alt

সম্পাদকীয়

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

: রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকায় কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণার পর ডিম ও মুরগিÑ দুটোরই দাম বেড়েছে। ডিমের ডজন কোথাও কোথাও গিয়ে ঠেকেছে ১৮০ টাকায়। আর মুরগির কেজি হয়েছে ১৯০ টাকা।

সরকার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দর নির্ধারণ করে দিচ্ছে, কিন্তু বাজারে সেই দরের চেয়ে বেশি মূল্য পণ্য বিক্রি হচ্ছেÑ এমন ঘটনা অতীতেও দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ত্যাক্তবিরক্ত ভোক্তা সাধারণের প্রশ্নÑ সরকার নির্ধারিত দরে পণ্য বিক্রি হয় না কেন।

দাম কেবল ডিম আর মুরগিরই বাড়েনি। চালের দাম বেড়েছে। অনেক সবজির দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। বিশেষকরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে।

সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তারা আর্থিকভাবে চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সহজ কোনো কাজ নয়। এজন্য নীতিনির্ধারকদের একইসঙ্গে কৌশলী ও সাহসী হতে হয়। পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারসাম্য যেমন রাখতে হয়, তেমন যে কোনো অবৈধ মজুতদারী শক্ত হাতে দমন করা জরুরি। এজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

দেশে সিন্ডিকেটের কথা শোনা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কারা এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, তার গতি-প্রকৃতি কেমন সেটা নিশ্চিত করে জানা যায় না। আমরা চাই, সিন্ডিকেট রহস্যের উন্মোচন হোক, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কোথাও নীতিগত দুর্বলতা থাকলে সেটা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন খাতে পর্যাপ্ত নজরদারি থাকা প্রয়োজন। আমদানিনির্ভরতা কমানো গেলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। সেজন্য কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার বিকল্প নেই। সার ও জ্বালানি সুলভ করতে হবে। জ্বালানির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিকল্প জ্বালানি উৎসের উন্নয়নে বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকায় কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণার পর ডিম ও মুরগিÑ দুটোরই দাম বেড়েছে। ডিমের ডজন কোথাও কোথাও গিয়ে ঠেকেছে ১৮০ টাকায়। আর মুরগির কেজি হয়েছে ১৯০ টাকা।

সরকার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দর নির্ধারণ করে দিচ্ছে, কিন্তু বাজারে সেই দরের চেয়ে বেশি মূল্য পণ্য বিক্রি হচ্ছেÑ এমন ঘটনা অতীতেও দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ত্যাক্তবিরক্ত ভোক্তা সাধারণের প্রশ্নÑ সরকার নির্ধারিত দরে পণ্য বিক্রি হয় না কেন।

দাম কেবল ডিম আর মুরগিরই বাড়েনি। চালের দাম বেড়েছে। অনেক সবজির দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। বিশেষকরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে।

সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তারা আর্থিকভাবে চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সহজ কোনো কাজ নয়। এজন্য নীতিনির্ধারকদের একইসঙ্গে কৌশলী ও সাহসী হতে হয়। পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারসাম্য যেমন রাখতে হয়, তেমন যে কোনো অবৈধ মজুতদারী শক্ত হাতে দমন করা জরুরি। এজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

দেশে সিন্ডিকেটের কথা শোনা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কারা এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, তার গতি-প্রকৃতি কেমন সেটা নিশ্চিত করে জানা যায় না। আমরা চাই, সিন্ডিকেট রহস্যের উন্মোচন হোক, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কোথাও নীতিগত দুর্বলতা থাকলে সেটা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন খাতে পর্যাপ্ত নজরদারি থাকা প্রয়োজন। আমদানিনির্ভরতা কমানো গেলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। সেজন্য কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার বিকল্প নেই। সার ও জ্বালানি সুলভ করতে হবে। জ্বালানির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিকল্প জ্বালানি উৎসের উন্নয়নে বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top