alt

opinion » editorial

শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষার প্রকল্প ছিল ৭৩টি। এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি। সাতটি প্রকল্পে অব্যয়িত রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা। আর এজন্য দায়ী করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও প্রকল্প দলিলসংক্রান্ত জটিলতাকে।

৭৩টি প্রকল্পের ২৩টিতে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক বা ‘পিডি’ নিয়োগ দেয়া হয়নি। পিডির দায়িত্ব ধরে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংস্থা প্রধানরা। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ কারণে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।

শিক্ষার ৩৩টি প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়নি। যার কারণে ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। ১৯টি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

কোনো প্রকল্পের ব্যয় যদি ৫০ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সে প্রকল্পের জন্য পূর্ণকালীন পিডি নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে উপাচার্যরা নিজেরাই প্রকল্প চালাতে চান। এ কারণে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের তথ্য জানার জন্য ‘ইউজিসি’ চিঠিও দেয়। কিন্তু পিডির তরফ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয় না বলে অভিযোগও উঠেছে ইউজিসির পক্ষ থেকে। প্রকল্পের তথ্য সময় মতো সরবরাহ করলে বাস্তবায়ন ব্যাহত হতো না কিন্তু তথ্য দিতে পিডির কেন গড়িমসি, সে প্রশ্ন এসে যায়।

প্রকল্পের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল পিডি নিয়োগের জন্য তিনজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক বা কর্মকর্তার একটি প্যানেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর। নিয়ম অনুযায়ী এই প্যানেল অন্তর্ভুক্ত তিনজনের নাম থেকে একজনকে পিডি নিয়োগ দেয় শিক্ষা সচিবের কমিটি। কিন্তু উপাচার্যরা পিডি নিয়োগের জন্য দক্ষ লোকবল চেয়ে কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাননি, সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।

শুধু যে পিডি নিয়োগ না দেয়ার কারণেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। এ সময়ের নির্ধারিত ‘রেট’ বা বাজারদর অনুযায়ী কাজ করতে আর রাজি হচ্ছেন না ঠিকাদাররা। গত পাঁচ বছরে বাজারে সব রকমের নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এখন ঠিকাদারদের চাহিদা পূরণও করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ২৩টি প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক না থাকা। বড় প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক ‘পিডি’ না থাকা। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের স্বার্থে বা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষার প্রকল্প ছিল ৭৩টি। এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয় করা যায়নি। সাতটি প্রকল্পে অব্যয়িত রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা। আর এজন্য দায়ী করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও প্রকল্প দলিলসংক্রান্ত জটিলতাকে।

৭৩টি প্রকল্পের ২৩টিতে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক বা ‘পিডি’ নিয়োগ দেয়া হয়নি। পিডির দায়িত্ব ধরে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংস্থা প্রধানরা। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ কারণে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।

শিক্ষার ৩৩টি প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়নি। যার কারণে ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। ১৯টি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

কোনো প্রকল্পের ব্যয় যদি ৫০ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সে প্রকল্পের জন্য পূর্ণকালীন পিডি নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে উপাচার্যরা নিজেরাই প্রকল্প চালাতে চান। এ কারণে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের তথ্য জানার জন্য ‘ইউজিসি’ চিঠিও দেয়। কিন্তু পিডির তরফ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয় না বলে অভিযোগও উঠেছে ইউজিসির পক্ষ থেকে। প্রকল্পের তথ্য সময় মতো সরবরাহ করলে বাস্তবায়ন ব্যাহত হতো না কিন্তু তথ্য দিতে পিডির কেন গড়িমসি, সে প্রশ্ন এসে যায়।

প্রকল্পের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল পিডি নিয়োগের জন্য তিনজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক বা কর্মকর্তার একটি প্যানেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর। নিয়ম অনুযায়ী এই প্যানেল অন্তর্ভুক্ত তিনজনের নাম থেকে একজনকে পিডি নিয়োগ দেয় শিক্ষা সচিবের কমিটি। কিন্তু উপাচার্যরা পিডি নিয়োগের জন্য দক্ষ লোকবল চেয়ে কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাননি, সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।

শুধু যে পিডি নিয়োগ না দেয়ার কারণেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়নি তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। এ সময়ের নির্ধারিত ‘রেট’ বা বাজারদর অনুযায়ী কাজ করতে আর রাজি হচ্ছেন না ঠিকাদাররা। গত পাঁচ বছরে বাজারে সব রকমের নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এখন ঠিকাদারদের চাহিদা পূরণও করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ২৩টি প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক না থাকা। বড় প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক ‘পিডি’ না থাকা। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের স্বার্থে বা প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

back to top