alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাখির খাদ্য সংকট ও আমাদের দায়

: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গ্রামীণ জনপদের চিরচেনা পাখি বক। ঝাঁক বেঁধে দিনভর খাল-বিলে খাবারের খোঁজে ঘুরেফেরে। জলাশয়ের মাছ, ব্যাঙ, সাপ ও ছোট জলজ প্রাণী দেখলেই লম্বা ঠোঁট দিয়ে ছোঁ মেরে তুলে নেয়। কিন্তু তারা এখন আর আগের মতো বিচরণ ক্ষেত্র পাচ্ছে না ।

প্রাকৃতিক জলাশয় দখল-ভরাটের কারণে বক খাদ্য সংকটে পড়েছে। গাছপালা কেটে ফেলায় তাদের বাসস্থান সংকটও দেখা দিয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, জলাশয়ের পরিবর্তে তারা ময়লার ভাগাড়ে খাবারের সন্ধান করছে। থাকছেও সেই ভাগাড়েই । এতে পাখিদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর শহরে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড়টি স্বর্ণখোলা এলাকায়। সেখান থেকে খাবার সংগ্রহের জন্য ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। মৎস্যভোজী বকের খাদ্যের উৎস এখন ময়লার ভাগাড় কিংবা ডাস্টবিন ।

এটা পাখিদের খাবার সংকটের একটা উদাহরণ মাত্র। শুধু বক নয়, আরও অনেক পাখি এবং প্রাণী খাদ্য সংকটে ভুগছে। অনেক সময় শুকুন, চিল ও অন্যান্য পাখিকেও ভাগাড়ের ময়লা থেকে খাদ্য সংস্থান করতে দেখা যায়। খাবারের সংকট শুধু বক বা কিছু পাখিই মোকাবিলা করছে তা না। বনের হাতি, বানর ও হনুমান প্রায়ই বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পশু-পাখির খাবারের সংকটের পেছনে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূক কর্মকা-ের দায় রয়েছে। নির্বিচারে বন ও জলাশয় ধ্বংস করার কারণে পশুপাখির অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর জেলায় জলাশয় কতটি রয়েছে তার হিসাব পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে নেই। আমরা বলতে চাই, নদী-নালা, খাল-বিল, বন-জঙ্গল সংরক্ষণ করা জরুরি। জলাশয় রক্ষা পেলে বকসহ অন্যন্য প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাখির খাবার সংকট দূর করা না গেলে গোট জীববৈচিত্র্যই হুমকির মুখে পড়তে পারে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে, দেশও বাঁচবে। বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।

কেবল সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাখির খাদ্য সংকট ও আমাদের দায়

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গ্রামীণ জনপদের চিরচেনা পাখি বক। ঝাঁক বেঁধে দিনভর খাল-বিলে খাবারের খোঁজে ঘুরেফেরে। জলাশয়ের মাছ, ব্যাঙ, সাপ ও ছোট জলজ প্রাণী দেখলেই লম্বা ঠোঁট দিয়ে ছোঁ মেরে তুলে নেয়। কিন্তু তারা এখন আর আগের মতো বিচরণ ক্ষেত্র পাচ্ছে না ।

প্রাকৃতিক জলাশয় দখল-ভরাটের কারণে বক খাদ্য সংকটে পড়েছে। গাছপালা কেটে ফেলায় তাদের বাসস্থান সংকটও দেখা দিয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, জলাশয়ের পরিবর্তে তারা ময়লার ভাগাড়ে খাবারের সন্ধান করছে। থাকছেও সেই ভাগাড়েই । এতে পাখিদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর শহরে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড়টি স্বর্ণখোলা এলাকায়। সেখান থেকে খাবার সংগ্রহের জন্য ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। মৎস্যভোজী বকের খাদ্যের উৎস এখন ময়লার ভাগাড় কিংবা ডাস্টবিন ।

এটা পাখিদের খাবার সংকটের একটা উদাহরণ মাত্র। শুধু বক নয়, আরও অনেক পাখি এবং প্রাণী খাদ্য সংকটে ভুগছে। অনেক সময় শুকুন, চিল ও অন্যান্য পাখিকেও ভাগাড়ের ময়লা থেকে খাদ্য সংস্থান করতে দেখা যায়। খাবারের সংকট শুধু বক বা কিছু পাখিই মোকাবিলা করছে তা না। বনের হাতি, বানর ও হনুমান প্রায়ই বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পশু-পাখির খাবারের সংকটের পেছনে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূক কর্মকা-ের দায় রয়েছে। নির্বিচারে বন ও জলাশয় ধ্বংস করার কারণে পশুপাখির অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর জেলায় জলাশয় কতটি রয়েছে তার হিসাব পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে নেই। আমরা বলতে চাই, নদী-নালা, খাল-বিল, বন-জঙ্গল সংরক্ষণ করা জরুরি। জলাশয় রক্ষা পেলে বকসহ অন্যন্য প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাখির খাবার সংকট দূর করা না গেলে গোট জীববৈচিত্র্যই হুমকির মুখে পড়তে পারে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে, দেশও বাঁচবে। বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।

কেবল সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

back to top