয়ে যখন বিস্তর কাঁটাছেঁড়া চলছে, তখন সমবয়সী লুকা মাঝমাঠে রীতিমতো ভেলকি দেখিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন বিপক্ষের ত্রাস, দলের একের পর এক সাফল্যের নায়ক। বিশ্বমঞ্চে নিজের শেষ ম্যাচে আরও এক সাফল্য দেশকে উপহার দিয়ে গেলেন লুকা মদ্রিচ। আরও একবার ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে তার মাঠজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানোর সাক্ষী থাকলো ফুটবল বিশ্ব। সম্ভবত শেষবারের জন্য।
রোববার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিশ্বজয়ের স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে ‘সান্ত¡না পুরস্কার’ তৃতীয় স্থান নিয়ে হাসিমুখে বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়লেন লুকা মদ্রিচ। গতকাল শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে মরক্কোর অ্যাটলাস সিংহর গর্জন থামিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়া। হাকিমি, জিয়াচদের ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল ক্রোয়েশিয়া। এর আগে বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে একবার, ১৯৯৮ সালে।
বিশ্বকাপের খেতাবি লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পর তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে দু’দলই নেমেছিল অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে। সম্ভবত সে কারণেই নিজেদের সেরা আক্রমণাত্মক খেলাটা খেলতে ভয় পায়নি। ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোর সেই মন খোলা ফুটবল মন ভালো করে দিল ফুটবলপ্রেমীদের। উপভোগ্য ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া জিতে গেলেও প্রশংসার দাবি রাখে মরক্কো। বিশ্বকাপের আর পাঁচটা বড় ম্যাচে যেমন দু’দল শুরুতে একে অন্যের খেলা বুঝে নিতে চায়, এদিন কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। রেফারি শুরুর বাঁশি বাজানোর পরই একেবারে আক্রমণাতœক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে দু’দল। গোলের দরজা খুলে যায় ম্যাচের একেবারে শুরুতেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই জসকো গাভার্দিয়লের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। যদিও সেই লিড স্থায়ী হয় মাত্র মিনিট দু’য়েকের জন্য। তারপরই মরক্কোর আচরাফ দারি অনবদ্য হেডারে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে দেন। ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় গোলটি আসে ওরসিচের পা থেকে। ৪২ মিনিটে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও টানটান খেলা হয়। কিন্তু আর কোন গোল আসেনি। ৩৭ বছরের রোনালদোর খেলা নিয়ে যখন বিস্তর কাঁটাছেঁড়া চলছে, তখন সমবয়সী লুকা মাঝমাঠে রীতিমতো ভেলকি দেখিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন বিপক্ষের ত্রাস, দলের একের পর এক সাফল্যের নায়ক। বিশ্বমঞ্চে নিজের শেষ ম্যাচে আরও এক সাফল্য দেশকে উপহার দিয়ে গেলেন লুকা মদ্রিচ। আরও একবার ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে তার মাঠজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানোর সাক্ষী থাকলো ফুটবল বিশ্ব। সম্ভবত শেষবারের জন্য।