ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এ কারণে রোগীর রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যায়। রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্বাভাবিক স্যালাইন (০৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড) দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
পটুয়াখালীর দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত স্বাভাবিক স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতে। সেখানেও অনেক সময় মিলছে না স্যালাইন। অনেকে জেলা শহর পটুয়াখালী বা বিভাগীয় শহর বরিশাল এমনকি রাজাধানী ঢাকা থেকে অতিরিক্ত দামে নানানভাবে স্যালাইন সংগ্রহ করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিতহয়েছে।
শুধু দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই যে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে তা নয়। দেশের অন্যান্য স্থানের অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহে টান পড়েছে।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৯০০ জনের। ডেঙ্গু রোগীরা গড়ে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন স্যালাইন প্রয়োজন হয়; কিন্তু দেশে এখন প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় স্যালাইন উৎপাদন কম হচ্ছে।
স্যালাইনের চাহিদা এতটা বাড়বে সেটা ওষুধ কোম্পানিগুলোর জানা ছিল না বলে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে; কিন্তু তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একমত নন। দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ রেকর্ড হারে বেড়েছে। পরিস্থতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে সেটা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্ক করেছিলেন। তখন যদি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সতর্ক হতো, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতো তাহলে ডেঙ্গু এত ভয়ানক রূপ হয়তো ধারণ করতো না। অন্ততপক্ষে রোগীদের সুকিৎসার বিষয়টি মাথায় রাখলে স্যালাইনেরও সংকট হতো না। ডেঙ্গু রোগ দেশজুড়ে রাতারাতি বিস্তৃত হয়নি। শুরুতেই স্যালাইনের উৎপাদন বাড়ালে ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের এমন নাজেহাল হতে হতো না বলে মনে করেন অনেকে।
আমরা বলতে চাই, জনস্বাস্থ্যকে অগ্রগণ্য করতে হবে। নাগরিকদের সুচিকৎসা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোনোভাবেই হোক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বেশি লাভের আশায় কেউ অন্যায়ভাবে স্যালাইন মজুত করছে কিনা সেটাও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দেখতে হবে। ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এবার যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী দিনে যেন এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে পড়তে না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এ কারণে রোগীর রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যায়। রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্বাভাবিক স্যালাইন (০৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড) দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
পটুয়াখালীর দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত স্বাভাবিক স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতে। সেখানেও অনেক সময় মিলছে না স্যালাইন। অনেকে জেলা শহর পটুয়াখালী বা বিভাগীয় শহর বরিশাল এমনকি রাজাধানী ঢাকা থেকে অতিরিক্ত দামে নানানভাবে স্যালাইন সংগ্রহ করছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিতহয়েছে।
শুধু দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই যে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে তা নয়। দেশের অন্যান্য স্থানের অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহে টান পড়েছে।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৯০০ জনের। ডেঙ্গু রোগীরা গড়ে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন স্যালাইন প্রয়োজন হয়; কিন্তু দেশে এখন প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় স্যালাইন উৎপাদন কম হচ্ছে।
স্যালাইনের চাহিদা এতটা বাড়বে সেটা ওষুধ কোম্পানিগুলোর জানা ছিল না বলে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে; কিন্তু তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একমত নন। দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ রেকর্ড হারে বেড়েছে। পরিস্থতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে সেটা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্ক করেছিলেন। তখন যদি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সতর্ক হতো, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতো তাহলে ডেঙ্গু এত ভয়ানক রূপ হয়তো ধারণ করতো না। অন্ততপক্ষে রোগীদের সুকিৎসার বিষয়টি মাথায় রাখলে স্যালাইনেরও সংকট হতো না। ডেঙ্গু রোগ দেশজুড়ে রাতারাতি বিস্তৃত হয়নি। শুরুতেই স্যালাইনের উৎপাদন বাড়ালে ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের এমন নাজেহাল হতে হতো না বলে মনে করেন অনেকে।
আমরা বলতে চাই, জনস্বাস্থ্যকে অগ্রগণ্য করতে হবে। নাগরিকদের সুচিকৎসা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোনোভাবেই হোক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বেশি লাভের আশায় কেউ অন্যায়ভাবে স্যালাইন মজুত করছে কিনা সেটাও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দেখতে হবে। ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এবার যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী দিনে যেন এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে পড়তে না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।