রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

রংপুর সদর এলএসডি গুদামের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাল ও গম আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মসাৎকৃত চাল-গম কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। খাদ্য গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তাও বিষয়টি গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গুদামের খাদ্য মজুতের পরিমাণসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে খাদ্য গুদামে ১৪৪ টন এবং ৭৪৪ কেজি চাল এবং ৩১৭ কেজি গম কম পাওয়া যায়। যার অনুমানিক মূল্য কোটি টাকারও বেশি। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের খবর উদ্বেগজনক। আশার কথা হচ্ছে, উক্ত অভিযোগ ইতোমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে মামলা হয়েছে সেটা স্বস্তির বিষয়।

তবে সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চাল-গম আত্মসাতের বিষয়টি উক্ত গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানতেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায় না। গুদামের চাল-গম আত্মসাৎ ও বিক্রিতে তাদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকে বা তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

নিয়ম হচ্ছে, মাসে অন্তত দুবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সরেজমিন খাদ্য গুদামে গিয়ে খাদ্যের মজুত ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সেই প্রতিবেদন নিয়মিত দাখিল করা হলে এতবড় আত্মসাতের ঘটনা ঘটতে পারত না বা আরও আগেই সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। বর্তমান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার।

খাদ্যগুদামে জোরদার মনিটরিং থাকতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করা হলে গুদামের খাদ্যশস্য নয়ছয় করা সম্ভব হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

সম্প্রতি