alt

সম্পাদকীয়

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের শত শত একর জমি এখন অবৈধ দখলে। রেলওয়ে এই জমি রক্ষা করতে পারছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, রেলের কিছু কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই এই দখলে জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দখল করা জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি, দোকান ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব থেকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে একটি চক্র। এই টাকার একটি অংশ যাচ্ছে রেলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পকেটে। আবার আরএনবি নামের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কেউ কেউ দোকান ভাঙার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ আছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রায় ২২৫ একর জমি বেদখল। কিছু জমি দখলে রেখেছে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি জমি দখল করে আছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা। রেলের জমি দখলের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবশালী মহলের ছায়া। তাই এসব জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

রেলওয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ঝুপড়ি ভেঙে দিলেও তা খুব কার্যকর হচ্ছে না। কিছুদিন পর আবার সেখানে নতুন করে ঘর উঠছে। ফলে জমি দখলমুক্ত হচ্ছে না। আবার নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই এসব দখলদারকে সুরক্ষা দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার কথা যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই দখলের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থা বন্ধ করতে হলে দরকার কঠোর পদক্ষেপ। যারা জমি দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। যারা দখলে সহযোগিতা করছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।

রেলওয়ের জমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রতিটি জমির তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এতে জমি নিয়ে দুর্নীতি কমবে। জনসচেতনতা বাড়বে।

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের শত শত একর জমি এখন অবৈধ দখলে। রেলওয়ে এই জমি রক্ষা করতে পারছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, রেলের কিছু কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই এই দখলে জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দখল করা জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি, দোকান ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব থেকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে একটি চক্র। এই টাকার একটি অংশ যাচ্ছে রেলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পকেটে। আবার আরএনবি নামের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কেউ কেউ দোকান ভাঙার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ আছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রায় ২২৫ একর জমি বেদখল। কিছু জমি দখলে রেখেছে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি জমি দখল করে আছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা। রেলের জমি দখলের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবশালী মহলের ছায়া। তাই এসব জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

রেলওয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ঝুপড়ি ভেঙে দিলেও তা খুব কার্যকর হচ্ছে না। কিছুদিন পর আবার সেখানে নতুন করে ঘর উঠছে। ফলে জমি দখলমুক্ত হচ্ছে না। আবার নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই এসব দখলদারকে সুরক্ষা দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার কথা যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই দখলের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থা বন্ধ করতে হলে দরকার কঠোর পদক্ষেপ। যারা জমি দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। যারা দখলে সহযোগিতা করছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।

রেলওয়ের জমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। প্রতিটি জমির তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এতে জমি নিয়ে দুর্নীতি কমবে। জনসচেতনতা বাড়বে।

back to top