alt

সম্পাদকীয়

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

: রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মডেল মেঘনা আলমের আটক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এর আওতায় ৩০ দিনের কারাগার আটকাদেশের ঘটনা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পুলিশের দাবি, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘিœত করা’, ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির ষড়যন্ত্র’, এবং ‘দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার’ অভিযোগে মেঘনা আলম নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। তবে, এই অভিযোগগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট বিবরণ বা প্রমাণ এখনও হাজির করা হয়নি।

আটকের আগে ফেসবুক লাইভে মেঘনা আলম জানিয়েছিলেন, পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা তার বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে এবং গ্রেপ্তারের জন্য কোনো ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলার দাবি জানান।

লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা তার অবস্থান বা অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপহরণের গুজব ছড়ায়। দুই দিন পর তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় আটকাদেশ জারি করা হয়। অথচ, সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে অভিযোগ জানানো বাধ্যতামূলক।

বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪, নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই কাউকে ‘ক্ষতিকর কার্যকলাপ’ থেকে নিবৃত করতে আটক করা যায়। তবে, ‘ক্ষতিকর কার্যকলাপ’ সেটা একটা প্রশ্ন।

একজন মডেল আটকের ঘটনায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও কেন নিবর্তনমূলক আইনের অপপ্রয়োগ অব্যাহত? বিশেষ ক্ষমতা আইন কি সত্যিই গণতান্ত্রিক সমাজে প্রয়োজনীয়? কোনো কোনো আইনজীবীর মতে, এই আটকাদেশে আইনি ত্রুটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো মামলা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া একজন নাগরিককে আটক করা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মৌলিক নীতির লঙ্ঘন।

আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগের স্পষ্ট ব্যাখ্যা জনগণের সামনে আনা জরুরি। বিশেষ ক্ষমতা আইন নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রশ্ন রয়েছে তার সুরাহা করাও জরুরি।

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

tab

সম্পাদকীয়

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মডেল মেঘনা আলমের আটক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এর আওতায় ৩০ দিনের কারাগার আটকাদেশের ঘটনা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পুলিশের দাবি, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘিœত করা’, ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির ষড়যন্ত্র’, এবং ‘দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার’ অভিযোগে মেঘনা আলম নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। তবে, এই অভিযোগগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট বিবরণ বা প্রমাণ এখনও হাজির করা হয়নি।

আটকের আগে ফেসবুক লাইভে মেঘনা আলম জানিয়েছিলেন, পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা তার বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে এবং গ্রেপ্তারের জন্য কোনো ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলার দাবি জানান।

লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা তার অবস্থান বা অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপহরণের গুজব ছড়ায়। দুই দিন পর তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় আটকাদেশ জারি করা হয়। অথচ, সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে অভিযোগ জানানো বাধ্যতামূলক।

বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪, নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই কাউকে ‘ক্ষতিকর কার্যকলাপ’ থেকে নিবৃত করতে আটক করা যায়। তবে, ‘ক্ষতিকর কার্যকলাপ’ সেটা একটা প্রশ্ন।

একজন মডেল আটকের ঘটনায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও কেন নিবর্তনমূলক আইনের অপপ্রয়োগ অব্যাহত? বিশেষ ক্ষমতা আইন কি সত্যিই গণতান্ত্রিক সমাজে প্রয়োজনীয়? কোনো কোনো আইনজীবীর মতে, এই আটকাদেশে আইনি ত্রুটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো মামলা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া একজন নাগরিককে আটক করা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মৌলিক নীতির লঙ্ঘন।

আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগের স্পষ্ট ব্যাখ্যা জনগণের সামনে আনা জরুরি। বিশেষ ক্ষমতা আইন নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রশ্ন রয়েছে তার সুরাহা করাও জরুরি।

back to top