alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

: রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ধরনের ঘটনা একবারে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গত এক বছরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অপহরণের ঘটনা ৬৪২টি, যার মধ্যে শেষ চার মাসে ঘটেছে ৩০২টি ঘটনা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়ে গেছে।

দেশে অপহরণের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। একদিকে যেখানে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের জন্য মানুষকে ধরে, অন্যদিকে অনেক সময় তারা টাকা পাওয়ার পরও অপহৃত ব্যক্তিকে নির্দ্বিধায় হত্যা করছে।

অপহরণের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক বিরোধ, পূর্বশত্রুতা, এবং সামাজিক-আর্থিক সংকট এসবের মূল কারণ। মানুষের হতাশা, ব্যক্তিগত স্বার্থের সংঘাত, এবং টাকার প্রতি আকর্ষণ অপরাধীদের অপহরণের দিকে পরিচালিত করছে। বিশেষত, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং একটি রাজনৈতিক দলের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অপরাধীদের সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে। একটি অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরও অপরাধের মাত্রা কমেনি, বরং আরো বেড়েছে।

অপহরণ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো জরুরি। অপরাধী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেমন, সিসিটিভি ক্যামেরা, ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। অপহরণের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে, যাতে অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে না যায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অপরাধ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিরতা অপরাধীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। স্থানীয়ভাবে সচেতনতা তৈরি করা অপরিহার্য।

অপহরণ একটি গুরুতর অপরাধ, যা শুধু ব্যক্তির জন্য নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও হুমকি। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক কমে এবং সমাজে নিরাপত্তা ফিরে আসে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতেকরে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে ।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ধরনের ঘটনা একবারে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গত এক বছরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অপহরণের ঘটনা ৬৪২টি, যার মধ্যে শেষ চার মাসে ঘটেছে ৩০২টি ঘটনা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়ে গেছে।

দেশে অপহরণের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। একদিকে যেখানে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের জন্য মানুষকে ধরে, অন্যদিকে অনেক সময় তারা টাকা পাওয়ার পরও অপহৃত ব্যক্তিকে নির্দ্বিধায় হত্যা করছে।

অপহরণের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক বিরোধ, পূর্বশত্রুতা, এবং সামাজিক-আর্থিক সংকট এসবের মূল কারণ। মানুষের হতাশা, ব্যক্তিগত স্বার্থের সংঘাত, এবং টাকার প্রতি আকর্ষণ অপরাধীদের অপহরণের দিকে পরিচালিত করছে। বিশেষত, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং একটি রাজনৈতিক দলের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অপরাধীদের সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে। একটি অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরও অপরাধের মাত্রা কমেনি, বরং আরো বেড়েছে।

অপহরণ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো জরুরি। অপরাধী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেমন, সিসিটিভি ক্যামেরা, ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। অপহরণের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে, যাতে অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে না যায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অপরাধ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিরতা অপরাধীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। স্থানীয়ভাবে সচেতনতা তৈরি করা অপরিহার্য।

অপহরণ একটি গুরুতর অপরাধ, যা শুধু ব্যক্তির জন্য নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও হুমকি। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক কমে এবং সমাজে নিরাপত্তা ফিরে আসে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতেকরে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে ।

back to top