alt

সম্পাদকীয়

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলতি রোপা আমন ধানের বীজ কিনে শতাধিক কৃষক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। নিয়ামতপুর বাজারের বীজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ২২ জাতের বীজের কথা বলে নকল বীজ বিক্রি করেছেন, যার ফলস্বরূপ কৃষকদের ৩০ একর জমিতে ধানের ফলন ব্যাহত হয়েছে। এই ঘটনা কৃষকদের জন্য একেবারেই অন্ধকার ভবিষ্যতের দিক ইঙ্গিত করে, যেখানে তাদের পরিশ্রমের ফলাফল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পুঁজি হারানোর শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছেÑএ প্রতারণার দায় কে নেবে?

নকল বীজ বিক্রির অভিযোগ গুরুতর, কারণ এটি কৃষকদের জীবিকা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, নিয়ামতপুর বাজারের সোহাগ এবং আউয়াল নামক ব্যবসায়ীরা যেসব বীজ বিক্রি করেছেন, সেগুলো থেকে চারা গজানোর পর চিটা শীষ বেরিয়েছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং ফলনহীন। উরদীঘি, সুলতাননগর, খয়রতসহ অন্যান্য এলাকার শতাধিক কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে অন্যত্র থেকে অধিক মূল্যে নতুন বীজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন, যা তাদের আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কৃষকদের উচিত ছিল কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে বীজ কেনা। কিন্তু, কৃষকরা যখন বাজারে যাচাই-বাছাই ছাড়া বীজ কেনেন, তখন তারা প্রতারণার শিকার হন। আমরা বলতে চাই, বিক্রি করা পণ্য সম্পর্কে সতর্ক এবং সৎ থাকার প্রশ্নে ব্যবসায়ীদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।

এটি স্পষ্ট যে, এই ধরনের প্রতারণা কৃষকদের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকারের উচিত, কৃষকদের জন্য একটি নিশ্চিত বীজ বিক্রির ব্যবস্থা করতে, যাতে তারা ভরসা রাখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত আরও এই ঘটনার পেছনে থাকা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো কৃষক এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আর তার জন্য শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; বীজ ব্যবসায়ী, কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কৃষি খাতে কোনো ধরনের প্রতারণা ঠেকানো যায়।

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলতি রোপা আমন ধানের বীজ কিনে শতাধিক কৃষক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। নিয়ামতপুর বাজারের বীজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ২২ জাতের বীজের কথা বলে নকল বীজ বিক্রি করেছেন, যার ফলস্বরূপ কৃষকদের ৩০ একর জমিতে ধানের ফলন ব্যাহত হয়েছে। এই ঘটনা কৃষকদের জন্য একেবারেই অন্ধকার ভবিষ্যতের দিক ইঙ্গিত করে, যেখানে তাদের পরিশ্রমের ফলাফল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পুঁজি হারানোর শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছেÑএ প্রতারণার দায় কে নেবে?

নকল বীজ বিক্রির অভিযোগ গুরুতর, কারণ এটি কৃষকদের জীবিকা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, নিয়ামতপুর বাজারের সোহাগ এবং আউয়াল নামক ব্যবসায়ীরা যেসব বীজ বিক্রি করেছেন, সেগুলো থেকে চারা গজানোর পর চিটা শীষ বেরিয়েছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং ফলনহীন। উরদীঘি, সুলতাননগর, খয়রতসহ অন্যান্য এলাকার শতাধিক কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে অন্যত্র থেকে অধিক মূল্যে নতুন বীজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন, যা তাদের আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কৃষকদের উচিত ছিল কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে বীজ কেনা। কিন্তু, কৃষকরা যখন বাজারে যাচাই-বাছাই ছাড়া বীজ কেনেন, তখন তারা প্রতারণার শিকার হন। আমরা বলতে চাই, বিক্রি করা পণ্য সম্পর্কে সতর্ক এবং সৎ থাকার প্রশ্নে ব্যবসায়ীদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।

এটি স্পষ্ট যে, এই ধরনের প্রতারণা কৃষকদের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকারের উচিত, কৃষকদের জন্য একটি নিশ্চিত বীজ বিক্রির ব্যবস্থা করতে, যাতে তারা ভরসা রাখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত আরও এই ঘটনার পেছনে থাকা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো কৃষক এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আর তার জন্য শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; বীজ ব্যবসায়ী, কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কৃষি খাতে কোনো ধরনের প্রতারণা ঠেকানো যায়।

back to top