দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী সমাজের অগ্রগতি হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক নারী, তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দেশে নারী ক্ষমতায়ন বা নারী-পুরুষ সমতা কতা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরই একটি উদাহরণ হচ্ছে, সিডও সনদের দুটি ধারার ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে না নেয়া।
গত রোববার ‘নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ’ বা সিডও দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর। কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি আজও।
সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
অংশীজনদের পক্ষ থেকে সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। তারা বলছেন, সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। সংরক্ষণ তুলে নেয়ার জন্য জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। ‘সমাজবাস্তবতার’ গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সিডও সনদের দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।
সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী সমাজের অগ্রগতি হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক নারী, তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে দেশে নারী ক্ষমতায়ন বা নারী-পুরুষ সমতা কতা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরই একটি উদাহরণ হচ্ছে, সিডও সনদের দুটি ধারার ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে না নেয়া।
গত রোববার ‘নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ’ বা সিডও দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর। কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি আজও।
সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
অংশীজনদের পক্ষ থেকে সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। তারা বলছেন, সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। সংরক্ষণ তুলে নেয়ার জন্য জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। ‘সমাজবাস্তবতার’ গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সিডও সনদের দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।