alt

সম্পাদকীয়

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর থেকে ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠী এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় আইনে নারীর সম্পত্তিতে সমানাধিকারের কথা বললেই কেন ধর্মীয় অনুভূতির কথা তুলে আনা হয় সে প্রশ্ন উঠেছে। সমাজ গঠনে, দেশের উন্নয়নে নারী ও পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছে। অথচ আজও নানাভাবে নারীর প্রতি আইনগত বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।

অভিন্ন পারিবারিক আইন, সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান উত্তরাধিকার, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধান আপত্তি। এই গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, এসব সুপারিশ কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ইসলামের শরিয়াহ আইনের বিরোধী। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে সমাজে অস্থিতিশীলতা ও নৈতিক অধঃপতন সৃষ্টি করবে। তবে এই যুক্তিগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

আমাদের প্রশ্নÑ কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার কি হরণ করা যায়। কারণ দেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নাগরিকের প্রতি ধর্ম, লিঙ্গ বা অন্য কোনো কারণে বৈষম্য করা যাবে না।

ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো বরাবরই নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে অনীহা প্রকাশ করে। নারীর সমানাধিকারের দাবি উঠলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে তা প্রতিহত করার প্রচেষ্টা শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যই নয়, ধর্মের অপব্যবহারও। ধর্ম মানুষের মধ্যে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য, বৈষম্য সৃষ্টির জন্য নয়।

আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। সংস্কারগুলো শুধু নারীর জন্য নয়, সমগ্র সমাজের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অযৌক্তিক বিরোধিতার কাছে নতি স্বীকার করলে চলবে না।

প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, তার এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা পেলে সমাজ আরও ভারসাম্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

tab

সম্পাদকীয়

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর থেকে ধর্মভিত্তিক কিছু দল ও গোষ্ঠী এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় আইনে নারীর সম্পত্তিতে সমানাধিকারের কথা বললেই কেন ধর্মীয় অনুভূতির কথা তুলে আনা হয় সে প্রশ্ন উঠেছে। সমাজ গঠনে, দেশের উন্নয়নে নারী ও পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছে। অথচ আজও নানাভাবে নারীর প্রতি আইনগত বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।

অভিন্ন পারিবারিক আইন, সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান উত্তরাধিকার, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধান আপত্তি। এই গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, এসব সুপারিশ কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ইসলামের শরিয়াহ আইনের বিরোধী। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে সমাজে অস্থিতিশীলতা ও নৈতিক অধঃপতন সৃষ্টি করবে। তবে এই যুক্তিগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এগুলো মূলত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

আমাদের প্রশ্নÑ কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার কি হরণ করা যায়। কারণ দেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নাগরিকের প্রতি ধর্ম, লিঙ্গ বা অন্য কোনো কারণে বৈষম্য করা যাবে না।

ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো বরাবরই নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে অনীহা প্রকাশ করে। নারীর সমানাধিকারের দাবি উঠলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে তা প্রতিহত করার প্রচেষ্টা শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যই নয়, ধর্মের অপব্যবহারও। ধর্ম মানুষের মধ্যে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য, বৈষম্য সৃষ্টির জন্য নয়।

আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। সংস্কারগুলো শুধু নারীর জন্য নয়, সমগ্র সমাজের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর অযৌক্তিক বিরোধিতার কাছে নতি স্বীকার করলে চলবে না।

প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই, তার এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা পেলে সমাজ আরও ভারসাম্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top