alt

সম্পাদকীয়

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

: শনিবার, ১০ মে ২০২৫

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। এখন তা সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। একে অপরের ভূখ-ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, গোলাবর্ষণ ও বিমান ভূপাতিতের মতো ঘটনায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দুই দেশেরই বেসামরিক ও সামরিক সদস্য হতাহত হয়েছেন।

বিশ্বনেতারা উভয় দেশকে সংঘাত থামাতে বলেছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে কঠিন বার্তা দিচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। অনেকের আশঙ্কা, এমন উত্তপ্ত পরিবেশে কোনো পক্ষ যদি বাড়তি প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বেই বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ হলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বাণিজ্যে স্থবিরতা আসবে, আকাশপথে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে, নানা আন্তর্জাতিক রুটের ওপর চাপ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে শরণার্থী সংকট কিংবা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকিও দেখা দিতে পারে।

এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব আরও বড়। তারা চাইলে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করতে পারে। বিশ্বনেতারা যদি শুধু বিবৃতি দিয়ে থেমে না গিয়ে সক্রিয় কূটনীতিতে যুক্ত হন, তাহলে হয়তো উত্তেজনা প্রশমনের বাস্তব পথ খোঁজা সম্ভব।

আমরা বলতে চাই, যুদ্ধ শুধু ধ্বংস ডেকে আনে, কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান দেয় না। উভয় দেশের জনগণ দারিদ্র্য, বেকারত্ব, বৈষম্যের মতো কঠিন সমস্যার সঙ্গে লড়ছে। এই অবস্থায় যুদ্ধ আরও বড় বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

আমরা চাই, ভারত ও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করুক। প্রতিশোধ বা শক্তি প্রদর্শনের পথ থেকে সরে এসে আলোচনার পথে ফিরুক। সংঘাত যত বড়ই হোক না কেন, তার টেকসই সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে করা সম্ভব।

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

tab

সম্পাদকীয়

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

শনিবার, ১০ মে ২০২৫

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। এখন তা সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। একে অপরের ভূখ-ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, গোলাবর্ষণ ও বিমান ভূপাতিতের মতো ঘটনায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দুই দেশেরই বেসামরিক ও সামরিক সদস্য হতাহত হয়েছেন।

বিশ্বনেতারা উভয় দেশকে সংঘাত থামাতে বলেছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে কঠিন বার্তা দিচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। অনেকের আশঙ্কা, এমন উত্তপ্ত পরিবেশে কোনো পক্ষ যদি বাড়তি প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে তা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বেই বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ হলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বাণিজ্যে স্থবিরতা আসবে, আকাশপথে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে, নানা আন্তর্জাতিক রুটের ওপর চাপ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে শরণার্থী সংকট কিংবা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকিও দেখা দিতে পারে।

এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব আরও বড়। তারা চাইলে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করতে পারে। বিশ্বনেতারা যদি শুধু বিবৃতি দিয়ে থেমে না গিয়ে সক্রিয় কূটনীতিতে যুক্ত হন, তাহলে হয়তো উত্তেজনা প্রশমনের বাস্তব পথ খোঁজা সম্ভব।

আমরা বলতে চাই, যুদ্ধ শুধু ধ্বংস ডেকে আনে, কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান দেয় না। উভয় দেশের জনগণ দারিদ্র্য, বেকারত্ব, বৈষম্যের মতো কঠিন সমস্যার সঙ্গে লড়ছে। এই অবস্থায় যুদ্ধ আরও বড় বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

আমরা চাই, ভারত ও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করুক। প্রতিশোধ বা শক্তি প্রদর্শনের পথ থেকে সরে এসে আলোচনার পথে ফিরুক। সংঘাত যত বড়ই হোক না কেন, তার টেকসই সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে করা সম্ভব।

back to top