alt

সম্পাদকীয়

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

: মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বাড়ছে আশঙ্কজনকহারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষিত ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী মানুষদের মধ্যে সিজারিয়ানের হার বেশি। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেই সিজারিয়ান বেশি হয়। গত রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি দেশে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া উচিত নয়; কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চিত্রটা ভিন্ন। দেশে ২০১৭-১৮ সালে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে এ তথ্য। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর সিজিারিয়ান হচ্ছে ১০ লাখেরও বেশি।

দেশে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাড়ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ভুল ধারণার কারণে দেশে সিজারিয়ানের হার বাড়ছে। দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের মধ্যেই এমন ধারণা রয়েছে যে, সিজারিয়ানে জন্ম নেয়া শিশু মেধাবী হয়, এধরনের শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মধ্যে এসব ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।

আবার এমন অভিযোগও রয়েছে যে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু জন্ম দিতে অনেক পরিবারকে উৎসাহিত করেন। বিশেষ করে সিজারিয়ানে শিশু জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান লাভের আশায় সেখানে কর্মরত ডাক্তার-নার্সদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যেন তারা রোগীকে সিজারিয়ান করানোর প্রশ্নে উদ্বুদ্ধ করে। আবার এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, সন্তান জন্মদানের প্রশ্নে সন্তানসম্ভবা নারী ও তাদের স্বজনদের ধৈর্য এখন কমে গেছে। তারা সিজারিয়ান করতে আগ্রহী হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুর জন্ম কখনো স্বাভাবিক প্রসবের বিকল্প হতে পারে না। বরং অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারে মা ও শিশু উভয়েই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। আমরা চাই, অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ হোক। সন্তানসম্ভবা নারী ও তাদের স্বজনদের অহেতুক সিজারিয়ানের বিপদ সম্পর্কে তাদের সতর্ক করতে হবে। তাদের স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ভূমিকায়ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

tab

সম্পাদকীয়

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বাড়ছে আশঙ্কজনকহারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষিত ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী মানুষদের মধ্যে সিজারিয়ানের হার বেশি। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেই সিজারিয়ান বেশি হয়। গত রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি দেশে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া উচিত নয়; কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চিত্রটা ভিন্ন। দেশে ২০১৭-১৮ সালে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে এ তথ্য। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর সিজিারিয়ান হচ্ছে ১০ লাখেরও বেশি।

দেশে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাড়ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ভুল ধারণার কারণে দেশে সিজারিয়ানের হার বাড়ছে। দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের মধ্যেই এমন ধারণা রয়েছে যে, সিজারিয়ানে জন্ম নেয়া শিশু মেধাবী হয়, এধরনের শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মধ্যে এসব ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।

আবার এমন অভিযোগও রয়েছে যে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু জন্ম দিতে অনেক পরিবারকে উৎসাহিত করেন। বিশেষ করে সিজারিয়ানে শিশু জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান লাভের আশায় সেখানে কর্মরত ডাক্তার-নার্সদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যেন তারা রোগীকে সিজারিয়ান করানোর প্রশ্নে উদ্বুদ্ধ করে। আবার এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, সন্তান জন্মদানের প্রশ্নে সন্তানসম্ভবা নারী ও তাদের স্বজনদের ধৈর্য এখন কমে গেছে। তারা সিজারিয়ান করতে আগ্রহী হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুর জন্ম কখনো স্বাভাবিক প্রসবের বিকল্প হতে পারে না। বরং অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারে মা ও শিশু উভয়েই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। আমরা চাই, অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ হোক। সন্তানসম্ভবা নারী ও তাদের স্বজনদের অহেতুক সিজারিয়ানের বিপদ সম্পর্কে তাদের সতর্ক করতে হবে। তাদের স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ভূমিকায়ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।

back to top