গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ফলাফল দেখে বুঝা যাবেনা, কী অসাধারণ ম্যাচ ছিলো।
প্রথম ৬০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিলো রিয়াল। পরের ৩৩ মিনিটে ৫ গোল করে রাজকীয় প্রত্যার্বতন করেছে।
গতকাল যা হয়েছে এই রকম বহু নজির রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা বলা হয় তাদের। যাদের শিরোপার ব্যবধানের সাথে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এসি মিলানের ব্যবধানও অর্ধেকের বেশি।
লিগে যেমনই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসলেই জ্বলে ওঠে ক্লাবটি। এখানে তারা অতিমানবীয় যাই করুক না কেন দিনশেষে তা স্বাভাবিক বলেই মনে করে সবাই।কারন এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, আর দলটি রিয়াল মাদ্রিদ। এখানে এটা স্বভাবে পরিনত হয়েছে তাদের।
গতকালকের কথাই যদি ধরেন ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল পোস্টের জটলা থেকে সেরহো গুইরাসির এসিস্টে ডনিয়েল ম্যালেনের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। আর তার ৪ মিনিট পর সান্তিয়াগো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে জেমি গিটেন্সের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
নিজ মাঠে এমন অবস্থায় নিজ দলকে দেখতে কারই বা ভালো লাগে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে লিলের সাথে হার। রিয়াল সাপোর্টারদের এই ভয় ৬০ মিনিট অব্দি ছিলো।
কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ওপর যেন কোন অশরীরী ভর করে। আক্রমণের পর আক্রমণ করে বোতল বন্দী করে রাখে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের। ফলাফল আসে ৬১ মিনিটে। কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে নিজের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে এন্তোনিয়ো রুডিগার হেডে গোল করেন। জেগে ওঠে পুরো সান্তিয়াগো বান্যাবু স্টেডিয়াম।
দুই মিনিট পর একক প্রচেস্টায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করেন। তবে তা নিশ্চিতে ব্যবহার হয় ভিআরের। সেখানে গোল নিশ্চিত হলে সমতার আনন্দে ভাসে পুরো সান্তিয়াগো স্টেডিয়াম।হতভম্ব হয়ে যায় ডর্টমুন্ডের পাগলাটে সমর্থকরা। দুই মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল হজম করে বসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
এরপর ৭২ মিনিটে রিয়ালের লুকাস ভাসকেস গোল করলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। কিন্তু তারপর যা হয়েছে ম্যাচে,তার সবটাই ভিনিসিয়ুস ম্যাজিক।
খেলার ৮৬ মিনিটে নিজেদের ডিফেন্স লাইনে যখন ভিনিসিয়ুসের পায়ে বল আসে, তখন ডর্টমুন্ডের গোল লাইন থেকে প্রায় ৮১ মিটারের মতো দূরত্ব। বুলেট গতিতে একে একে পেছনে ফেললেন সবাইকে। বল নিয়ে ৭০ মিটার এগুলেন ৯টি টাচ করে। আর ১০ নাম্বার টাচে বা স্পর্শে একক প্রচেস্টায় অতি মানবীয় গোল।পুরো স্টেডিয়ামের পক্ষে বিপক্ষের সব দর্শক কিছু সময়ের জন্য মহাজাগতিক কিছু দেখার মতো স্তব্ধ হয়ে যান।
অতিরিক্ত সময়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাট্টিক পূর্ণ হওয়া গোলটিও ছিলো মোহমায়ার মতো। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে একক চেষ্টায় বুরুশিয়ার ৩ ডিফেন্ডার কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে কৌশলে বুলেট গতির শরটে গোল করে পূর্ণ করেন হ্যাট্টিক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিনিসিয়ুসের প্রথম এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তৃতীয় হ্যাট্টিক এটি।
এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম ঘোষনার দিন পাঁচেক আগে ভিনিসিয়ুস শক্ত ভাবেই জানান দিলেন কেন তিনি এর শক্তিশালী দাবিদার।
রিয়াল মাদ্রিদ শেষ ৩৩ মিনিটে ৫ গোল করে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করার দিনে ৫-২ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের হারের প্রতিশোধ নেয়া হয়নি বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। উল্টো বেড়েছে ক্ষত স্থানে ব্যথা।
ম্যাচ শেষে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ নূরী শাহিন বলেছেন, ‘ভিনিসিয়ুস আজরাতে আমাদের সাথে যা করেছে পৃথিবীতে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে এবং দুনিয়ায় খুব কম খেলোয়াড়ই তা করতে পারে।’
*অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল*
গতরাতের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্টুটগার্ট। আইন্দহোফেনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে পিএসজি। বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। আর আর্সেনাল ১-০ গোলে হারিয়েছে শাখতার দোৎনেস্কেকে।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ফলাফল দেখে বুঝা যাবেনা, কী অসাধারণ ম্যাচ ছিলো।
প্রথম ৬০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিলো রিয়াল। পরের ৩৩ মিনিটে ৫ গোল করে রাজকীয় প্রত্যার্বতন করেছে।
গতকাল যা হয়েছে এই রকম বহু নজির রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা বলা হয় তাদের। যাদের শিরোপার ব্যবধানের সাথে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এসি মিলানের ব্যবধানও অর্ধেকের বেশি।
লিগে যেমনই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসলেই জ্বলে ওঠে ক্লাবটি। এখানে তারা অতিমানবীয় যাই করুক না কেন দিনশেষে তা স্বাভাবিক বলেই মনে করে সবাই।কারন এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, আর দলটি রিয়াল মাদ্রিদ। এখানে এটা স্বভাবে পরিনত হয়েছে তাদের।
গতকালকের কথাই যদি ধরেন ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল পোস্টের জটলা থেকে সেরহো গুইরাসির এসিস্টে ডনিয়েল ম্যালেনের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। আর তার ৪ মিনিট পর সান্তিয়াগো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে জেমি গিটেন্সের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
নিজ মাঠে এমন অবস্থায় নিজ দলকে দেখতে কারই বা ভালো লাগে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে লিলের সাথে হার। রিয়াল সাপোর্টারদের এই ভয় ৬০ মিনিট অব্দি ছিলো।
কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ওপর যেন কোন অশরীরী ভর করে। আক্রমণের পর আক্রমণ করে বোতল বন্দী করে রাখে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের। ফলাফল আসে ৬১ মিনিটে। কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে নিজের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে এন্তোনিয়ো রুডিগার হেডে গোল করেন। জেগে ওঠে পুরো সান্তিয়াগো বান্যাবু স্টেডিয়াম।
দুই মিনিট পর একক প্রচেস্টায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করেন। তবে তা নিশ্চিতে ব্যবহার হয় ভিআরের। সেখানে গোল নিশ্চিত হলে সমতার আনন্দে ভাসে পুরো সান্তিয়াগো স্টেডিয়াম।হতভম্ব হয়ে যায় ডর্টমুন্ডের পাগলাটে সমর্থকরা। দুই মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল হজম করে বসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
এরপর ৭২ মিনিটে রিয়ালের লুকাস ভাসকেস গোল করলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। কিন্তু তারপর যা হয়েছে ম্যাচে,তার সবটাই ভিনিসিয়ুস ম্যাজিক।
খেলার ৮৬ মিনিটে নিজেদের ডিফেন্স লাইনে যখন ভিনিসিয়ুসের পায়ে বল আসে, তখন ডর্টমুন্ডের গোল লাইন থেকে প্রায় ৮১ মিটারের মতো দূরত্ব। বুলেট গতিতে একে একে পেছনে ফেললেন সবাইকে। বল নিয়ে ৭০ মিটার এগুলেন ৯টি টাচ করে। আর ১০ নাম্বার টাচে বা স্পর্শে একক প্রচেস্টায় অতি মানবীয় গোল।পুরো স্টেডিয়ামের পক্ষে বিপক্ষের সব দর্শক কিছু সময়ের জন্য মহাজাগতিক কিছু দেখার মতো স্তব্ধ হয়ে যান।
অতিরিক্ত সময়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাট্টিক পূর্ণ হওয়া গোলটিও ছিলো মোহমায়ার মতো। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে একক চেষ্টায় বুরুশিয়ার ৩ ডিফেন্ডার কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে কৌশলে বুলেট গতির শরটে গোল করে পূর্ণ করেন হ্যাট্টিক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিনিসিয়ুসের প্রথম এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তৃতীয় হ্যাট্টিক এটি।
এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম ঘোষনার দিন পাঁচেক আগে ভিনিসিয়ুস শক্ত ভাবেই জানান দিলেন কেন তিনি এর শক্তিশালী দাবিদার।
রিয়াল মাদ্রিদ শেষ ৩৩ মিনিটে ৫ গোল করে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করার দিনে ৫-২ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের হারের প্রতিশোধ নেয়া হয়নি বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। উল্টো বেড়েছে ক্ষত স্থানে ব্যথা।
ম্যাচ শেষে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ নূরী শাহিন বলেছেন, ‘ভিনিসিয়ুস আজরাতে আমাদের সাথে যা করেছে পৃথিবীতে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে এবং দুনিয়ায় খুব কম খেলোয়াড়ই তা করতে পারে।’
*অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল*
গতরাতের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্টুটগার্ট। আইন্দহোফেনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে পিএসজি। বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। আর আর্সেনাল ১-০ গোলে হারিয়েছে শাখতার দোৎনেস্কেকে।