রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের শত শত একর জমি এখন অবৈধ দখলে। রেলওয়ে এই জমি রক্ষা করতে পারছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, রেলের কিছু কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই এই দখলে জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, দখল করা জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি, দোকান ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব থেকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে একটি চক্র। এই টাকার একটি অংশ যাচ্ছে রেলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পকেটে। আবার আরএনবি নামের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কেউ কেউ দোকান ভাঙার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ আছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রায় ২২৫ একর জমি বেদখল। কিছু জমি দখলে রেখেছে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি জমি দখল করে আছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা। রেলের জমি দখলের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবশালী মহলের ছায়া। তাই এসব জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ঝুপড়ি ভেঙে দিলেও তা খুব কার্যকর হচ্ছে না। কিছুদিন পর আবার সেখানে নতুন করে ঘর উঠছে। ফলে জমি দখলমুক্ত হচ্ছে না। আবার নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই এসব দখলদারকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার কথা যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই দখলের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থা বন্ধ করতে হলে দরকার কঠোর পদক্ষেপ। যারা জমি দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। যারা দখলে সহযোগিতা করছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
রেলওয়ের জমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রতিটি জমির তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এতে জমি নিয়ে দুর্নীতি কমবে। জনসচেতনতা বাড়বে।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের শত শত একর জমি এখন অবৈধ দখলে। রেলওয়ে এই জমি রক্ষা করতে পারছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, রেলের কিছু কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই এই দখলে জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, দখল করা জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি, দোকান ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব থেকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে একটি চক্র। এই টাকার একটি অংশ যাচ্ছে রেলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পকেটে। আবার আরএনবি নামের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কেউ কেউ দোকান ভাঙার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ আছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রায় ২২৫ একর জমি বেদখল। কিছু জমি দখলে রেখেছে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি জমি দখল করে আছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা। রেলের জমি দখলের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবশালী মহলের ছায়া। তাই এসব জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ঝুপড়ি ভেঙে দিলেও তা খুব কার্যকর হচ্ছে না। কিছুদিন পর আবার সেখানে নতুন করে ঘর উঠছে। ফলে জমি দখলমুক্ত হচ্ছে না। আবার নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই এসব দখলদারকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার কথা যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই দখলের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থা বন্ধ করতে হলে দরকার কঠোর পদক্ষেপ। যারা জমি দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। যারা দখলে সহযোগিতা করছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
রেলওয়ের জমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রতিটি জমির তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এতে জমি নিয়ে দুর্নীতি কমবে। জনসচেতনতা বাড়বে।