alt

মতামত » সম্পাদকীয়

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

: সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ হাসাহাসি’কে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে যে, এটা কি শুধুই একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কর ফল, নাকি সমাজের অসহিষ্ণুতার একটি কদর্য প্রকাশ।

জাহিদুলের হত্যাকা-ে জানা যায়, দুই নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকে উত্তপ্ত কথাকাটাকাটি এবং পরে বহিরাগতদের ডেকে এনে ছুরিকাঘাতের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলছেÑকেন আমাদের সমাজ এতটাই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে যে, অনুমাননির্ভর সাধারণ ঘটনায় হত্যাকা-ের মতো চরম পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে?

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কথায়-কথায় মব তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ছোট ঘটনাও বড় সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। এই অসহিষ্ণুতা শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশেও প্রকট হয়ে উঠছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে মব সৃষ্টি করে হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

আইনের প্রতি অবজ্ঞা বা সমাজে অসহিষ্ণুতা তৈরি হওয়ার পেছনে সরকারের কোনো দায় আছে কিনা, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিশেষকরে আগামীতে যারা নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কোনো কোনো নেতৃত্বের দায়িত্বহীন বক্তব্য মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা অসহিষ্ণুতার জন্ম দিচ্ছে। এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখা দিয়েছে। যেটা তাদেরকে মব তৈরি করে নিজের হাতে বিচার করতে উৎসাহিত করছে।

সরকারের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জাহিদুলের হত্যাকা-ে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি, মব সৃষ্টি ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো, এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। পাশাপাশি যারা ভবিষ্যতে নেতৃত্বে আসতে চান, তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। তাদের বক্তব্য ও কর্মকা- সমাজে সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, নাকি অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করবে, তা গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ হাসাহাসি’কে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে যে, এটা কি শুধুই একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কর ফল, নাকি সমাজের অসহিষ্ণুতার একটি কদর্য প্রকাশ।

জাহিদুলের হত্যাকা-ে জানা যায়, দুই নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকে উত্তপ্ত কথাকাটাকাটি এবং পরে বহিরাগতদের ডেকে এনে ছুরিকাঘাতের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলছেÑকেন আমাদের সমাজ এতটাই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে যে, অনুমাননির্ভর সাধারণ ঘটনায় হত্যাকা-ের মতো চরম পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে?

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কথায়-কথায় মব তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ছোট ঘটনাও বড় সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। এই অসহিষ্ণুতা শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশেও প্রকট হয়ে উঠছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে মব সৃষ্টি করে হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

আইনের প্রতি অবজ্ঞা বা সমাজে অসহিষ্ণুতা তৈরি হওয়ার পেছনে সরকারের কোনো দায় আছে কিনা, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিশেষকরে আগামীতে যারা নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কোনো কোনো নেতৃত্বের দায়িত্বহীন বক্তব্য মানুষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা অসহিষ্ণুতার জন্ম দিচ্ছে। এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখা দিয়েছে। যেটা তাদেরকে মব তৈরি করে নিজের হাতে বিচার করতে উৎসাহিত করছে।

সরকারের দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জাহিদুলের হত্যাকা-ে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি, মব সৃষ্টি ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো, এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। পাশাপাশি যারা ভবিষ্যতে নেতৃত্বে আসতে চান, তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। তাদের বক্তব্য ও কর্মকা- সমাজে সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, নাকি অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করবে, তা গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে।

back to top