গ্রামীণ জনপদের চিরচেনা পাখি বক। ঝাঁক বেঁধে দিনভর খাল-বিলে খাবারের খোঁজে ঘুরেফেরে। জলাশয়ের মাছ, ব্যাঙ, সাপ ও ছোট জলজ প্রাণী দেখলেই লম্বা ঠোঁট দিয়ে ছোঁ মেরে তুলে নেয়। কিন্তু তারা এখন আর আগের মতো বিচরণ ক্ষেত্র পাচ্ছে না ।
প্রাকৃতিক জলাশয় দখল-ভরাটের কারণে বক খাদ্য সংকটে পড়েছে। গাছপালা কেটে ফেলায় তাদের বাসস্থান সংকটও দেখা দিয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, জলাশয়ের পরিবর্তে তারা ময়লার ভাগাড়ে খাবারের সন্ধান করছে। থাকছেও সেই ভাগাড়েই । এতে পাখিদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর শহরে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড়টি স্বর্ণখোলা এলাকায়। সেখান থেকে খাবার সংগ্রহের জন্য ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। মৎস্যভোজী বকের খাদ্যের উৎস এখন ময়লার ভাগাড় কিংবা ডাস্টবিন ।
এটা পাখিদের খাবার সংকটের একটা উদাহরণ মাত্র। শুধু বক নয়, আরও অনেক পাখি এবং প্রাণী খাদ্য সংকটে ভুগছে। অনেক সময় শুকুন, চিল ও অন্যান্য পাখিকেও ভাগাড়ের ময়লা থেকে খাদ্য সংস্থান করতে দেখা যায়। খাবারের সংকট শুধু বক বা কিছু পাখিই মোকাবিলা করছে তা না। বনের হাতি, বানর ও হনুমান প্রায়ই বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পশু-পাখির খাবারের সংকটের পেছনে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূক কর্মকা-ের দায় রয়েছে। নির্বিচারে বন ও জলাশয় ধ্বংস করার কারণে পশুপাখির অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে।
চাঁদপুর জেলায় জলাশয় কতটি রয়েছে তার হিসাব পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে নেই। আমরা বলতে চাই, নদী-নালা, খাল-বিল, বন-জঙ্গল সংরক্ষণ করা জরুরি। জলাশয় রক্ষা পেলে বকসহ অন্যন্য প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাখির খাবার সংকট দূর করা না গেলে গোট জীববৈচিত্র্যই হুমকির মুখে পড়তে পারে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে, দেশও বাঁচবে। বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।
কেবল সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
গ্রামীণ জনপদের চিরচেনা পাখি বক। ঝাঁক বেঁধে দিনভর খাল-বিলে খাবারের খোঁজে ঘুরেফেরে। জলাশয়ের মাছ, ব্যাঙ, সাপ ও ছোট জলজ প্রাণী দেখলেই লম্বা ঠোঁট দিয়ে ছোঁ মেরে তুলে নেয়। কিন্তু তারা এখন আর আগের মতো বিচরণ ক্ষেত্র পাচ্ছে না ।
প্রাকৃতিক জলাশয় দখল-ভরাটের কারণে বক খাদ্য সংকটে পড়েছে। গাছপালা কেটে ফেলায় তাদের বাসস্থান সংকটও দেখা দিয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, জলাশয়ের পরিবর্তে তারা ময়লার ভাগাড়ে খাবারের সন্ধান করছে। থাকছেও সেই ভাগাড়েই । এতে পাখিদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর শহরে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড়টি স্বর্ণখোলা এলাকায়। সেখান থেকে খাবার সংগ্রহের জন্য ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। মৎস্যভোজী বকের খাদ্যের উৎস এখন ময়লার ভাগাড় কিংবা ডাস্টবিন ।
এটা পাখিদের খাবার সংকটের একটা উদাহরণ মাত্র। শুধু বক নয়, আরও অনেক পাখি এবং প্রাণী খাদ্য সংকটে ভুগছে। অনেক সময় শুকুন, চিল ও অন্যান্য পাখিকেও ভাগাড়ের ময়লা থেকে খাদ্য সংস্থান করতে দেখা যায়। খাবারের সংকট শুধু বক বা কিছু পাখিই মোকাবিলা করছে তা না। বনের হাতি, বানর ও হনুমান প্রায়ই বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পশু-পাখির খাবারের সংকটের পেছনে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূক কর্মকা-ের দায় রয়েছে। নির্বিচারে বন ও জলাশয় ধ্বংস করার কারণে পশুপাখির অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে।
চাঁদপুর জেলায় জলাশয় কতটি রয়েছে তার হিসাব পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে নেই। আমরা বলতে চাই, নদী-নালা, খাল-বিল, বন-জঙ্গল সংরক্ষণ করা জরুরি। জলাশয় রক্ষা পেলে বকসহ অন্যন্য প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাখির খাবার সংকট দূর করা না গেলে গোট জীববৈচিত্র্যই হুমকির মুখে পড়তে পারে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে, দেশও বাঁচবে। বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।
কেবল সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।