alt

সম্পাদকীয়

সিডও সনদ ও নারীর অগ্রগতি

: সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী সমাজের অগ্রগতি হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক নারী, তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দেশে নারী ক্ষমতায়ন বা নারী-পুরুষ সমতা কতা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরই একটি উদাহরণ হচ্ছে, সিডও সনদের দুটি ধারার ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে না নেয়া।

গত রোববার ‘নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ’ বা সিডও দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর। কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি আজও।

সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।

অংশীজনদের পক্ষ থেকে সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। তারা বলছেন, সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। সংরক্ষণ তুলে নেয়ার জন্য জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। ‘সমাজবাস্তবতার’ গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সিডও সনদের দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

tab

সম্পাদকীয়

সিডও সনদ ও নারীর অগ্রগতি

সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী সমাজের অগ্রগতি হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক নারী, তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দেশে নারী ক্ষমতায়ন বা নারী-পুরুষ সমতা কতা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরই একটি উদাহরণ হচ্ছে, সিডও সনদের দুটি ধারার ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে না নেয়া।

গত রোববার ‘নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ’ বা সিডও দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর। কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি আজও।

সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।

অংশীজনদের পক্ষ থেকে সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। তারা বলছেন, সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। সংরক্ষণ তুলে নেয়ার জন্য জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। ‘সমাজবাস্তবতার’ গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সিডও সনদের দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।

back to top