alt

সম্পাদকীয়

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলিগ জামাত, বিশ্বব্যাপী ইসলামী দাওয়াতের এক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ দাওয়াতের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সংগঠনের দুই অংশের ‘জুবায়েরপন্থী’ এবং ‘সাদপন্থী’Ñ মধ্যে বিভক্তি এবং সংঘাত দেখা দিয়েছে।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের দুই প্রধান অংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুধু হতাশাজনক নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে বিভক্তি এবং নেতৃত্বের সংকটের একটি উদাহরণ। এ সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা আমাদের সবার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রশ্ন হলোÑ যখন সমঝোতা হয়েছে, তখন কেন এমন সংঘর্ষ? প্রশাসনের উদ্যোগে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সমঝোতা চুক্তি হলেও তা টিকে থাকেনি। অনেকে বলছেন, এর কারণ হচ্ছে উভয়পক্ষের নেতৃত্বের মধ্যে চরমপন্থা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার আকাক্সক্ষা। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ, যা ঐতিহাসিকভাবে তাবলিগ জামাতের একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, উভয়পক্ষের জন্য একটি মর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জুবায়েরপন্থীরা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠায় অবস্থান নিলে, সাদপন্থীরা তা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। মঙ্গলবার শেষরাতে সংঘর্ষের শুরু হওয়া উভয়পক্ষের দোষারোপের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয় যে, সমঝোতার শর্তগুলো বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

প্রশাসন দাবি করছে, এই সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঘটনাটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছে, তা প্রশাসনের পরিকল্পনায় কিছু ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে, ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন আরও কঠোর হতে পারত।

তাবলিগ জামাতের মতো একটি ধর্মীয় সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রচার ও সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। কিন্তু তাদের ভেতরকার এই বিভাজন শুধু তাদের নিজস্ব অনুসারীদেরই বিভ্রান্ত করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংঘর্ষ শুধু ধর্মীয় ভাবমূর্তির ক্ষতিই করেনি, বরং সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির পরিবেশকেও আঘাত করেছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারের উচিত উভয়পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান বের করা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বুঝতে হবে যে, ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতার কথা বলে। সমস্যার সমাধানে ঐক্য ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংঘর্ষে প্রাণহানি বা রক্তপাত কখনোই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলিগ জামাত, বিশ্বব্যাপী ইসলামী দাওয়াতের এক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ দাওয়াতের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সংগঠনের দুই অংশের ‘জুবায়েরপন্থী’ এবং ‘সাদপন্থী’Ñ মধ্যে বিভক্তি এবং সংঘাত দেখা দিয়েছে।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের দুই প্রধান অংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুধু হতাশাজনক নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে বিভক্তি এবং নেতৃত্বের সংকটের একটি উদাহরণ। এ সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা আমাদের সবার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রশ্ন হলোÑ যখন সমঝোতা হয়েছে, তখন কেন এমন সংঘর্ষ? প্রশাসনের উদ্যোগে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সমঝোতা চুক্তি হলেও তা টিকে থাকেনি। অনেকে বলছেন, এর কারণ হচ্ছে উভয়পক্ষের নেতৃত্বের মধ্যে চরমপন্থা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার আকাক্সক্ষা। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ, যা ঐতিহাসিকভাবে তাবলিগ জামাতের একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, উভয়পক্ষের জন্য একটি মর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জুবায়েরপন্থীরা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠায় অবস্থান নিলে, সাদপন্থীরা তা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। মঙ্গলবার শেষরাতে সংঘর্ষের শুরু হওয়া উভয়পক্ষের দোষারোপের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয় যে, সমঝোতার শর্তগুলো বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

প্রশাসন দাবি করছে, এই সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঘটনাটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছে, তা প্রশাসনের পরিকল্পনায় কিছু ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে, ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন আরও কঠোর হতে পারত।

তাবলিগ জামাতের মতো একটি ধর্মীয় সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রচার ও সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। কিন্তু তাদের ভেতরকার এই বিভাজন শুধু তাদের নিজস্ব অনুসারীদেরই বিভ্রান্ত করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংঘর্ষ শুধু ধর্মীয় ভাবমূর্তির ক্ষতিই করেনি, বরং সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির পরিবেশকেও আঘাত করেছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারের উচিত উভয়পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান বের করা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বুঝতে হবে যে, ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতার কথা বলে। সমস্যার সমাধানে ঐক্য ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংঘর্ষে প্রাণহানি বা রক্তপাত কখনোই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব।

back to top