নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর থেকে ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠী এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় আইনে নারীর সম্পত্তিতে সমানাধিকারের কথা বললেই কেন ধর্মীয় অনুভূতির কথা তুলে আনা হয় সে প্রশ্ন উঠেছে। সমাজ গঠনে, দেশের উন্নয়নে নারী ও পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছে। অথচ আজও নানাভাবে নারীর প্রতি আইনগত বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।
অভিন্ন পারিবারিক আইন, সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান উত্তরাধিকার, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধান আপত্তি। এই গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, এসব সুপারিশ কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ইসলামের শরিয়াহ আইনের বিরোধী। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে সমাজে অস্থিতিশীলতা ও নৈতিক অধঃপতন সৃষ্টি করবে। তবে এই যুক্তিগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
আমাদের প্রশ্নÑ কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার কি হরণ করা যায়। কারণ দেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নাগরিকের প্রতি ধর্ম, লিঙ্গ বা অন্য কোনো কারণে বৈষম্য করা যাবে না।
ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো বরাবরই নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে অনীহা প্রকাশ করে। নারীর সমানাধিকারের দাবি উঠলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে তা প্রতিহত করার প্রচেষ্টা শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যই নয়, ধর্মের অপব্যবহারও। ধর্ম মানুষের মধ্যে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য, বৈষম্য সৃষ্টির জন্য নয়।
আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। সংস্কারগুলো শুধু নারীর জন্য নয়, সমগ্র সমাজের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অযৌক্তিক বিরোধিতার কাছে নতি স্বীকার করলে চলবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, তার এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা পেলে সমাজ আরও ভারসাম্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর থেকে ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠী এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় আইনে নারীর সম্পত্তিতে সমানাধিকারের কথা বললেই কেন ধর্মীয় অনুভূতির কথা তুলে আনা হয় সে প্রশ্ন উঠেছে। সমাজ গঠনে, দেশের উন্নয়নে নারী ও পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছে। অথচ আজও নানাভাবে নারীর প্রতি আইনগত বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।
অভিন্ন পারিবারিক আইন, সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান উত্তরাধিকার, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধান আপত্তি। এই গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, এসব সুপারিশ কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ইসলামের শরিয়াহ আইনের বিরোধী। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে সমাজে অস্থিতিশীলতা ও নৈতিক অধঃপতন সৃষ্টি করবে। তবে এই যুক্তিগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার প্রতিফলন।
আমাদের প্রশ্নÑ কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার কি হরণ করা যায়। কারণ দেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নাগরিকের প্রতি ধর্ম, লিঙ্গ বা অন্য কোনো কারণে বৈষম্য করা যাবে না।
ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো বরাবরই নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে অনীহা প্রকাশ করে। নারীর সমানাধিকারের দাবি উঠলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে তা প্রতিহত করার প্রচেষ্টা শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যই নয়, ধর্মের অপব্যবহারও। ধর্ম মানুষের মধ্যে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য, বৈষম্য সৃষ্টির জন্য নয়।
আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। সংস্কারগুলো শুধু নারীর জন্য নয়, সমগ্র সমাজের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অযৌক্তিক বিরোধিতার কাছে নতি স্বীকার করলে চলবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, তার এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা পেলে সমাজ আরও ভারসাম্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।